আজকাল অনেকেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগেন। এই ব্যথা খুব কষ্টদায়ক। ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা একবার শুরু হলে সহজে কমতে চায় না। এতে পায়ের গোঁড়ালি, হাঁটু, গাঁটেগাঁটে ব্যথা শুরু হয়। ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা হলে রেডমিট, ডাল জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এসব খাবার খেলে ব্যথা দ্রুত বাড়ে। গরমের এই সময়ে ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমাতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি ফল রাখতে পারেন। যেমন-

তরমুজ
গরমকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ পাওয়া যায়। এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বার করে দিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তরমুজ খেলে শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে। এমনকি শরীর কখনোই ডিহাইড্রেট হবে না। আবার শরীরের পানির ঘাটতিও পূরণ হবে।

কমলালেবু
ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমাতে নিয়মিত কমলালেবু খেতে পারেন। এতে থাকা ভিটামিন সি থাকে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে পারে। তবে অত্যাধিক পরিমাণে এই ফল খাওয়া ঠিক নয়। প্রতিদিন একটি করে এই ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। কমলালেবু না পেলে শরবতি লেবুও খেতে পারেন।

ডালিম
গরমকালে প্রতিদিন ডালিম খান। এই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে । ডালিমে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে । এটি শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়া প্রতিরোধ করে।

আনারস
আনারস খাওয়া খুবই উপকারী। গরমকালে প্রতিদিন আনারস খান। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এর ফলে হাত পায়ের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর ক অ য স ড পর ম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ