যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিতে বাংলাদেশের পণ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপ করা ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়ে দেশটির ন্যাশনাল কটন কাউন্সিলের (এনসিসিএ) সহায়তা চেয়েছে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ।

বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এনসিসিএর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি অ্যাডামসকে লেখা এক চিঠিতে এ সহযোগিতা চেয়েছেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ। একই চিঠি ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সেলর এরিক গ্লেনকেও দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার পৃথক এ চিঠি দুটি দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সুতা আমদানি বৃদ্ধিতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সুতা সংরক্ষণে নির্ধারিত কেন্দ্রীয় গুদাম স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুতা আমদানি চার থেকে পাঁচ গুণ করা। বিটিএমএর সভাপতি বলেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৭ কোটি ডলার মূল্যের তুলা আমদানি করেছে বাংলাদেশ। গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে যত সুতা আমদানি করেছে, তার ১২ শতাংশই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। 

বিটিএমএ সভাপতি বলেন, শিগগির সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবে। সফরে মার্কিন সরকার ও বেসরকারি খাতের অংশীজনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ ও আলোচনা করে অগ্রগতির চেষ্টা করা হবে। 

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশে নতুন করে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয় গত ৫ এপ্রিল। এ ছাড়া ৬৫টি দেশের পণ্যে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশসহ বিভিন্ন হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত ২ এপ্রিল দেওয়া ঘোষণায় বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়। গত ৯ এপ্রিল পরবর্তী তিন মাসের জন্য এ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। তিন মাস সময়কে কৌশলগত কূটনীতি ও আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেন বিটিএমএ সভাপতি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র আমদ ন ব ট এমএ আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক

গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।

জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’

অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।

জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ