কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ছুরিকাঘাতে মনির আহমদ (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘনশ্যাম বাজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনির আহমদ ওই এলাকার আবু সিদ্দিকের ছেলে ও চকরিয়া পৌর শহরের মাছ ব্যবসায়ী।

স্থানীয় লোকজন জানান, চকরিয়া পৌর শহরে গতকাল রাতে মাছ বিক্রি শেষে বাড়ি ফেরেন মনির আহমদ। বাড়ির উঠানে পৌঁছানোর পর কয়েকজন দুর্বৃত্ত মনিরকে মারধর করে। একপর্যায়ে মনিরের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে পরিবারের লোকজন মনিরকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসকেরা। চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে মারা যান মনির।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

শফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার বেলা তিনটা পর্যন্ত মামলার কোনো এজাহার জমা দেওয়া হয়নি বলে জানান ওসি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চকর য়

এছাড়াও পড়ুন:

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাইছে চরের দল: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যারা ১৪ দলের নামে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল, তারাই এখন সংস্কার কমিশনে এসে বড় বড় কথা বলছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাইছে, তারা একটি চরের দল। তারা আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচনের বৈধতা দিয়েছিল।

শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। চুনকুটিয়ার শুভাঢ্যা গার্লস স্কুল প্রাঙ্গণে ‘দ্রুত নির্বাচনে’র দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্রের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্বল্পমেয়াদী সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। জনগণ ম্যান্ডেট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনলে সংবিধানসহ সব সংস্কার বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, দ্বিমত ও বিরোধিতা থাকলেও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেউ যদি সংস্কার ও বিচারের নামে দীর্ঘমেয়াদে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে চায় সেটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও সংগ্রাম করবে বিএনপি।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও হাতে নেই। একজন ভদ্রলোক মানুষ ওয়াদা করছেন, তিনি তার ওয়াদা পূরণ করবেন, যথাসময়ে নির্বাচন দেবেন, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা ধৈর্য ধরে আছি।

জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, শিক্ষা আর স্বাস্থ্য দুইটা দখল করছে জামায়াত। ওখানে আর কারও কোনো ঠাঁই নাই। যারা নির্বাচন চায় না, সংস্কার সংস্কার করে, তারা তো ভারতের দালাল। এরাই কিন্তু আওয়ামী লীগের জঘন্য লোকদের তাদের দলের সদস্য বানাইতেছে গোপনে। পরাগ মণ্ডল যে অপহরণ হলেন, আপনার সবাই জানানে কে অপহরণ করেছে। এখন শুনি তিনি জামায়াতের নেতা। জামায়াত কী জিনিস আপনারা একটু চিনে রাখেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিলেমিশে দুই ইজারাদারের সরকারি বালু আত্মসাৎ
  • জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শামিম আহমদ আর নেই
  • দুদককে চিঠি দেওয়ার বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • দুদক চেয়ারম্যানের সহযোগিতা চেয়েছি, কোনো নির্দেশ দিইনি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • টেলিযোগাযোগ লাইসেন্সকে ঘিরে স্বার্থান্বেষীদের রোষানলে পড়েছি: তৈয়্
  • টেলিযোগাযোগ লাইসেন্স নিয়ে মাফিয়াদের রোষানলে পড়েছি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক গ্রেপ্তার
  • সালাহউদ্দিন আহমদকে তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
  • যারা পিআর পদ্ধতির কথা বলে, তাদের ভোট নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাইছে চরের দল: সালাহউদ্দিন আহমদ