থাইরয়েড ক্যানসারে ভুগছেন কোরীয় অভিনেতা জং কেউন সুক। এমবিএনের ভ্যারাইটি শো ‘লেটস গো’তে তিনি বলেছেন, ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর জীবনটাকে ভিন্নভাবে দেখতে শিখেছেন তিনি।

২০২৩ সালের অক্টোবরে তাঁর ক্যানসার শনাক্ত হয়েছিল, সে বছরই মে মাসে তাঁর একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর জীবনের নানা চড়াই–উতরাই তুলে এনেছেন এই তারকা অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শুরুর পর থেকে নিজের প্রতি ভালোবাসা বেড়েছে। আমার যন্ত্রণা আমাকে আরও শক্তিশালী করেছে।’

কোরিয়া ইউনিভার্সিটির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, থাইরয়েড ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে পাঁচ বছরের মধ্যে সেরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

জং কেউন সুক বলেন, ‘তাঁরা বলেছেন, থাইরয়েড ক্যানসার “ভালো” ক্যানসার। কিন্তু “ক্যানসার” শব্দটার মধ্যেই ভয় লুকিয়ে রয়েছে। ফলে বিষয়টা মেনে নিতে সময় লেগেছে।’

আরও পড়ুনছেলেকে পিঠে নিয়ে কোরীয় অভিনেত্রীর ট্রেকিং১২ নভেম্বর ২০২৪

ক্যানসার শনাক্তের পর প্রায় এক সপ্তাহেও পরিবারকে বিষয়টি জানাননি জং কেউন সুক। গত বছরের আগস্টে ক্যানসারে আক্রান্তের কথা প্রকাশ করেছেন ৩৭ বছর বয়সী অভিনেতা।

প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে ‘ইউ আর বিউটিফুল’, ‘লাভ রেইন’, ‘দ্য রয়েল গাম্বলার’সহ বেশ কয়েকটি টিভি সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও আলাদা পরিচিতি রয়েছে তাঁর।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘মুক্তবুদ্ধি ও যুক্তির সাধক ছিলেন লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী’

লেখক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদ মোতাহের হোসেন চৌধুরী সারা জীবন মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার চর্চা করে গেছেন। প্রকৃত মানবতাবাদী দার্শনিক ছিলেন তিনি। এ কারণে তাঁর লেখা, সৃষ্টিকর্ম ও চিন্তা এখনকার মানুষের জন্যও সমান প্রাসঙ্গিক।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ৬৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। লেখকের নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে তাঁকে নিয়ে প্রথম স্মরণসভা ছিল এটি।

রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবিন শীষ। প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। বক্তব্য দেন প্রবন্ধিক, গবেষক ও শিক্ষক ড. কুদরত-ই-হুদা, যুগান্তরের সাহিত্য সম্পাদক কবি জুননু রাইন, লেখকপুত্র ক্যাপ্টেন সৈয়দ জাহিদ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিন।

জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার তাঁর বক্তব্যে বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন বাংলার একজন উজ্জ্বল প্রাবন্ধিক, মুক্তচিন্তার আলোকবর্তিকা। তাঁর লেখায় যেমন মানবতার বোধ রয়েছে, তেমনি যুক্তি ও প্রগতিশীল চিন্তার শক্ত ভিত্তি রয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বাবার স্মৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্যাপ্টেন সৈয়দ জাহিদ হোসাইন বলেন, ‘আমরা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। অথচ দুঃখজনক হলো, এত দিন বাবাকে নিয়ে এ জেলায় আলোচনা বা স্মরণসভা হয়নি। তাঁর মতো মহান প্রাবন্ধিকের জীবন ও দর্শন নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা জরুরি।’

জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষক ড. কুদরত-ই-হুদা বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন চিন্তার দিক থেকে ব্যতিক্রমধর্মী এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন মুক্তবুদ্ধির সাধক, মানবতাবাদী দার্শনিক ও সাহিত্যপ্রেমী। তাঁর প্রবন্ধ আজও পাঠককে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা দেয়।

সাহিত্য, দর্শন ও সমাজচিন্তায় মোতাহের হোসেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে জানান কবি জুননু রাইন। তিনি বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর লেখনী আজও প্রজন্মকে চিন্তার খোরাক জোগান।

মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১ এপ্রিল ১৯০৩ সালে তৎকালীন নোয়াখালী জেলা এবং বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন, কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল ফজল, আবদুল কাদিরের সঙ্গে যৌথভাবে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। বের করেন ‘শিখা’ নামের পত্রিকা। তাঁর রচিত প্রবন্ধ সংকলন ‘সংস্কৃতি কথা’ পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে। ১৯৫৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ