Risingbd:
2025-11-03@07:44:14 GMT

‘জীবনে বিয়ে একবার করতেই চাই’

Published: 18th, April 2025 GMT

‘জীবনে বিয়ে একবার করতেই চাই’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার এ প্রজন্মের আলোচিত অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পাল। ২০১৬ সালে ‘প্রবাহিনী’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণীকন্যা। কেবল অভিনয় নয়, মায়ের সঙ্গে নাচও নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন রাজনন্দিনী।

২০১৮ সালে সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘এক যে ছিল রাজা’ সিনেমায় ‘চন্দ্রাবতী দেবী’ চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর ‘উড়ুনচণ্ডী’ সিনেমায় অভিনয় করেন। পরের বছরই সিনেমা থেকে বিরতি নিয়ে ‘পাঁচফোড়ন’-এর মাধ্যমে ওয়েব দুনিয়ায় পা রাখেন পঁচিশের রাজনন্দিনী। এরপর এক বছর বিরতি নিয়ে ‘অসুর’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ফিরেন।

 

২০২১ সালে ‘পায়েশ’, ‘লকডাউন’ সিনেমায় অভিনয় করেন রাজনন্দিনী। একই বছর ‘টুরু লাভ’, ‘নকল হীরা’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেন তিনি। ২০২২-২৩ সালে ‘ছাদ- দ্য টেরেস’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘ওহ লাভলী’ সিনেমায় যেমন অভিনয় করেন, তেমনি ‘সম্পূর্ণা’ ও ‘মিস্টার কলকাতা’ ওয়েব সিরিজেও দেখা যায় তাকে।

 

‘ওহ লাভলী’ সিনেমায় অভিনয় করে দারুণ নজর কাড়েন রাজনন্দিনী। একই সঙ্গে ‘সম্পূর্ণা’ ও ‘মিস্টার কলকাতা’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমেও প্রশংসা কুড়ান এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব রাজনন্দিনীর অনুসারীর সংখ্যাও কম নয়। মাঝেমধ্যে সাহসী অবতারে ধরা দেন রাজনন্দিনী পাল। তার বোল্ড লুকে মুগ্ধ অনুরাগীরাও।

 

মা ইন্দ্রাণী সেরা বন্ধু রাজনন্দিনীর। কোনো কাজই মায়ের পরামর্শ ছাড়া করেন না। ব্যক্তিগত জীবনে একা রাজনন্দিনী। তবে মায়ের পছন্দে বিয়ে করতে চান। এসব তথ্য জানিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রাজনন্দিনী বলেন, “আমি বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাসী। তাই জীবনে বিয়ে একবার করতেই চাই। আর মায়ের পছন্দের উপর আমার শতভাগ ভরসা রয়েছে।”

 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে রাজনন্দিনী বলেন, “সবচেয়ে বড় বিষয়, মা আমাকে সবচেয়ে ভালোভাবে চেনে। আমার জন্য কোনটা ভালো, সেটাও কিন্তু সবচেয়ে ভালো আমার মা-ই জানে। তাই আমার জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার দায়িত্ব মায়ের উপরই ছেড়ে দিয়েছি। আমি এখন কাজে পুরোপুরি নিমজ্জিত।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র জনন দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ