শাহরিয়ার হত্যায় গ্রেপ্তার তিনজন ৬ দিনের রিমান্ডে
Published: 17th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শনিবার এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া তিন আসামি হলেন তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও মো.
পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তিন আসামিকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। ১৩ মে এই তিন আসামি গ্রেপ্তার হন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানান, ‘গ্রেপ্তার তিনজন পেশায় ভাসমান হকার। তাঁরা রাতে মদ–গাঁজা খান, নেশা করেন। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শাহরিয়ার গুরুতর আহত হন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় আজ সকালে নিহত শাহরিয়ারের ভাই শরীফুল আলম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায়।
শাহরিয়ার হত্যার ‘প্রকৃত’ আসামিদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা শাহবাগ থানা ঘেরাওয়ের পর গতকাল শুক্রবার তাঁরা এই আলটিমেটাম দিয়ে সরে যান।
আরও পড়ুনশাহবাগ থানা ঘেরাও, শাহরিয়ার হত্যায় আসামিদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম১৬ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হব গ থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কলেজশিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
৯ বছর আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এক কলেজশিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবির আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন শামীম হোসেন, তাঁর বন্ধু নাজমুল ও জিলকদ। রায় ঘোষণার পর তাঁদের তিনজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকেই এক লাখ করে টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাজ্জাদ হোসেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ভুক্তভোগী কলেজশিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিকে লেখাপড়া করতেন। তাঁর সঙ্গে প্রধান আসামি শামীমের পূর্বপরিচয় ছিল। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ওই শিক্ষার্থীকে যাত্রাবাড়ী থেকে তুলে নিয়ে একটি বাসায় ধর্ষণ করেন শামীম ও তাঁর দুই বন্ধু। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২ জুন তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। আসামিদের মধ্যে জিলকদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।