খেলাপি ঋণ রাইট অফ করার শর্ত শিথিল
Published: 20th, October 2025 GMT
এখন থেকে ৩০ দিন আগে নোটিশ দিয়ে মন্দ মানে শ্রেণিকৃত যে কোনো খেলাপি ঋণ রাইট অফ (অবলোপন) করা যাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন সুযোগ দিয়ে খেলাপি ঋণ রাইট অফ করার মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যালান্সশিট বা স্থিতিপত্র থেকে আলাদা করার শর্ত শিথিল করেছে। আগে মন্দ ও ক্ষতিজনক মানের ঋণ ২ বছরের পুরোনো না হলে রাইট অফ করার সুযোগ ছিল না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে রবিবার (১৯ অক্টোবর) খেলাপি ঋণের রাইট অফ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
আরো পড়ুন:
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি বোর্ড গঠনে নীতিমালা অনুমোদন
‘জাল টাকার খবরের’ পর সতর্ক থাকতে চার পরামর্শ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী ঋণ হিসাবসমূহকে স্থিতিপত্রে প্রদর্শনের ফলে ব্যাংকের স্থিতিপত্রের আকার অনাবশ্যক স্ফীত হয়। এ প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক ওই সব মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণ অবলোপন করা হয়। যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি।
আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, যে সব ঋণ হিসাব ২ (দুই) বছর মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত রয়েছে সে সব ঋণ হিসাব অবলোপনের সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আগের সার্কুলারের অনুচ্ছেদ সংশোধনের আবশ্যকতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া, ঋণ অবলোপন পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা তার ঋণের সম্পূর্ণ দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত যথানিয়মে খেলাপী ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত হন বিধায় অবলোপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে ঋণগ্রহীতাকে অবহিতকরণের আবশ্যকতা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সার্কুলারে বর্ণিত নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগের নির্দেশনায় যেসব বিষয় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে- মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত এবং ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ এরূপ ঋণ হিসাব অবলোপন করা যাবে। তবে, অধিকতর পুরোনো মন্দ ও ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকৃত ঋণগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবলোপন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ঋণ হিসাব অবলোপনের ৩০ কার্যদিবস পূর্বে ঋণগ্রহীতাকে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে ঋণ অবলোপনের বিষয়টি অবহিতকরণ নিশ্চিত করতে হবে।
ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা মোতাবেক অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের বিপরীতে আদায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে নগদ প্রণোদনা প্রদান করা যাবে।
কোনো ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের বিপরীতে নগদ প্রণোদনা প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা না থাকলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে তা প্রণয়ন করতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঋণ হ স ব ক ত ঋণ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে মেলায় জুয়ার আসর, বন্ধে ৩ দিনের আল্টিমেটাম
গাজীপুরের শিমুলতলী এলাকায় বাণিজ্য মেলার আড়ালে জুয়ার আসর ও লটারির নামে প্রতারণা চলছে। সেই মেলা বন্ধ করতে প্রশাসনকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর শিববাড়ি-শিমুলতলী সড়ক অবরোধ করে মেলা বন্ধের জন্য বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা৷ এতে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকে।
আরো পড়ুন:
লালন মেলায় মাদক কারবারিদের মারধরে সাংবাদিক আহত
গাজীপুরে মেলায় হেলে পড়লো নাগরদোলা, আহত ৫
সেখানে বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘‘প্রবেশমূল্যের নামে প্রতিটি দর্শনার্থীর কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। সেই টিকিট দিয়ে ‘লটারি কুপন’ বলে দাবি করে বড় পুরস্কারের লোভ দেখানো হচ্ছে। জুয়ার পাশাপাশি অশ্লীল নাচগান চালিয়ে যুবসমাজকে নষ্ট করছে৷ প্রতিদিন অটোরিকশা দিয়ে মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার লটারি বিক্রি করা হচ্ছে। লটারি যারা পাচ্ছে, তারা মেলার কর্তৃপক্ষের সাজানো লোকজন। আমরা শুনেছি, প্রশাসন নাকি এক কোটি টাকা খেয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে যদি এই মেলা বন্ধ না করা হয়, আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেবো।’’
গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির পক্ষে অবহিতকরণ চিঠি বিতরণ করা হয়। চিঠির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘বেনারশী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের স্বত্বাধিকারী বাদল মিয়া ‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প’ মেলার আয়োজন করেছে।’’
গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ মেলা আয়োজনের জন্য অনুমতির চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেনি কর্তৃপক্ষ। তারা একটি অবহিতকরণ চিঠি দিয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর অননুমোদিত মেলা বন্ধ করার জন্য মহানগর পুলিশকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। মেলার বিষয়ে পার্শ্ববর্তী ডুয়েটের শিক্ষার্থীরাও আপত্তি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে।
এ বিষয়ে মেলা আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল