নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা করায় ১২ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) উপজেলার খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ ও জয়াগ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, উপজেলার নজরুল একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্যামল কুমার, নুরুল ইসলাম, কেশারপাড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক মোস্তফা সুজন, সোনাপুর আলী আকবর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল আলম, মো.

তাজুল ইসলাম, শিক্ষিকা ফেরদাউস আক্তার, খলিলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষিকা নূর-এ-জান্নাত, শিক্ষক  জাবেদ হোসেন, মাহাবুবের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহাদাত, আজিমুল ইসলাম, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাকির হোসেন।

আরো পড়ুন:

পারভেজ হত্যা: দোষীদের গ্রেপ্তার-বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা

সোনাইমুড়ী উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বীন আল জান্নাত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘উপজেলার খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ ও জয়াগ উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র গণিত পরীক্ষা চলছিল। ওই সময় আমি কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই। কেন্দ্রে গিয়ে দেখি, শিক্ষকদের উপস্থিতিতে দুটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা হট্টগোল করছে। এ সময় শিক্ষকরা নীরব ছিলেন। বিষয়টি আমার নজরে এলে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পেয়ে দুটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ১২ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে কেন্দ্র প্রধানরা অব্যাহতি দেন। অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকরা এ বছর বাকি পরীক্ষাগুলোর সময় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।’’ 

ঢাকা/সুজন/বকুল   

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অব য হ পর ক ষ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ