ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডায় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ৫৮ শতক জায়গা উদ্ধার হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার আবদুল খালেক পাটোয়ারী দখল উচ্ছেদে এ অভিযান পরিচালনা করেন। 

শুক্রবার (২ মে) মেড্ডায় এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে থাকা বিভিন্ন বাড়ি ও দোকান গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও স্থানীয় লোকজনদের থেকে জানা যায়- মেড্ডার সরকারি এই ক্লিনিকের পাশেই মেড্ডা বাজার ও পূর্বদিকে তিতাস নদী। দীর্ঘদিন ধরে কিছু নিম্ন আয়ের পেশাজীবিসহ স্থানীয় লোকজন ক্লিনিকের ৫৮ শতক জায়গা দখল করে রেখেছিল। তারা থাকার জন্য পাকা স্থাপনার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে এ জায়গাটিতে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলো। 

চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অবৈধ দখলদার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আদালতে একটি মামলা করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার গত ২৮ এপ্রিল অবৈধ দখলদার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আদেশ দেন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আইনগত দিক-নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার আবদুল খালেক পাটোয়ারীকে নির্দেশ দেন। শুক্রবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার আবদুল খালেক পাটোয়ারীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা মেড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।

সিভিল সার্জন নোমান মিয়া বলেন, “দীর্ঘ প্রায় ৬০-৭০বছর ধরে বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের ৫৮ শতক জায়গা স্থানীয়রা অবৈধভাবে দখলে রেখেছিল। এ বিষয়ে মামলা করা হলে জায়গাটি উদ্ধারে প্রশাসন উদ্যোগ নেয়।”

ঢাকা/রুবেল/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি