ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এই পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

‎‎ইসদাইরের রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতির বক্তব্যে মশিউর রনি বলেন,  আমি সব সময় এই স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজে যে কোন বিষয় স্কুলের পড়াশোনার ক্ষেত্রে স্কুলের অভিভাবকদের যে কোন সমস্যা আমরা সমাধান করব, আমাদের ভিতরে এক সময় যে বৈষম্যহীনতা ছিলো সেটা আর আমাদের এই রাবেয়া স্কুল আর বৈষম্য থাকবে না ইনশাআল্লাহ বৈষম্যহীন বাদে আমরা এই রাবেয়া স্কুলে চলাফেরা করবো।

একজন ডাক্তারের সন্তানের এই স্কুলে যে অধিকার রয়েছে একজন রিস্কাওয়ালার শ্রমিকের সন্তানের সমপরিমাণ অধিকার এই স্কুলে থাকবে। আমি যতদিন এই স্কুলের সভাপতি দায়িত্বে থাকবো আমি এই বিষয়গুলো ততদিন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাবো, আমি আপনাদের এতটুকু আশ্বস্ত করতে চাই।

বিশেষ করে এই স্কুলের যারা শিক্ষক তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই আপনারা আপনাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আপনারা যে গাইড করবেন তারা যেন স্কুল থেকে বের হবার পরেও তা মনে রাখে, তারা যেন কোন মাদকাসক্ত ছেলেদের সাথে বা বখাটে ছেলেদের সাথে চলাফেরা না করে সে বিষয়গুলো আপনারা গাইড করবেন। 

‎‎ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা মাদকের সংস্পর্শে যাবো না কোন খারাপ ছাত্রদের সাথে চলাফেরা করবো না মাদক যে সেবন করে সে কখনো ভালো হতে পারে না, একজন মাদক সেবী সে কখনো ডাক্তার হতে পারবে না একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না সেজন্য মাদক সেবীদের থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে কখনোই মাদকের সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না।

‎‎রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.

মিজানুর রহমান এর  সাভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মিসেস শরীফা মজিদ, ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির  সভাপতি মশিউর রহমান রনি, মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মাহবুবা জামান, ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মিসেস শরীফা মজিদ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান উজ্জ্বল সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ। 

‎‎উল্লেখ্য গত ২৯ এপ্রিল ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ইসদাইরের রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।  বোর্ডের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এই স ক ল র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। শনিবার (১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ঘোষিত চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, বুধবারের নির্বাচনে তিনি ৯৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। খবর বিবিসির। 

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে স্বচ্ছতার অভাব এবং ব্যাপক অস্থিরতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন ঘিরে দেশটিতে গত কয়েক দিনে সহিংসতায় কয়েক শ’ মানুষ নিহত ও বহু আহত হয়েছে। দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নিহতের সঠিক সংখ্যা যাচাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরকার সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অস্থিরতা দমনে দেশজুড়ে কারফিউও বাড়ানো হয়েছে।

ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) দলের প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভোটের আগে ভিন্নমত পোষণকারী ও বিরোধীদের ওপর কঠোর দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। প্রধান দুই বিরোধী দলকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।

ফলে নির্বাচনের পরই বৃহত্তম নগরী দার-এস-সালাম ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবারও বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। অস্থিরতা বন্ধ করার জন্য সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা সামিয়ার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং অসংখ্য গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন এবং থানায় আগুন দেয়। 

বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশিরভাগ তরুণ বিক্ষোভকারীরা, যারা নির্বাচনকে অন্যায্য বলে সমালোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার প্রধান বিরোধী নেতাদের দমন করে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করছে। প্রধান দুই বিরোধী নেতার মধ্যে একজন কারাগারে রয়েছেন এবং অন্যজনকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিরোধী চাদেমা দলের একজন মুখপাত্র শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তানজানিয়ার একটি কূটনৈতিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫০০ জন মারা যাওয়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কম্বো থাবিত এই সহিংসতাকে ‘এখানে-সেখানে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা বাহিনী খুব দ্রুত ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করেছে।”

প্রধান দুই বিরোধী দলীয় নেতার মধ্যে চাদেমা দলের টুন্ডু লিসুকে নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রদোহের অভিযোগ আটক করা হয়, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এসিটি-ওয়াজালেনডো দলের নেতা লুহাগা এমপিনাকে আইনি কৌশল খাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

১৬টি প্রান্তিক দল, যাদের কারোরই ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন ছিল না, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

সামিয়ার ক্ষমতাসীন দল সিসিএম, দেশটির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে কখনও কোনো নির্বাচনে সিসিএম হারেনি।

নির্বাচনের আগে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিরোধী ব্যক্তিত্বদের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের নিন্দা জানিয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর ২০২১ সালে তানজানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামিয়া ক্ষমতায় আসেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া