কর্মীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানালেন রাশেদ মাকসুদ
Published: 30th, April 2025 GMT
পূর্বের ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসি'র মাল্টিপারপাস হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সভায় বিএসইসি'র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসি'র কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসি'র কমিশনার মো. আলী আকবর, বিএসইসি'র কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং বিএসইসির সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিএসইসি'র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বিএসইসির সকলকে একত্রিত থাকার অনুরোধ জানান। দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি তথা জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরি সংস্থা হিসেবে বিএসইসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিপূর্ণ দায়িত্বশীলতা ও শৃঙ্খলার সাথে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন।
কর্মীদের নিষ্ঠা-সততার সাথে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সকলের সহযোগিতায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসির কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান-কমিশনারগণ পূর্বের সকল ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে বিএসইসি'র বিভিন্ন বিষয়ের সুরাহার আশ্বাস দেন।
চেয়ারম্যান-কমিশনারগণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএসইসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সাথে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলার সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/এনটি/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র সকল কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল