সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক নৃত্যশিল্পীকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে ওই নৃত্যশিল্পী বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। এর আগে, শুক্রবার (১৬ মে) রাতে উপজেলার রানীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘটনাটি ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন ভোক্তভোগী।  

গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বেওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

চিত্তরঞ্জনকে হত্যার ঘটনায় মামলা, প্রেমিকার বাবা-মা ও ভাবি গ্রেপ্তার

আইভীকে আরো ২ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ 

পুলিশের হেফাজতে থাকা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‍“ওই মেয়ে একজন যৌনকর্মী। টাকার বিনিময়ে তাকে তাড়াশে আনা হয়ে হয়েছিল। এখন আমাদের ফাঁসানোর জন্য থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তিনি।”

তাড়াশ থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, “অভিযোগে ভুক্তভোগী কিশোরী নিজেকে একজন সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি মেলা ও সার্কাসে নৃত্য করেন। পূর্বপরিচিত হওয়ায় তাড়াশের রানীরহাট বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন তাকে ডেকে এনেছিল। এরপর শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় মামলা করলে রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।”

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

আরিফ-মুক্তাদিরের আসনে জোবাইদার পোস্টার

সিলেট-১ আসনে দু’বার নির্বাচন করে পরাজিত হন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। এই আসনে নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তারা দু’জন আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। এদিকে ‘ডা. জোবাইদা রহমানকে সাংসদ হিসাবে দেখতে চাই’ লেখা পোস্টার নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। অনেকে বলছেন, সিলেটের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। তবে বিএনপি নেতারা বলেছেন, এটি বেনামি পোস্টার। বিষয়টি সম্পর্কে তাদের জানা নেই।  

গত মঙ্গলবার রাত ১১টার পর হঠাৎ নগরীতে দেখা মেলে ডা. জোবাইদা রহমানের ছবিসংবলিত পোস্টার। এতে জোবাইদা রহমান ছাড়াও জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি আছে। এতে লেখা রয়েছে– ‘বাংলাদেশের অহংকার সিলেটবাসীর গর্ব ডা. জোবাইদা রহমানকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মানের সংসদীয় আসন সিলেট-১ এর সাংসদ হিসেবে, আমরা অবহেলিত, বঞ্চিত সিলেটবাসী আমাদের অভিভাবক হিসেবে দেখতে চাই’। নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, লামাবাজার, শাহি ঈদগাহ, সোবহানীঘাট, সুবিদবাজার, আম্বরখানা, চৌহাট্টা, উপশহরসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে এই পোস্টার। 
গত বুধবার পোস্টার সাঁটানোর সময় নগরীর শাহি ঈদগাহ এলাকা থেকে আটক করা হয় চা দোকানি আব্দুল কাদিরকে। পঞ্চাশোর্ধ্ব   কাদির দীর্ঘদিন ধরে পোস্টার সাঁটানোর কাজ করে আসছিলেন। তাঁকে আটক করে নগর ছাত্রদলের কিছু নেতা পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখান। এমনকি কাদিরের ভাষ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আপলোড করা হয়। এ নিয়ে ছাত্রদলের একটি পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করেছে। তবে কে বা কারা পোস্টারটি করেছে, তা জানা যায়নি। 

এই আসনে নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ অবস্থায় এই পোস্টার দেখে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। কারা হঠাৎ এসব পোস্টার সাঁটাল, তাদের খুঁজতে থাকেন বিএনপির লোকজন। এখানে নির্বাচন করার জন্য মুক্তাদির ও আরিফুলের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। অনেকের ধারণা, সিলেট বিএনপিতে বিভক্তি থাকায় জিয়া পরিবারের বাইরে কেউ এই আসনে নির্বাচন করলে পরাজয়ের আশঙ্কা আছে। 
আরিফুল হক সম্প্রতি লন্ডন সফরে যান। সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন। অন্যদিকে, মুক্তাদির যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে লন্ডন যাবেন। সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করবেন।  
ডা. জোবাইদার পোস্টার নগরীজুড়ে সাঁটানোর পর অনেকেই ফেসবুকে তাঁকে সিলেটের অভিভাবক হিসেবে  আখ্যায়িত করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ডা. জোবাইদা সিলেট-১ আসনে নির্বাচন করলে ঐক্যবদ্ধ হবে সিলেটের বিএনপি। 

আরিফুল হক চৌধুরী লন্ডন থেকে আসার পর নিজ বাসায় নেতাকর্মীকে বলেন, ‘তারেক রহমান সিলেটের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আগামী নির্বাচনে দলকে সিলেটের ১৯ আসন উপহার দিতে চাই। এ জন্য সিলেটের একজন অভিভাবক দরকার। আমি নেতার কাছে দাবি করেছি, এমন একজন নেতা দরকার, যাকে ঘিরে সিলেটে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হবে এবং সিলেট বিভাগের মানুষ আশার আলো দেখবে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য তারেক রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কাউকে সিলেট-১ আসনে নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছি। এতে সিলেটবাসীর ১৭ বছরের বঞ্চনার অবসান হবে।’
পোস্টার প্রসঙ্গে নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ডা. জোবাইদা রহমান সিলেটের কৃতীসন্তান। তাঁর রাজনীতিতে আসা, নির্বাচন করা অথবা সিলেট-১ আসন চাওয়াটা কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু পরিচয়বিহীন পোস্টার লাগিয়ে তাঁকে প্রার্থী করার দাবি জানানোর প্রক্রিয়াটি অস্পষ্ট। নগরীজুড়ে সাঁটানো পোস্টারগুলো বেনামি। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, সিলেট বিএনপি এই মুহূর্তে দু’ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, আরেক পক্ষে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। তারা দু’জনেই হাল ধরে আছেন বিএনপির। একজন দু’বার নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। আরেকজন ছিলেন দু’বারের মেয়র। এ অবস্থায় তাদের প্রকাশ্য বিরোধ থামাতে হলে জিয়া পরিবারের কেউ নির্বাচন করলে সিলেটের রাজনীতির সমীকরণ অনেকটা পাল্টে যাবে। সিলেট হবে বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দেখেন ২২৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • ভ্যাটিকানে কেন একজন আমেরিকান পোপ
  • সাহিত্যের এক দিকপাল ও দিশারি
  • খুলনায় মাহিন্দ্র-লরির সংঘর্ষে নিহত ৩
  • কেন ফুটবলাররা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে কথা বলেন
  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, তিনজন খালাস
  • মৃত সন্তানকে নিয়ে গুলতেকিন খানের আবেগঘন পোস্ট
  • ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যা: কিছু প্রশ্ন ও প্রস্তাব
  • আরিফ-মুক্তাদিরের আসনে জোবাইদার পোস্টার