ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের ইতিহাস সুদীর্ঘ। একটি বড় অধ্যায়ের নাম ‘কার্গিল যুদ্ধ’। সম্প্রতি ‘অপারেশন সিন্দুর’ কার্গিল যুদ্ধের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য, বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ অংশ নেওয়া সেনা ও তাদের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। সেই সঙ্গে নিজের বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভোলেননি আনুশকা। কেননা তার বাবা  ছিলেন কার্গিল যুদ্ধের একজন যোদ্ধা। অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার অজয় কুমার শর্মার কন্যা আনুশকা। 

শুধুমাত্র কার্গিল যুদ্ধ নয়, ১৯৮২ সালের পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত ছোট-বড় সব যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময়ে অনুষ্কার বয়স মাত্র ১১। তাই সেই সময়ের ভয়াবহতা ও গুরুত্ব তিনি বুঝতে পারেননি। 

আনুশকা বলেন, ‘‘কার্গিল যুদ্ধ সাংঘাতিক ছিল। তখন খুব ছোট ছিলাম। তবে মায়ের অবস্থা দেখে আমার খুব ভয় লাগত। মা সব সময়ে সংবাদ সম্প্রচার দেখতেন। মনে আছে, টিভিতে যখনই মৃত্যুসংবাদ দেখানো হত, মা খুব বিষণ্ণ হয়ে পড়তেন।”

আরো পড়ুন:

দেশ ভালো নেই, কনসার্ট বাতিল করলেন শ্রেয়া

দীপ্ত স্টার হান্টে বিজয়ী মিষ্টি-শাকিব

যুদ্ধক্ষেত্র থেকেও কন্যার খোঁজ রাখতেন অজয় কুমার। ছোট আনুশকা তখন স্কুলে কি ঘটেছে সেই সব ঘটনা শোনাতো বাবাকে।

আনুশকা আরও বলেন, ‘‘বাবা ফোন করত। কিন্তু খুব বেশি কথা বলতে পারত না। আমি আমার স্কুল, বন্ধুবান্ধব এই সব নিয়ে কথা বলতে থাকতাম। তখন বুঝতেই পারতাম না, বাবা যুদ্ধে আছে।” 

যোদ্ধা বাবার কন্যা হিসেবে গর্বিত আনুশকা শর্মা। তিনি বলেন, “আমি একজন অভিনেত্রী, এটা বলার চেয়েও আমার নিজেকে সেনা সদস্যের কন্যা বলতে ভালো লাগে।”

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেবল ব্যক্তির বদল নয়, পুলিশের সংস্কারও প্রয়োজন: সামান্তা শারমিন

কেবল ব্যক্তির বদল নয়, বরং পুরো পুলিশ প্রশাসনের প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। গুম–খুন–নির্যাতনের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে পুলিশ বাহিনী। শুধুমাত্র একজন মানুষ পরিবর্তন করলেই যে এটা সংস্কার, তা আমরা কেউ বিশ্বাস করি না। এরকম কত মানুষ পরিবর্তন হলো! আওয়ামী লীগ তো কম পরিবর্তন করেনি। এভাবে পরিবর্তন হবে না। নীতিমালা ও আইনে পরিবর্তন আনতে হবে।

আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘নির্যাতন থেকে প্রতিরোধ: স্মৃতি, ন্যায়বিচার ও প্রতিবাদের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এনসিপির মানবাধিকারবিষয়ক সেলের আয়োজন করে।

সামান্তা শারমিন বলেন, একজন মানুষ গুম–খুনের শিকার হলে তার পরিবারও অসহায় হয়ে পড়ে। এসব পরিবারের ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের আমলে নির্যাতনের শিকার হওয়া সবাইকে স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, কেউ কি বলতে পারবেন যে, পুলিশ সংস্কার নিয়ে আমাদের শেষ আলাপটা কবে দেখেছেন? সর্বশেষ কোন রাজনৈতিক দল পুলিশ সংস্কার কমিশন নিয়ে আলাপ করেছেন? কিন্তু পুলিশ সংস্কার যদি না হয়, তাহলে যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা পুলিশকে রাজনৈতিকভাবেই ব্যবহার করবে। এটা বাংলাদেশের বাস্তবতা। এ সময় তিনি গুম, খুন এবং নির্যাতন প্রতিরোধে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি নতুন সামাজিক ও রাজনৈতিক চুক্তির আহ্বান জানান।

সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার পিএইচডি গবেষক খন্দকার আবদুর রকিব, এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসাইন ও এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনিক্যাল মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস সড়ক বিভাজকের ওপরে, চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু
  • পাবনা-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ 
  • পাবনায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তি
  • পাবনায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট, জনজীবন অচল
  • মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিখোঁজের ২৯ ঘণ্টা পর মধুমতী নদী থেকে জেলের মরদেহ উদ্ধার
  • পটুয়াখালীতে ডেঙ্গুতে নতুন শনাক্ত ৭, একজনের মৃত্যু 
  •  ‘যাদের মা নেই তারা কাঁদবে, যাদের মা আছেন তারাও কাঁদবে’
  •  ‘যাদের মা নেই তারা কাঁদবে, যাদের মা আছেন তারাও’
  • ইসরায়েল-ভারত যেভাবে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে চেয়েছিল
  • কেবল ব্যক্তির বদল নয়, পুলিশের সংস্কারও প্রয়োজন: সামান্তা শারমিন