১. ৭৮তম কান উৎসবে কোন বাংলাদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছবির স্বীকৃতি পেয়েছে?
ক. মশারি
খ. ডেমন ফিশ
গ. আলী
ঘ. বাঙালি এক্স-ম্যান
উত্তর: গ. আলী

২. ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত নীতিপত্র—
ক. প্রজেক্ট এসথার
খ. প্রজেক্ট মাসীহ
গ. প্রজেক্ট হলি সিটি
ঘ.

প্রজেক্ট ইসরায়েল
উত্তর: ক. প্রজেক্ট এসথার

৩. বাংলাদেশের বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি কোনটি?
ক. টাঙ্গুয়ার হাওর
খ. চলনবিল
গ. হাকালুকি হাওর
ঘ. নিকলী হাওর
উত্তর: গ. হাকালুকি হাওর

৪. বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক—
ক. সুপ্রিম কোর্ট
খ. জাতীয় সংসদ
গ. আইন মন্ত্রণালয়
ঘ. শাসন বিভাগ
উত্তর: ক. সুপ্রিম কোর্ট

৫. আইন ও সালিশ কেন্দ্র কী ধরনের সংস্থা?
ক. বিচারিক সংস্থা
খ. সরকারি মানবাধিকার সংস্থা
গ. বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা
ঘ. আইন প্রণয়নকারী সংস্থা
উত্তর: গ. বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা

৬. ‘আকাবা’ সমুদ্রবন্দর কোন দেশে অবস্থিত?
ক. মিয়ানমার
খ. ইয়েমেন
গ. জর্ডান
ঘ. ওমান
উত্তর: গ. জর্ডান

৭. জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (UNDP) প্রধান পদ—
ক. মহাপরিচালক
খ. প্রেসিডেন্ট
গ. মহাসচিব
ঘ. প্রশাসক
উত্তর: ঘ. প্রশাসক

৮. আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালিত হয়—
ক. ১৮ এপ্রিল
খ. ২২ মে
গ. ৬ জুন
ঘ. ২৮ মে
উত্তর: খ. ২২ মে

৯. সংক্রামক যৌনরোগ গনোরিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বের প্রথম টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে কোন দেশ?
ক. যুক্তরাষ্ট্র
খ. জার্মানি
গ. ইংল্যান্ড
ঘ. স্পেন
উত্তর: গ. ইংল্যান্ড

১০. কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে যাত্রা শুরু করে হাঁটাপথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানোর ‘সি টু সামিট’ অভিযান সম্পন্ন করেছেন কে?
ক. বাবর আলী
খ. ইকরামুল হাসান শাকিল
গ. শাহরিয়ার আলম
ঘ. ইমামুর রহমান
উত্তর: খ. ইকরামুল হাসান শাকিল

১১. ‘আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার ২০২৫’ জয়ী ভারতীয় লেখক বানু মুশতাক কোন ভাষার লেখক?
ক. বাংলা
খ. তামিল
গ. হিন্দি
ঘ. কন্নড়
উত্তর: ঘ. কন্নড়

১২. ‘চল চল চল’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
ক. সন্ধ্যা
খ. অগ্নিবীণা
গ. সর্বহারা
ঘ. দোলনচাঁপা
উত্তর: ক. সন্ধ্যা

১৩. সম্প্রতি ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC)’–এ যুক্ত হয়েছে কোন দেশ?
ক. তাজিকিস্তান
খ. নেপাল
গ. আফগানিস্তান
ঘ. ভুটান
উত্তর: গ. আফগানিস্তান

১৪. ভোলা জেলাকে বরিশালের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা করেছে কোন নদী?
ক. মেঘনা
খ. তেঁতুলিয়া
গ. ধানসিঁড়ি
ঘ. কীর্তনখোলা
উত্তর: খ. তেঁতুলিয়া

১৫. বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় কত মার্কিন ডলার?
ক. ২,৭৩৮
খ. ২,৮২০
গ. ২,৭৯৩
ঘ. ২,৯৪০
উত্তর: খ. ২,৮২০

১৬. নিক্কেই ফোরামের ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলন কোন দেশে অনুষ্ঠিত হবে?
ক. জাপান
খ. দক্ষিণ কোরিয়া
গ. সিঙ্গাপুর
ঘ. মালেশিয়া
উত্তর: ক. জাপান

১৭. সম্প্রতি কোন আন্তর্জাতিক সংস্থায় ফিলিস্তিন প্রথমবারের মতো পতাকা উত্তোলনের অধিকার পেয়েছে?
ক. UNHCR
খ. UNDP
গ. WHO
ঘ. UNESCO
উত্তর: গ. WHO

১৮. সম্প্রতি হাতির জন্য অভয়ারণ্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কোথায় ?
ক. গারো পাহাড়
খ. কালা পাহাড়
গ. চিম্বুক পাহাড়
ঘ. দুমলং পাহাড়
উত্তর: ক. গারো পাহাড়

১৯. কোন জেলায় বাংলাদেশের প্রথম ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
ক. নারায়ণগঞ্জ
খ. গাজীপুর
গ. কুমিল্লা
ঘ. মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: ঘ. মুন্সিগঞ্জ

২০. কোন সংস্থা জিআই (GI) পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে?
ক. WTO
খ. WIPO
গ. UNESCO
ঘ. IFAD
উত্তর: খ. WIPO (World Intellectual Property Organization) 

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলিম সভ্যতায় দরিদ্রদের চিকিৎসাসেবা

মুসলিম সভ্যতার ইতিহাসে প্রায়ই বিজ্ঞান, স্থাপত্য বা শাসনব্যবস্থার কথা আলোচিত হয়। কিন্তু এর মানবিক দিক অধরা রয়ে যায়। বিশেষ করে দরিদ্রদের প্রতি দয়া ও চিকিৎসাসেবার গল্প আড়ালে রয়ে গেছে সব সময়।

মুসলিম সভ্যতায় কীভাবে দরিদ্র ও অসুস্থদের জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসা, আশ্রয় এবং মানসিক সান্ত্বনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তা এক অপূর্ব কাহিনি।

বিমারিস্তান: দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসার আশ্রয়

মুসলিম সভ্যতায় দরিদ্রদের চিকিৎসাসেবায় ‘বিমারিস্তান’ নামের হাসপাতাল ছিল একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এগুলো শুধু চিকিৎসার জায়গা ছিল না, বরং দরিদ্রদের জন্য বিনা মূল্যে আশ্রয়, খাদ্য ও যত্নের ব্যবস্থা ছিল। বেশির ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত নগরে, বিশেষ করে বড় রাজধানীগুলোতে বিমারিস্তান ছিল। দামেস্কে বিমারিস্তানের নাম ছিল ‘নুরি’, বাগদাদে ‘আদুদি’।

প্রতিটি অন্ধ বৃদ্ধের জন্য এমন একজন সাহায্যকারী নিয়োগ কর, যে তাকে অত্যাচার বা অবহেলা না করে।খলিফা উমর ইবন আবদুল আজিজ (রহ.)

প্রথম বিমারিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ ইবন আবদুল মালিকের সময়, ৭০৭ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি এতে চিকিৎসক নিয়োগ করেন এবং তাঁদের বেতনের ব্যবস্থা করেন। সমাজের স্বাস্থ্য রক্ষায় কুষ্ঠরোগীদের জন্য পৃথক স্থানে বিনা মূল্যে খাদ্য ও যত্ন দেওয়া হতো।

অন্ধদের জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা ও সাহায্যকারী নিয়োগ করা হতো। খলিফা উমর ইবন আবদুল আজিজ নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘প্রতিটি অন্ধ বৃদ্ধের জন্য এমন একজন সাহায্যকারী নিয়োগ কর, যে তাকে অত্যাচার বা অবহেলা না করে।’ (ইবনে আসাকির, তারিখে দিমাশক, ৪৪/১২৩, দারুল ফিকর, বৈরুত, ১৯৯৫)

আরও পড়ুন“আল্লাহ ধনী, তোমরা দরিদ্র”০১ অক্টোবর ২০২৫

ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালও ছিল, যা যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য গড়ে তোলা হতো। দূরবর্তী অঞ্চলে মহামারি মোকাবিলায় ৪০টি উটের কাফেলায় চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হতো।

মিসরে প্রথম বিমারিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় আহমদ ইবন তুলুনের সময়, ৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে, ফুসতাতে। এর নাম ছিল ‘বিমারিস্তান আতিক’।

এর জন্য ওয়াক্‌ফ তহবিল রাখা হয়েছিল, এবং শর্ত ছিল যে এটি শুধু সাধারণ মানুষের জন্য, সৈন্য বা দাসদের জন্য নয়। এর বার্ষিক খরচ ছিল ৬০ হাজার দিনার (স্বর্ণমুদ্রা)। ইবন তুলুন নিজে প্রতি সপ্তাহে এটি পরিদর্শন করতেন এবং জুমার দিনে মুসল্লিদের জন্য জরুরি সেবার ব্যবস্থা করেছিলেন। এতে ছিল ১ লাখের বেশি বইয়ের গ্রন্থাগার। (মাকরিজি, খিতাত, ২/৪০৫, দারু সাদির, কায়রো, ১৮৫৩)

সংগীতজ্ঞ ও গল্পকারেরা এখানে রোগীদের মনোবল বাড়াতেন। ঘরে সুগন্ধি গাছ রাখা হতো, রোগীদের হাতপাখা দেওয়া হতো গরম ও পোকামাকড় থেকে রক্ষার জন্য।

সালাহউদ্দিন আইয়ুবি বিমারিস্তান ‘নাসিরি’ প্রতিষ্ঠা করেন। তবে মিসর ও মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ বিমারিস্তান ছিল মনসুর কালাউনের প্রতিষ্ঠিত বিমারিস্তান, ১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দে। এখানে নারী-পুরুষ সবার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল, চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ছিল না। এখানে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হতো।

সংগীতজ্ঞ ও গল্পকারেরা এখানে রোগীদের মনোবল বাড়াতেন। রাতের দীর্ঘ সময় রোগীদের জন্য কষ্টকর হতো, তাই ফজরের আজান দুই ঘণ্টা আগে দেওয়া হতো, যাতে রোগীরা সকালের আশায় উৎফুল্ল হয়। ঘরে সুগন্ধি গাছ রাখা হতো, রোগীদের হাতপাখা দেওয়া হতো গরম ও পোকামাকড় থেকে রক্ষার জন্য।

সুস্থ হওয়ার পর রোগীদের পোশাক ও কিছু টাকা দেওয়া হতো, যাতে তারা তাড়াতাড়ি কাজে ফিরতে না বাধ্য হয়। এই বিমারিস্তান ২০০ জনের বেশি দরিদ্র রোগীকে বাড়িতে চিকিৎসা দিত। (মাকরিজি, খিতাত, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৪০৭)

দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসাগ্রন্থ

মুসলিম সভ্যতার চিকিৎসকেরা লক্ষ করেন, চিকিৎসা কখনো কখনো ধনীদের কাছে ব্যবসায় পরিণত হন। তাই তাঁরা দরিদ্রদের জন্য সহজলভ্য চিকিৎসা গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তারা নিজেরা নিজেদের চিকিৎসা করতে পারে বা ছোট চিকিৎসকেরা তাদের সহজে চিকিৎসা দিতে পারেন। এই গ্রন্থগুলোয় স্থানীয় ও সাশ্রয়ী উপকরণ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হতো; কারণ, ভারত বা চীন থেকে আমদানি করা ওষুধ ছিল দামি।

আরও পড়ুনইসলামে দারিদ্র্য দূরীকরণের ৮টি ব্যবহারিক উপায়০২ নভেম্বর ২০২৫

আবু বকর আর-রাজি: তিনি দরিদ্রদের প্রতি অসাধারণ দয়া দেখাতেন এবং তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করতেন। তিনি দুটি গ্রন্থ রচনা করেন: ‘বুরউ সা’আত’ (তাৎক্ষণিক চিকিৎসা) এবং ‘মান লা ইয়াহদুরুহু তাবিব’ (যার কাছে চিকিৎসক নেই), যাকে ‘তিব্বুল ফুকারা ওয়াল মাসাকিন’ (দরিদ্রদের চিকিৎসা) বলা হয়।

তিনি লিখেছেন, ‘অনেক চিকিৎসক ওষুধ ও খাবারের কথা লেখেন, যা শুধু রাজাদের ভান্ডারে পাওয়া যায়। আমি সাধারণ ও সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে চিকিৎসার একটি সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ লিখতে চাই, যাতে সবাই এর সুবিধা পায়।’ (আল-রাজি, মান লা ইয়াহদুরুহু তাবিব, পৃষ্ঠা ১৫, দারুল কুতুব, বৈরুত, ১৯৮৫)

মুসলিম সভ্যতা দরিদ্রদের চিকিৎসায় অসাধারণ মানবিকতা দেখিয়েছে। বিমারিস্তান ছিল দরিদ্রদের জন্য আশ্রয়, যেখানে শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা দেওয়া হতো।

ইবনে জাজ্জার কায়রাওয়ানি: তিনি কখনো দরিদ্রদের কাছ থেকে চিকিৎসার ফি নিতেন না। তিনি তিব্বুল ফুকারা ওয়াল মাসাকিন গ্রন্থে লিখেছেন, ‘দরিদ্ররা স্বাস্থ্য ও রোগ–সম্পর্কিত বইয়ের সুবিধা পায় না। তাই আমি এমন একটি গ্রন্থ লিখলাম, যাতে সহজলভ্য ওষুধ দিয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করা যায়।’ (ইবনে জাজ্জার, তিব্বুল ফুকারা, পৃষ্ঠা ১০, দারুল ফিকর, কায়রো, ১৯৯০)

ইবনে আকফানি: তিনি গুনইয়াতুল লাবিব ফি গাইবাতিত তাবিব (চিকিৎসক না থাকলে জ্ঞানীর সম্পদ) গ্রন্থে জরুরি রোগের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য রক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন।

জামালুদ্দিন ইউসুফ মাকদিসি: তিনি ‘তিব্বুল ফুকারা’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘ধনীরা সুস্বাদু খাবার খায়, তাই তাদের রোগ বেশি। দরিদ্ররা সাধারণ খাবারে সন্তুষ্ট থাকে, তাই তাদের রোগ কম। কিন্তু দরিদ্ররা অসুস্থ হলে তাদের জন্য সহজ ও সস্তা ওষুধ দরকার।’ (মাকদিসি, তিব্বুল ফুকারা, পৃষ্ঠা ৮, দারুল মারিফা, বৈরুত, ১৯৯২)

মুসলিম সভ্যতা দরিদ্রদের চিকিৎসায় অসাধারণ মানবিকতা দেখিয়েছে। বিমারিস্তান ছিল দরিদ্রদের জন্য আশ্রয়, যেখানে শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা দেওয়া হতো। চিকিৎসকেরা দরিদ্রদের জন্য সহজলভ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন, যাতে তারা নিজেদের চিকিৎসা করতে পারে। এই ঐতিহ্য দেখায়, ইসলামি সভ্যতা কেবল জ্ঞান বা শক্তিতে নয়, মানবিকতা ও দয়াতেও শ্রেষ্ঠ ছিল।

আরও পড়ুনআপনার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা নিচ্ছেন তো২১ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ