৪৬তম বিসিএসে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের বহিষ্কার ও সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কারের ৮ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের অবরোধ প্রত্যাহার করেছে চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টায় শাহবাগে মোড়ের অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। এ সময় তিনি বলেন, আগামীকাল বিকাল ৫টায় ৮ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সারা দেশের সকল চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থী যোগদান করার আহ্বান জানান তিনি।

১.

পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের ৮ দফা দাবি হলো— ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বহিষ্কার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে ৪৬তম বিসিএস বাতিলের সম্ভাবনা তৈরি হবে না এই মর্মে নিশ্চয়তা দিতে হবে। ২. ৪৫তম বিসিএস থেকে ভাইবার নম্বর ১০০ করতে হবে।  প্রিলি, লিখিত ও ভাইবার মার্ক প্রকাশ করা এবং লিখিত পরীক্ষার ন্যূনতম দুই মাস আগে রুটিন ঘোষণা করতে হবে। ৩. প্রত্যেকটি বিসিএস এর সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।  জুলাই মাসের ভিতর ৪৪তম বিসিএসের রেজাল্ট দিয়ে/ভাইবা শেষ করে ৪৬তম রিটেনের আয়োজন করতে হবে। ৪. দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে কমিশনের বিজ্ঞ সদস্য সংখ্যা ২৫-৩০ জনে উন্নীত করতে হবে। ৫. লিখিত খাতার মূল্যায়নে গতিময়তা, নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষতা আনয়নে কমিশনে বসে খাতা দেখার ব্যবস্থা করতে। ৬. পদের অপচয় রোধে ৪৪তমের ক্ষেত্রে ভাইবা শেষ হবার পর ও রেজাল্টের আগে ক্যাডার চয়েজ প্রত্যাহারের সুযোগ প্রদান; ৪৫-৪৭তমের  ক্ষেত্রে ভাইবার পূর্বে পুনরায় ক্যাডার চয়েজ পূরণের সুযোগ প্রদান এবং পরবর্তী বিসিএসগুলো থেকে প্রিলির পূর্বে ক্যাডার চয়েস না নিয়ে শুধু ভাইবার পূর্বে ক্যাডার চয়েজ নিতে হবে। ৭. সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও যথাসম্ভব স্বচ্ছকরণ, ভেরিফিকেশনের হয়রানি লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়া, গেজেট প্রণয়ন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে হবে। ৮. ৪৪তম এর ক্যাডার পদবৃদ্ধি ও নন ক্যাডার বিধি’ ২৩ সংস্কার করে ভাইবা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলের ৯ম, ১০ম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

বেঁদেপল্লীতে যুবককে হত্যা: ওসির অপসারণ দাবি

ঢাকা/রায়হান/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ ব স এস অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ