আওয়ামী লীগ নেতার জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের সদস্য ফরম পূরণ, আলোচনা-সমালোচনা
Published: 29th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠনের সদস্য ফরম পূরণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
আওয়ামী লীগের ওই নেতার নাম মো. সোলাইমান ওরফে বাঁশি (৫৫)। তিনি সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপি, জামায়াত ও এলডিপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ভোটকেন্দ্র দখল, এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার উত্তর সাতকানিয়া সাঙ্গু সাংগঠনিক থানা জামায়াতের আওতাধীন বাজালিয়া ইউনিয়নে গণসংযোগ চলাকালে জামায়াতের এক দায়িত্বশীল নেতা মো.
ফেসবুকে মোহাম্মদ আরিফ নামের একজন লিখেছেন, ‘খুনি হাসিনার দোসরদের পুনর্বাসন করা মানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধোপাছড়ি নামের একটি পেজে লেখা হয়, ‘কোনো ডেভিল যেন আমাদের দলে ঢুকে দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে।’ অন্যদিকে মোরশেদ আলম নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া যায় না? কেউ ভুল বুঝে সঠিক পথে আসতে চাইলে ক্ষতি কী?’
বিষয়টি নিয়ে বাজালিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাসুকুর রহমান ও সেক্রেটারি ইসমাইল মো. রাশেদ নিজ ফেসবুক আইডিতে দুঃখ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে মো. সোলাইমানের সঙ্গে গতকাল রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরলেও সাংবাদিক পরিচয় জানার পর মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাজালিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ইসমাইল মো. রাশেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভুলক্রমে অন্য এলাকার এক নেতা তাঁকে চিনতে না পেরে ফরম পূরণ করান। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।