সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘জন্মসনদ তাঁর প্রাপ্য, যে কোনো সময়, যে বয়সেই হোক, তাঁকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কী করতে হবে, সৃজনশীল হতে হবে। এটা থেকে আমাদের নিয়ম বের করতে হবে।’ এই আহ্বান নাগরিক সমাজ ও সরকারি সংস্থাগুলোর চলমান জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে নতুন গতি আনছে বলে মনে করা হচ্ছে।

জন্ম নিবন্ধন প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সুরক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে অনেক সময় মানুষ প্রক্রিয়াগত জটিলতা এবং তথ্যের অভাবে নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হন। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকায় ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রক্রিয়া বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময় কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়। নারী মৈত্রী ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে  এবং গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহায়তায় আয়োজিত এই অর্ধদিবস কর্মশালায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, সচিব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা, ওয়ার্ড-ভিত্তিক নিবন্ধক এবং সংশ্লিষ্ট সিভিল রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সরকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বর্তমান জাতীয় নীতি ও আইনি কাঠামো সম্পর্কে আলোচনা এবং মাঠ পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ এবং সুপারিশ নিয়ে সরাসরি মতবিনিময় ছিল এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য।

কর্মশালায় নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কেবল একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, এটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ। এই উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে সরকারের কার্যকারিতা ও জনগণের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে। আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠানগুলোও সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারবে।’

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ৭০ শতাংশ জন্ম স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ঘটে; কিন্তু জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাথমিক তথ্যদাতা হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় অনেক জন্ম নিবন্ধিত হয় না। এই অপূর্ণতা শিশুর আইনগত পরিচয় দান বিলম্বিত করে, ফলে তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানাই যেন আইনটি সংশোধন করে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রাথমিক তথ্যদাতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যাতে প্রতিটি শিশুকে জন্ম থেকেই গণনা ও সুরক্ষার আওতায় আনা যায়।’

কর্মশালায় নারী মৈত্রী কর্তৃক ‘নাগরিক নিবন্ধন ব্যবস্থা (সিআরভিএস) ও এর গুরুত্ব’ এবং ‘সরকারি উদ্যোগ ও সুপারিশ’ নিয়ে কারিগরি অধিবেশন পরিচালিত হয়। ভাইটাল স্ট্র্যাটিজিস-এর বাংলাদেশের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর মো.

নজরুল ইসলাম ‘বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন: নীতি ও চর্চা’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, ‘২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে অনূর্ধ্ব এক বছর বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধন হয়েছে ৫ শতাংশ এবং একই সময়ে মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে নিবন্ধন হয়েছে ৯ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে টাস্কফোর্সের নিয়মিত সভা অনুষ্ঠান এবং স্বাস্থ্য বিভাগের  সাথে নাগরিক নিবন্ধনের নিবিড় সংযোগ অত্যন্ত জরুরি।’

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীগণ মতবিনিময়ের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কর্মরতরা বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য করণীয় বিভিন্ন পদক্ষেপের পরামর্শ দেন। তারা উল্লেখ করেন, সরকারি অফিসে পর্যাপ্ত রিসোর্সের অভাব রয়েছে, যা কাজের গতি ব্যাহত করে। মাঠপর্যায়ে তারা প্রতিনিয়ত যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, সে সম্পর্কে সরকার সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করলে বাস্তবভিত্তিক নীতিনির্ধারণ সম্ভব হবে। নিজেদের সমস্যাগুলো জানানোর বা মত প্রকাশের সুযোগও তারা পান না বলে আক্ষেপ করেছেন কেউ কেউ।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ নির্দেশনা পেলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সমস্যাগুলোর সমাধান স্বাস্থ্য বিভাগ দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির সব সুযোগ এখনই বন্ধ করতে হবে।’

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘যার জন্ম নিবন্ধন, তিনি নিজে বা তার অভিভাবক এসে নিবন্ধন কার্য সম্পন্ন করবেন। এ ছাড়া, বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সব জায়গায় শিশুর বয়সের মানদণ্ড একই রকম করতে হবে।’

এই কর্মশালার মাধ্যমে সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠান ও মাঠ প্রশাসনের মধ্যে একটি কার্যকর সংযোগ তৈরি হবে এবং ভবিষ্যতে তা নাগরিক নিবন্ধন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সহায়ক হবে বলে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জন ম ও ম ত য কর মকর ত পর য য ক ন বন প রক র স রক ষ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

হজের ইতিহাসে আক্রমণ ও ডাকাতি

রাজনৈতিক সংঘাত, মহামারি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও আগ্রাসী আক্রমণ এবং হজযাত্রীদের লুণ্ঠন হজের আয়োজনকে ব্যাহত করেছে। এই তৃতীয় পর্বে আমরা মঙ্গোল ও ক্রুসেডারদের আক্রমণ, সামাজিক-অর্থনৈতিক কারণ এবং হজের পথে ডাকাতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।

মঙ্গোল ও ক্রুসেডারদের আক্রমণ

মঙ্গোল ও ক্রুসেডারদের আক্রমণ মুসলিম অঞ্চলগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে হজের পথকে বিপজ্জনক করে তুলেছিল। মঙ্গোলদের আক্রমণ ৬১৫ হিজরি (১২১৮ খ্রি.) সনে শুরু হয়, যখন তারা মঙ্গোলিয়া ও উত্তর চীন থেকে খোয়ারিজমীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এই আক্রমণ ইরান, ইরাক এবং মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংস করে দেয়। আবু শামা মাকদিসি (মৃ. ৬৬৫ হি.) তাঁর আয-যাইল আলা আর-রাওযাতাইন গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে ৬১৭ হিজরি (১২২০ খ্রি.) সনে খোরাসান ও পারস্য অঞ্চল থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি, কারণ মঙ্গোলদের ভয়ে পথ অনিরাপদ হয়ে পড়েছিল।

৬৩০ হিজরি (১২৩৩ খ্রি.) থেকে মঙ্গোলদের আক্রমণ ইরাকের দিকে মোড় নেয়, যা আব্বাসি খিলাফতের কেন্দ্র বাগদাদকে হুমকির মুখে ফেলে। ইমাম জাহাবি (মৃ. ৭৪৮ হি.) তাঁর তারিখ আল-ইসলাম গ্রন্থে বলেছেন যে এই সময়ে ইরাক থেকে হজ বন্ধ হয়ে যায়, কারণ মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে যুদ্ধে অংশ নিতে হয়। আব্বাসি খলিফা মুস্তানসির বিল্লাহ (মৃ. ৬৪০ হি.) হজ ত্যাগ করে মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফতোয়া পান। এই সিদ্ধান্ত হজ বন্ধের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল। ৬৫৬ হিজরি (১২৫৮ খ্রি.) সনে মঙ্গোলরা বাগদাদ দখল করে আব্বাসি খিলাফতের পতন ঘটায়, যা ইরাক থেকে হজ বন্ধের সময়কালকে আরও দীর্ঘায়িত করে।

ক্রুসেডারদের আক্রমণও হজের ওপর প্রভাব ফেলেছিল। ৪৯২ হিজরি (১০৯৯ খ্রি.) সনে ক্রুসেডাররা ফিলিস্তিন ও শামের উপকূলীয় অঞ্চল দখল করে। ইবনে কাসির (মৃ. ৭৭৪ হি.) তাঁর আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে ৬২৪-৬২৭ হিজরি (১২২৮-১২৩১ খ্রি.) সনে শামের হাজিরা তিন বছর ধরে হজে যেতে পারেননি। ক্রুসেডারদের উপস্থিতি ও আইয়ুবি শাসনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব পথের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে। এই আক্রমণগুলো হজের পথে ভয় ও অস্থিরতা ছড়িয়ে দেয়, যা হাজিদের যাত্রাকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছিল।

আরও পড়ুনহজের ইতিহাসে মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ২৪ মে ২০২৫কখনো কখনো শাসকেরাও লুটেরাদের সঙ্গে সমঝোতা করতেন। ৩৮৫ হিজরি সনে বদর ইবনে হাসানওয়াইহ কুর্দি (মৃ. ৪০৫ হি.) আসফার আরাবিকে ৫ হাজার দিনার প্রদান করেন, যাতে হাজিরা নিরাপদে যাত্রা করতে পারেন।

সামাজিক-অর্থনৈতিক বাধা

হজ পালনের জন্য অর্থনৈতিক সামর্থ্য এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাতেমি ও আব্বাসিদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সময় মিসর ও ইরাকে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ইবনে জাওজি (মৃ. ৫৯৭ হি.) তাঁর আল-মুনতাজাম গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে ৪১১ হিজরি (১০২১ খ্রি.) সনে দক্ষিণ ইরাকের ওয়াসিতে যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের কারণে হজে গমন বন্ধ হয়ে যায়। এই অর্থনৈতিক সংকট হাজিদের জন্য পথের খরচ বহন করা অসম্ভব করে তুলেছিল।

৪৪১ হিজরি (১০৫০ খ্রি.) সনে বাগদাদে সুন্নি-শিয়া দাঙ্গা হয়, যা ইবনে কাসিরের বর্ণনা অনুযায়ী হজে যাতায়াত বন্ধের কারণ হয়। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত হাজিদের মধ্যে ভয় ও অনাস্থা সৃষ্টি করে, যার ফলে তাঁরা হজে যাওয়া থেকে বিরত থাকতেন।

ডাকাতি ও লুটপাট

আরব উপদ্বীপের মরুভূমি এবং অন্যান্য অঞ্চলের পথে বেদুইন ও অন্যান্য লুটেরা গোষ্ঠী হাজিদের কাফেলার ওপর হামলা চালাত। ইবনে আসির (মৃ.৬৩০ হি.) তাঁর আল-কামিল গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে ৩৮৪ হিজরি (৯৯৫ খ্রি.) সনে আসফার আরাবিকে নামক একজন বেদুইন নেতা হাজিদের পথ রোধ করে এবং তাদের সম্পদ দাবি করে। আলোচনার পর হাজিরা সময়ের অভাবে ফিরে আসেন এবং হজ পালন করতে পারেননি।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল ৪২৪ হিজরি (১০৩৪ খ্রি.) সনে। ফাসি (মৃ. ৮৩২ হি.) তাঁর শিফা আল-গারাম গ্রন্থে বলেছেন যে এই বছরে ইরাক ও মিসর থেকে হাজিরা বেদুইনদের ভয়ে হজে যেতে পারেননি। যাঁরা বসরা থেকে যাত্রা করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও লুটেরারা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁদের সম্পদ লুট করে।

কখনো কখনো শাসকেরাও লুটেরাদের সঙ্গে সমঝোতা করতেন। উদাহরণস্বরূপ, ৩৮৫ হিজরি (৯৯৬ খ্রি.) সনে বদর ইবনে হাসানওয়াইহ কুর্দি (মৃ.৪০৫ হি.) আসফার আরাবিকে ৫ হাজার দিনার প্রদান করেন, যাতে হাজিরা নিরাপদে যাত্রা করতে পারেন। ইবনে তাগরিবারদি (মৃ. ৮৭৪ হি.) এ ঘটনার উল্লেখ করে বলেছেন যে এটি একটি নিয়মিত রীতিতে পরিণত হয়েছিল।

আরও পড়ুনমদিনার হজ কার্যালয় যেন 'বাংলাদেশ'২২ জুন ২০২৪৬৫৬ হিজরি (১২৫৮ খ্রি.) সনে মঙ্গোলরা বাগদাদ দখল করে আব্বাসি খিলাফতের পতন ঘটায়, যা ইরাক থেকে হজ বন্ধের সময়কালকে আরও দীর্ঘায়িত করে।

ফিকহের দৃষ্টিকোণে ডাকাতির প্রভাব

হজের পথে ডাকাতি ও লুটপাট ফিকহের আলোচনায়ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়েছে। ইমাম কাসানি (মৃ. ৫৮৭ হি.) তাঁর বাদাইউস সানাই গ্রন্থে বলেছেন যে পথে নিরাপত্তার অভাব হজের ফরজ হওয়াকে বাতিল করে। মালিকি ফকিহরা দীর্ঘ পথে ডাকাতির ঝুঁকির কারণে হজের বাধ্যবাধকতা স্থগিত করার ফতোয়া দিয়েছিলেন। ইবনে রুশদ (জাদ্দ) (মৃ. ৫২০ হি.) ও তুরতুশি (মৃ. ৫২০ হি.) বলেছেন যে পথের ঝুঁকি হজকে নিষিদ্ধ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।

 আল–জাজিরা ডট নেট অবলম্বনে

পর্ব-২: হজের ইতিহাসে মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ

পর্ব-১: হজের ইতিহাসে রাজনৈতিক ঘটনাচক্র

আরও পড়ুনসহজ ওমরাহ ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ