যন্ত্রণা আমাকে শক্তিশালী করেছে, বললেন ক্যানসারে আক্রান্ত কোরীয় অভিনেতা
Published: 21st, April 2025 GMT
থাইরয়েড ক্যানসারে ভুগছেন কোরীয় অভিনেতা জং কেউন সুক। এমবিএনের ভ্যারাইটি শো ‘লেটস গো’তে তিনি বলেছেন, ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর জীবনটাকে ভিন্নভাবে দেখতে শিখেছেন তিনি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে তাঁর ক্যানসার শনাক্ত হয়েছিল, সে বছরই মে মাসে তাঁর একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর জীবনের নানা চড়াই–উতরাই তুলে এনেছেন এই তারকা অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শুরুর পর থেকে নিজের প্রতি ভালোবাসা বেড়েছে। আমার যন্ত্রণা আমাকে আরও শক্তিশালী করেছে।’
কোরিয়া ইউনিভার্সিটির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, থাইরয়েড ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে পাঁচ বছরের মধ্যে সেরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
জং কেউন সুক বলেন, ‘তাঁরা বলেছেন, থাইরয়েড ক্যানসার “ভালো” ক্যানসার। কিন্তু “ক্যানসার” শব্দটার মধ্যেই ভয় লুকিয়ে রয়েছে। ফলে বিষয়টা মেনে নিতে সময় লেগেছে।’
আরও পড়ুনছেলেকে পিঠে নিয়ে কোরীয় অভিনেত্রীর ট্রেকিং১২ নভেম্বর ২০২৪ক্যানসার শনাক্তের পর প্রায় এক সপ্তাহেও পরিবারকে বিষয়টি জানাননি জং কেউন সুক। গত বছরের আগস্টে ক্যানসারে আক্রান্তের কথা প্রকাশ করেছেন ৩৭ বছর বয়সী অভিনেতা।
প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে ‘ইউ আর বিউটিফুল’, ‘লাভ রেইন’, ‘দ্য রয়েল গাম্বলার’সহ বেশ কয়েকটি টিভি সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও আলাদা পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।