ভারতীয় বাংলা সিনেমার এ প্রজন্মের আলোচিত অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পাল। ২০১৬ সালে ‘প্রবাহিনী’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণীকন্যা। কেবল অভিনয় নয়, মায়ের সঙ্গে নাচও নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন রাজনন্দিনী।
২০১৮ সালে সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘এক যে ছিল রাজা’ সিনেমায় ‘চন্দ্রাবতী দেবী’ চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর ‘উড়ুনচণ্ডী’ সিনেমায় অভিনয় করেন। পরের বছরই সিনেমা থেকে বিরতি নিয়ে ‘পাঁচফোড়ন’-এর মাধ্যমে ওয়েব দুনিয়ায় পা রাখেন পঁচিশের রাজনন্দিনী। এরপর এক বছর বিরতি নিয়ে ‘অসুর’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ফিরেন।
২০২১ সালে ‘পায়েশ’, ‘লকডাউন’ সিনেমায় অভিনয় করেন রাজনন্দিনী। একই বছর ‘টুরু লাভ’, ‘নকল হীরা’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেন তিনি। ২০২২-২৩ সালে ‘ছাদ- দ্য টেরেস’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘ওহ লাভলী’ সিনেমায় যেমন অভিনয় করেন, তেমনি ‘সম্পূর্ণা’ ও ‘মিস্টার কলকাতা’ ওয়েব সিরিজেও দেখা যায় তাকে।
‘ওহ লাভলী’ সিনেমায় অভিনয় করে দারুণ নজর কাড়েন রাজনন্দিনী। একই সঙ্গে ‘সম্পূর্ণা’ ও ‘মিস্টার কলকাতা’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমেও প্রশংসা কুড়ান এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব রাজনন্দিনীর অনুসারীর সংখ্যাও কম নয়। মাঝেমধ্যে সাহসী অবতারে ধরা দেন রাজনন্দিনী পাল। তার বোল্ড লুকে মুগ্ধ অনুরাগীরাও।
মা ইন্দ্রাণী সেরা বন্ধু রাজনন্দিনীর। কোনো কাজই মায়ের পরামর্শ ছাড়া করেন না। ব্যক্তিগত জীবনে একা রাজনন্দিনী। তবে মায়ের পছন্দে বিয়ে করতে চান। এসব তথ্য জানিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রাজনন্দিনী বলেন, “আমি বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাসী। তাই জীবনে বিয়ে একবার করতেই চাই। আর মায়ের পছন্দের উপর আমার শতভাগ ভরসা রয়েছে।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে রাজনন্দিনী বলেন, “সবচেয়ে বড় বিষয়, মা আমাকে সবচেয়ে ভালোভাবে চেনে। আমার জন্য কোনটা ভালো, সেটাও কিন্তু সবচেয়ে ভালো আমার মা-ই জানে। তাই আমার জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার দায়িত্ব মায়ের উপরই ছেড়ে দিয়েছি। আমি এখন কাজে পুরোপুরি নিমজ্জিত।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র জনন দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।