এক দিনে ১৪টি চাকরির পরীক্ষা, কী করবেন পরীক্ষার্থীরা
Published: 22nd, May 2025 GMT
২৩ মে (শুক্রবার) একই দিনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ ১৪টি প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ও বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে এসব পরীক্ষা। এর মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে একই সময়ে। একই দিনে একাধিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা পড়ায় বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
২৩ মে যেসব প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেগুলো হলো বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন বা মানবসম্পদ) পদের পরীক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরীক্ষা, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ৯ ক্যাটাগরির লিখিত পরীক্ষা, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অফিস সহায়ক, মেশিনম্যান, সহকারী স্টোরকিপার, চেইনম্যান, প্যাকার ও মেশিনম্যান কাম ক্লিনার পদের পরীক্ষা, বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানার তিনটি পদের লিখিত পরীক্ষা।
ওই দিন আরও যেসব পরীক্ষা আছে, সেগুলো হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লিখিত পরীক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা, জনতা ব্যাংকের অফিসার (রুরাল ক্রেডিট বা আরসি) পদের মৌখিক পরীক্ষা, বাংলাদেশ চা বোর্ডের বিভিন্ন পদের পরীক্ষা, ফরিদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরীক্ষা, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অফিস সহকারী পদের লিখিত পরীক্ষা, নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাঁচটি পদের লিখিত পরীক্ষা, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লিখিত পরীক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডের বিভিন্ন পদের ব্যবহারিক পরীক্ষা।
একই দিনে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা পড়ায় কোনো কোনো পরীক্ষার্থীর তিন থেকে চারটি পরীক্ষা পড়েছে আগামী শুক্রবার। কারও পরীক্ষা পড়েছে একই সময়ে। ফলে টাকা দিয়ে আবেদন করেও পরীক্ষা দিতে পারবেন না অনেক চাকরিপ্রার্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চাকরির গ্রুপগুলোয় এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এ সমস্যার সমাধান চান চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে ৬৬২ পদে বিশাল নিয়োগ, করুন আবেদন ২১ মে ২০২৫খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থী রবিউর রহমান চৌধুরীর তিনটি চাকরির পরীক্ষা পড়েছে শুক্রবার। এর মধ্যে সকালে একটি এবং বিকেলে দুটি একই সময়ে। রবিউর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘একই দিনে তিনটি পরীক্ষা পড়ায় এখন কোন পরীক্ষাটি বাদ দেব, সেটা বুঝতে পারছি না। তিনটি পদই গুরুত্বপূর্ণ। এসব চাকরির জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার এত দিনের প্রস্তুতি আর আবেদন ফি, দুটিই বৃথা হয়ে গেল। সময় নষ্ট তো আছেই।’
ছবি: প্রথম আলো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ল খ ত পর ক ষ র ন য় গ পর ক ষ চ কর প র র থ র পর ক ষ একই দ ন চ কর র
এছাড়াও পড়ুন:
হামাস গাজার ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে: শীর্ষ কর্মকর্তা
হামাস ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি জানান, গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা কাঠামো ভেঙে পড়ার ফলে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করছে স্থানীয় সশস্ত্র গোত্রগুলো।
ওই কর্মকর্তা বলেন, কয়েক মাস ধরে চলা ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, যা সংগঠনটির রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্বকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
হামাসের ওই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় আহত হন। এর পর থেকে স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বিবিসিকে বেশ কিছু ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছেন। ভয়েস মেসেজগুলোতে ওই কর্মকর্তা হামাসের অভ্যন্তরে ভাঙনের এবং গাজাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রায় পুরোপুরি পতনের একটি চিত্র তুলে ধরেন। সংঘাত শুরুর আগে অঞ্চলটি হামাসের শাসনাধীন ছিল।ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘চলুন বাস্তববাদী হই — নিরাপত্তা কাঠামোর প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। নেতৃত্বের প্রায় ৯৫ শতাংশ এখন মৃত... সক্রিয় ব্যক্তিরা সবাই মারা গেছেন। তাহলে ইসরায়েলকে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া থেকে আটকাবে কিসে?’
গত সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঘোষণা দেন যে, ‘সামরিক কাঠামো হিসেবে হামাস আর অস্তিত্ব নেই। তারা এখন গেরিলা যুদ্ধে লিপ্ত।’
ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তার মতে, চলতি বছরের শুরুতে ইসরায়েলের সঙ্গে ৫৭ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় হামাস তাদের রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা পরিষদ পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মার্চে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আবার হামাসের অবশিষ্ট নেতৃত্ব কাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এর ফলে সংগঠনটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে
আরও পড়ুনআগামী সপ্তাহেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে: ট্রাম্প০৫ জুলাই ২০২৫হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলি: এটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। একেবারে শেষ। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’ তিনি বলেন, ‘মানুষ হামাসের সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনীর (আনসার) কার্যালয় লুট করেছে, যা হামাস গাজা শাসনের জন্য ব্যবহার করত।
ওই কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তা শূন্যতার ফলে গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী বা গোত্র ‘সর্বত্র’ ছড়িয়ে পড়েছে। ‘তারা আপনাকে থামাতে পারে, হত্যা করতে পারে। কেউ বাধা দেবে না। কেউ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে ইসরায়েল আধ ঘণ্টার মধ্যে বোমাবর্ষণ করে।
গত ২৬ জুন ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় গাজার একটি বাজারে অন্তত ১৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামলার সময় সেখানে দাম বৃদ্ধি ও ত্রাণ লুটের অভিযোগে অভিযান চালাচ্ছিল হামাসের পোশাকবিহীন পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুনমার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে প্রাণ গেছে ৭৪৩ ফিলিস্তিনির১৪ ঘণ্টা আগেঅন্যদিকে গাজার দক্ষিণে ছয়টি সশস্ত্র গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে, যারা স্থানীয় ক্ষমতাসীন গোত্রের সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে যাসের আবু শাবাব নামে এক নেতা পশ্চিম তীরে হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের নজর কাড়েন। ইসরায়েল তাঁকে অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে জানা গেছে। হামাস তাঁকে হত্যার জন্য বড় অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
গাজার কয়েকটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, আবু শাবাব ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী একটি যৌথ পরিষদ গঠন করে হামাসকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছে।
গাজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতর চরম অবনতি ঘটেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছে। হামাসের জন্য এখন ইসরায়েলি হামলার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বীরা বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুনইসরায়েলিদের হামলা-নির্যাতন: অতিষ্ঠ বেদুইন পরিবারগুলো ছাড়ছে পশ্চিম তীর০৫ জুলাই ২০২৫