টাঙ্গাইলে শ্রমিকদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
Published: 27th, April 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক শ্রমিকদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ভাতিজার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুজন। তাদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংশীনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফজল হক (৫০) ওই গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও ইউনিয়ন শ্রমিক দলর সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফজল হকের সঙ্গে তার ভাতিজা পারভেজের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকাল ভাতিজা পারভেজসহ অন্তত ২৫ জন ফজল হকের দখলে থাকা বিরোধপূর্ণ জমি দখলে নিতে যায়। এসময় ফজল হক ও তার পরিবারর লোকজন বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফজল হক, তার ছেলে মনির হোসেন ও স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফজল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরকে লাশ নিয়ে যেতে বলা সেই স্বামী গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘এ ঘটনায় হত্যা মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’’
ঢাকা/কাওসার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।
এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।
প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”
আরো পড়ুন:
জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!
অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?
ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”
‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”
গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”
ঢাকা/শান্ত