Risingbd:
2025-06-16@06:12:26 GMT

‘জীবনে বিয়ে একবার করতেই চাই’

Published: 18th, April 2025 GMT

‘জীবনে বিয়ে একবার করতেই চাই’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার এ প্রজন্মের আলোচিত অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পাল। ২০১৬ সালে ‘প্রবাহিনী’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণীকন্যা। কেবল অভিনয় নয়, মায়ের সঙ্গে নাচও নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন রাজনন্দিনী।

২০১৮ সালে সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘এক যে ছিল রাজা’ সিনেমায় ‘চন্দ্রাবতী দেবী’ চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর ‘উড়ুনচণ্ডী’ সিনেমায় অভিনয় করেন। পরের বছরই সিনেমা থেকে বিরতি নিয়ে ‘পাঁচফোড়ন’-এর মাধ্যমে ওয়েব দুনিয়ায় পা রাখেন পঁচিশের রাজনন্দিনী। এরপর এক বছর বিরতি নিয়ে ‘অসুর’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ফিরেন।

 

২০২১ সালে ‘পায়েশ’, ‘লকডাউন’ সিনেমায় অভিনয় করেন রাজনন্দিনী। একই বছর ‘টুরু লাভ’, ‘নকল হীরা’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেন তিনি। ২০২২-২৩ সালে ‘ছাদ- দ্য টেরেস’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘ওহ লাভলী’ সিনেমায় যেমন অভিনয় করেন, তেমনি ‘সম্পূর্ণা’ ও ‘মিস্টার কলকাতা’ ওয়েব সিরিজেও দেখা যায় তাকে।

 

‘ওহ লাভলী’ সিনেমায় অভিনয় করে দারুণ নজর কাড়েন রাজনন্দিনী। একই সঙ্গে ‘সম্পূর্ণা’ ও ‘মিস্টার কলকাতা’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমেও প্রশংসা কুড়ান এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব রাজনন্দিনীর অনুসারীর সংখ্যাও কম নয়। মাঝেমধ্যে সাহসী অবতারে ধরা দেন রাজনন্দিনী পাল। তার বোল্ড লুকে মুগ্ধ অনুরাগীরাও।

 

মা ইন্দ্রাণী সেরা বন্ধু রাজনন্দিনীর। কোনো কাজই মায়ের পরামর্শ ছাড়া করেন না। ব্যক্তিগত জীবনে একা রাজনন্দিনী। তবে মায়ের পছন্দে বিয়ে করতে চান। এসব তথ্য জানিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রাজনন্দিনী বলেন, “আমি বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাসী। তাই জীবনে বিয়ে একবার করতেই চাই। আর মায়ের পছন্দের উপর আমার শতভাগ ভরসা রয়েছে।”

 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে রাজনন্দিনী বলেন, “সবচেয়ে বড় বিষয়, মা আমাকে সবচেয়ে ভালোভাবে চেনে। আমার জন্য কোনটা ভালো, সেটাও কিন্তু সবচেয়ে ভালো আমার মা-ই জানে। তাই আমার জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার দায়িত্ব মায়ের উপরই ছেড়ে দিয়েছি। আমি এখন কাজে পুরোপুরি নিমজ্জিত।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র জনন দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের হামলায় ২০ ইসরায়েলি নিহত

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চারদিন ধরে চলছে। এসব হামলায় উভয় দেশের মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইসরায়েলের জাতীয় পরিষেবা জানিয়েছে, আজ সোমবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা  ২০ জনে পৌঁছুল। আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

অন্যদিকে আল-জাজিরা বলছে, ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবার প্রধান ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, মধ্য ইসরায়েলজুড়ে ইরানের হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন নারী। 

এর আগে সিএনএন ইসরায়েলের ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর দেয়। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানের খবর বলছে, বন্দরনগরী হাইফায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়া, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।

রোববার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েল সরকারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এছাড়া ইরানের হামলায় কমপক্ষে ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর।

এদিকে ইসরায়েলি পুলিশের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এছাড়া সাতজন এখনও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি সেবাদানকারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ