সাবেক এমপি মান্নানের আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধনীতে হামলা, সাংবাদিক আহত
Published: 21st, May 2025 GMT
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের বিপণিবিতান ও আবাসন প্রকল্প ‘সুবর্ণ সিটি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে একদল যুবক। স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদল নেতাকর্মীরা এই হামলা চালান বলে অভিযোগ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হারিছ চৌধুরীর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা অনুষ্ঠানস্থলের তোরণ এবং ভেতরের চেয়ার ভাঙচুর করেন। এ সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারসনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁর ক্যামেরায় আঘাত করার পাশাপাশি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন হামলাকারীরা। অন্যান্য সংবাদকর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয়। অনুষ্ঠানস্থলের পাশে চরজব্বর থানার একদল পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টায় সুবর্ণচর উপজেলার হারিছ চৌধুরীর বাজারের পূর্ব পাশে সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়কের পাশে ‘সুবর্ণ সিটি’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই প্রকল্পের মালিক বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান। বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি হেলিকপ্টারে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন এবং কয়েক মিনিট অবস্থান করে গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগমুহূর্তে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান ওরফে অশ্রু, শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো.
হামলার বিষয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান অশ্রু বলেন, এখানে ছাত্ররা এবং যারা স্থানীয়ভাবে বিএনপি করে, সবাই ছিল। মেজর মান্নান ও তাঁর লোকজন এই প্রকল্পের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করছিল। বিষয়টি স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানতে পেরে বাধা দিয়েছেন। সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
চরজব্বার থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, মেজর মান্নানকে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর আখ্যা দিয়ে অনুষ্ঠান এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রকল প র অন ষ ঠ ন ন ত কর ম কর ম র উপজ ল য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, তদন্তের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একদল শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবনের ‘শ্যাডোতে’ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ব্যানারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তবে শেষ পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করে ৯-১০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে আলোচনা করে।
আলোচনা শেষে রাত ৯টার দিকে প্রক্টর অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হল সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আনাগোনা আমাদের বারবার ব্যথিত করছে। প্রশাসনের কাছে যখনই জানতে চাই, তারা বলে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে আমরা আজও জানতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। (২০২৪ সালের) ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার এখনো পর্যন্ত আমরা দেখতে পাইনি।’
আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা রাতের বেলা কলাভবনে বসে বাদাম খান। তাঁদের কাজ কি বাদাম খাওয়া? নাকি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা? সেই প্রশ্ন আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রেখেছি।’
এই ছাত্রনেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবেদন তাঁদের কাছে পেশ করা হবে।