রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার শহীদ জিয়া পার্কের ভিতরে পশ্চিম পাশের ফটকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন পাঁচজন। শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা–সংলগ্ন শহীদ জিয়া পার্কের ভিতরে পশ্চিম পাশের ফটক–সংলগ্ন স্থানে ককটেলটি নিক্ষেপ করা হয়। ককটেলটি একটি জর্দার ডিব্বায় স্কচটেপ দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। ফ্লাইওভারের মাওয়াগামী লেনের ওপর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা এটি নিক্ষেপ করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

যাত্রাবাড়ী থানা–পুলিশ জানায়, ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে পার্কের ভিতরে নার্সারির কর্মচারী জুয়েল (৪০) ও সোহানসহ (২৪) কয়েকজন আহত হন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

কামরুজ্জামান তালুকদার রাত একটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। একজন হাতে আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে স্থানীয় সাফা-মারওয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিরা সামান্য আঘাত পেয়েছেন। পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আহত জুয়েলের ভায়রা মো. শাকিল জানান, বৃক্ষমেলার ভেতরে হঠাৎ একটি ককটেল বিস্ফোরিত হলে তার ভাই জুয়েল ব্যাপারী বাঁ হাত ও বাঁ পায়ে স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন। পরে রাত আনুমানিক ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে কীভাবে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি শাকিল।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, আহত জুয়েলের চিকিৎসা ঢামেকের জরুরি বিভাগে চলছে।

জুয়েল ব্যাপারীর গ্রামের বাড়ি তেজগাঁওয়ের বুনিয়াপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। বর্তমানে তিনি থাকেন যাত্রাবাড়ীর তুষারধারা সাদ্দাম মার্কেট এলাকায়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ