রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট, দুই রাজনৈতিক সমাবেশকে কারণ বলছে ট্রাফিক পুলিশ
Published: 28th, May 2025 GMT
যেকোনো কর্মদিবসে রাজধানীতে সকালের দিকে যানজট বেশি থাকে। যানজট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্তই বেশি থাকে সাধারণত। তবে এমন সময়েও রাজধানীর বিজয় সরণি থেকে ফার্মগেটমুখী সড়কে এমন যানজট থাকে না আজ বুধবার সকালে যেমন ছিল। বিজয় সরণি থেকে সামনে এগিয়ে একেবারে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত শুধু যানবাহনের সারি। গাড়ি একটুও সরছিল না। এটা সকাল ৯টার ঘটনা।
ফার্মগেট পুলিশ বক্সের কাছে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলছিলেন, এই জ্যাম শাহবাগ পর্যন্ত। সেখানে একটা সমাবেশ হচ্ছে, সে জন্য পুরো এলাকায় জ্যাম।
এরপর সারা শহরে যানজট ছড়িয়ে গেছে। বেলা একটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় যানজট তীব্র আকার নেয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো.
মো. সরওয়ার বলেন, আজ সকালে জামায়াতের নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তির পর শাহবাগে বিপুলসংখ্যক লোক জড়ো হন। তখন সেখানে যানজট শুরু হয়, এটাই শুরু। এরপর ছাত্রদলের সমাবেশের পর এটা আরও বেড়েছে। দুই রাজনৈতিক সমাবেশের কারণেই এত যানজট আজ নগরে।
কারওয়ান বাজারের সামনে দিয়ে যাওয়া এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ে যতদূর চোখ যায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি। উঁচু একটি ভবন থেকে দেখা যায়, আটকে থাকা বাসগুলো থেকে অনেকেই পায়ে হাঁটা শুরু করেছেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, নগরে ঢোকার সব কটি স্থানে আজ অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। আর এটা সামলাতে ডিএমপির উপকমিশনার থেকে শুরু করে পরিদর্শকদের সবাই মাঠে আছেন। যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী নাদিম মাহমুদ আটকে আছেন মগবাজার এলাকায়। তিনি বলেন, ‘সকালে শাহবাগে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এখন মগবাজারে এসে দেখছি রিকশাও নড়ছে না, গাড়ি তো একেবারেই বন্ধ।’
ট্রাফিক সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা খুব একটা নেই।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’