৭ বছরে পদার্পণ করল বিউটি ই-কমার্স চারদিকে
Published: 21st, April 2025 GMT
সাফল্যের ৭ বছরে পদার্পণ করল দেশের বিউটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চারদিকে। ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার রাজধানীর হাতিরপুলের প্রতিষ্ঠানট্টির প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চারদিকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সরওয়ার কামাল কেক কাটেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির সকল স্তরের কর্মী এবং শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে চারদিকের চিফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) আল জাবের ফয়সাল, জেনারেল ম্যানেজার সৌমেন দেব বর্মন, হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নেওয়াজ নাসিম উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সরওয়ার কামাল বলেন, বাংলাদেশে এখনো ইমপোর্টেড কসমেটিকসের উপর নির্ভর করতে হয়। ই-কমার্সের পাশাপাশি চারদিকে আগামী বছরের মধ্যে নিজস্ব ব্র্যান্ডগুলোকে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যেতে চায়। সেই লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ান মার্কেটে বাংলাদেশি ব্র্যান্ডকে প্রমোট করার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মাত্র ৩ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে চারদিকে। বর্তমানে যা দেড়শ কর্মীর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার কসমেটিকস ব্র্যান্ড স্কিনফুড এবং জিফোর্সের একমাত্র পরিবেশক হিসেবে প্রসাধনীসামগ্রী বাংলাদেশে বাজারজাত করছে চারদিকে। পাশাপাশি ২০২৪ সালে নিজস্ব স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড স্কিনো এবং ইনসেই-এর বাজারজাত শুরু করেছে চারদিকে। সম্পূর্ণ নিজস্ব এবং দেশীয় স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড স্কিনো এবং ইনসেই ইতিমধ্যে ক্রেতাদের মধ্যে শক্ত জায়গা তৈরি করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ই কম র স
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস