নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার তিরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাঁদা দাবির অভিযোগ ও অভিভাবক সমাবেশে দাওয়াত না দেওয়া নিয়ে ছাত্রদলের দু‌ই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদ্রাসা মাঠে এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন— তিরাইল গ্রামের শাকিল হোসেন (২৩), হৃদয় হোসেন (২৮), ইয়ামিন হোসেন (২৩), রিয়াদ হোসেন (২২) ও ইয়াছিন আরাফাত আকিব (২৩)। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আদালতের রায়ে পুনর্বহাল হওয়া মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবুল হোসাইন সাঈদী দায়িত্ব পালনে ফিরলে মাঝগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাবউদ্দিন শিমুল তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এছাড়া অভিভাবক সমাবেশে সুপারকে দাওয়াত না দেওয়া নিয়েও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার অভিভাবক সমাবেশ চলাকালে শিমুল ও তার সমর্থকরা মাদ্রাসায় এসে সুপারের যোগদানে আপত্তি জানায় এবং সমাবেশ বন্ধ করে দেয়। তখন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ বিষয়ে শিহাবউদ্দিন শিমুল বলেন, মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন মামলার কারণে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি পোষাতে সুপারকে ওই টাকা দিতে বলেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো টাকা চাইনি।

অন্যদিকে, মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবুল হোসাইন বলেন, আদালতের রায়ে বৈধভাবে কাজে যোগদান করেছি। কিন্তু শিমুল আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন। তা না দিলে মাদ্রাসায় না আসার হুমকি দিয়েছেন। আজ মাদ্রাসায় এসে তারা সমাবেশেও বাধা দেয়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ন ত ছ ত রদল স ঘর ষ ছ ত রদল র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা বহাল

বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং দেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোনো সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে- পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪ স্থানে ভাঙন, পানির নিচে ৩০ গ্রাম

মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি ফেনীতে, মুহুরী নদীর ৭ স্থানে বাঁধে ভাঙন

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সব মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। 

এছাড়া, পটুয়াখালী, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় এসব অঞ্চলের নদী বন্দর সমূহকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে পটুয়াখালীতে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২০০.২ মিলমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। 

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে। তবে উপকূলীয় এলাকায় দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।”

ঢাক/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ