চকরিয়ায় বাড়ির উঠানে ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ী নিহত
Published: 23rd, May 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ছুরিকাঘাতে মনির আহমদ (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘনশ্যাম বাজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনির আহমদ ওই এলাকার আবু সিদ্দিকের ছেলে ও চকরিয়া পৌর শহরের মাছ ব্যবসায়ী।
স্থানীয় লোকজন জানান, চকরিয়া পৌর শহরে গতকাল রাতে মাছ বিক্রি শেষে বাড়ি ফেরেন মনির আহমদ। বাড়ির উঠানে পৌঁছানোর পর কয়েকজন দুর্বৃত্ত মনিরকে মারধর করে। একপর্যায়ে মনিরের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে পরিবারের লোকজন মনিরকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসকেরা। চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে মারা যান মনির।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চকর য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’
দেশব্যাপী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের আলোচনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না। শুক্রবার (২৩ মে) নিজের ফেসবুক পেজে ওই পোস্ট দিয়ে তৈয়্যব এ কথা জানান।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘‘অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের (গণতান্ত্রিক রূপান্তর) জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে।’’
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘‘বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে- এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদের দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।’’
বিশেষ সহকারী বলেন, ‘‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।”
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, ‘‘দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র কোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি, তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এসময়ে সব যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তবে ডিসেম্বর থেকে জুনে দেওয়া রোডম্যাপ মতে নির্বাচনের এক্সাক্ট ডেট (সুনির্দিষ্ট তারিখ) ঘোষণার এখতিয়ার শুধুমাত্র স্যারের। স্যারের এখতিয়ার অন্য কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না।”
তিনি বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্ট-২৫-এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উদযাপন করব, ইনশাল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’’
ঢাকা/তারা/এস