রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিউটিফুল বাংলাদেশ রান-২০২৫ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

দেশের সম্ভাবনাময় ট্যুরিজম খাতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৬টায় হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা প্রান্তে এই রান উৎসব শুরু হয়। রান শেষে হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটরে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় এই উৎসব।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এ খাতের অন্যতম অংশীদার এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি)।

আয়োজক সংগঠন এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার বলেন, “এটি এটিজেএফবির প্রথম ম্যারথন ইভেন্ট। প্রতিটি রানারের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমরা অভিভূত। বাংলাদেশের পর্যটনকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে এটিজেএফবি আগামীতে উইন্টার ম্যারাথনের ঘোষণা দিচ্ছে। আশা করছি উইন্টার রানে আপনাদের সবাইকে পাশে পাব।”

এ সময় এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব এবং বিউটিফুল বাংলাদেশ রান-২০২৫ এর চিফ কো-অর্ডিনেটর শফিউল্লাহ সুমন বক্তব্য দেন।

রান আয়োজনটির সহযোগিতায় ছিল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ, আটাব, টোয়াব, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিঙ্কস একটিভ, ঢাকা ওয়াসা, ফেমাস স্পেশালাইজড হসপিটাল ও ফেমাস ক্রিয়েশন।

বিউটিফুল বাংলাদেশ রান ২০২৫-এ আরো পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, ভাইয়া গ্রুপ, ইস্টার্ন ব্যাংক, ফিটস এয়ার, বেঙ্গল এয়ার লিফট, শেয়ার ট্রিপ, এয়ার ইন্ডিয়া, আমেরিকান ট্যুরিস্টার, টিপিসি, টাইটান, স্যামসোনাইট, স্কিন পারফিউম, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ও এয়ার আস্ট্রা।

রান আয়োজনে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডা.

নাসরীন আক্তার শিমু। এছাড়া পেসার হিসেবে ছিলেন শাহরিয়ার মোর্শেদ সিদ্দিকী, জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু, ডা. মো. নাঈম হোসাইন খান এবং কে এম ইয়াসির আরাফাত অমি।

রান আয়োজন শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি র‍্যাফেল ড্র'র মাধ্যমে পাঁচজন ভাগ্যবানকে ঢাকা থেকে মিলান, জোহান্সবার্গ, ব্যাংক, মালদ্বীপ এবং কক্সবাজারের রিটার্ন টিকেট দেওয়া হয়।

এ আয়োজনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মাইনুল হাসান, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আব্দুল্লাহ আল হমৌদি, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি. কাইংলেট, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফেরনান্দো ডায়াস ফেরেস, থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত পানওয়ামসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, দেশ-বিদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট কর্মী, ট্রাভেলার ও পেশাদার রানারসহ সাত শতাধিক রানার অংশগ্রহণ করেন।

এবার প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাড়ে সাত কিলোমিটার রান ও দুই কিলোমিটার ফান রান অনুষ্ঠিত হয়।

সাড়ে সাত কিলোমিটার (পুরুষ) ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন এলাহী সরদার, দ্বিতীয় আশরাফুল আলম এবং তৃতীয় হয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন।

সাড়ে সাত কিলোমিটার (নারী) ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন সাদিয়া শাওলিন সিগমা, দ্বিতীয় স্বর্ণা এবং তৃতীয় হয়েছেন ফারজানা।

দুই কিলোমিটার ফান রানের প্রথম হয়েছেন জিসান, দ্বিতীয় অভি ইসলাম এবং তৃতীয় হয়েছেন জহুরুল।

বিউটিফুল বাংলাদেশ রান-২০২৫ আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর রিদম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেন, “হাতিরঝিলের চারপাশের পরিবেশটা খুব উৎসবমুখর ছিল। এই আয়োজনের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের পর্যটনের প্রসারে সব ধরনের উদ্যোগে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

বিউটিফুল বাংলাদেশ রানের অনুষ্ঠানের পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি)। আয়োজনের বিষয়ে বিটিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, “আয়োজনটি অত্যন্ত উপভোগ্য ছিল। পর্যটনের প্রসারে এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।”

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ র ন ২০২৫ অন ষ ঠ হয় ছ ন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’