পূর্বের ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসি'র মাল্টিপারপাস হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা তিনি এ কথা বলেন।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.

আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সভায় বিএসইসি'র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসি'র কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসি'র কমিশনার মো. আলী আকবর, বিএসইসি'র কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং বিএসইসির সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় বিএসইসি'র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বিএসইসির সকলকে একত্রিত থাকার অনুরোধ জানান। দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি তথা জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরি সংস্থা হিসেবে বিএসইসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিপূর্ণ দায়িত্বশীলতা ও শৃঙ্খলার সাথে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন। 

কর্মীদের নিষ্ঠা-সততার সাথে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সকলের সহযোগিতায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসির কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান-কমিশনারগণ পূর্বের সকল ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে বিএসইসি'র বিভিন্ন বিষয়ের সুরাহার আশ্বাস দেন। 

চেয়ারম্যান-কমিশনারগণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএসইসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সাথে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলার সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

ঢাকা/এনটি/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র সকল কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক

গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।

জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’

অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।

জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ