বার্সায় থাকছেন সেজনি, অনিশ্চিত টের স্টেগান
Published: 31st, May 2025 GMT
অবসর থেকে এক মৌসুমের চুক্তিতে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। বার্সার চলতি মৌসুম শেষ হওয়ায় সেজনির ওই চুক্তি শেষ হচ্ছে। এখন তিনি পুনরায় অবসরে ফিরে যাবেন নাকি এক বছরের চুক্তি নবায়ন করবেন তা নিয়েই যত আলোচনা।
সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চাওয়া সেজনি এরই মধ্যে ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। বার্সা বোর্ডের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এক বছরের চুক্তি নবায়ন করতে চান তিনি। বার্সার থেকে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হওয়ার বার্তা পেয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ক্যাম্প ন্যু পর্যন্ত থাকতে চান সাবেক জুভেন্টাস গোলরক্ষক।
মৌসুমের শুরুতে ইনজুরি নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া মার্ক টের স্টেগানে ভরসা পাচ্ছে না বার্সেলোনা। যে কারণে তাকে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হিসেবে বিবেচনা নাও করতে পারে কাতালানরা। বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন জার্মান গোলরক্ষকও। তিনিও আবার নিয়মিত খেলতে চান এবং জার্মানির হয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে চান।
যে কারণে টের স্টেগান বার্সা ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে উল্লেখ করেছে সংবাদ মাধ্যম গোল। স্প্যানিশ ক্লাবটি এরই মধ্যে স্থায়ী একজন গোলরক্ষকের সন্ধানে বাজারে নেমেছে। যিনি টের স্টেগান ও সেজনির জায়গা পূরণ করবেন। ওই পরিকল্পনায় বার্সার পছন্দ এস্পানিওয়েল তরুণ স্প্যানিশ গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়া। তার রিলিজ ক্লজ ২৫ মিলিয়ন ইউরো।
সেজনি শেষ পর্যন্ত অবসরে ফিরে গেলে গার্সিয়াকে মূল দলের সঙ্গে রাখবে বার্সেলোনা। আবার টের স্টেগান অন্য ক্লাবে চলে গেলেও কাতালান দলে থাকবেন ২৪ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। তবে সেজনি ও স্টেগান দু’জনই বার্সায় থেকে গেলে গার্সিয়াকে কিনে এক মৌসুমের জন্য ধারে পাঠাতে চায় বার্সা বোর্ড।
বার্সা এরই মধ্যে লামিনে ইয়ামাল, রাফিনিয়াদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে। যার অর্থ তাদের বেতনও বেড়েছে। অভিজ্ঞ টের স্টেগান তাই ধারে কিংবা স্থায়ী চুক্তিতে ক্লাব ছাড়তে চাইলে বার্সা বোর্ড খুব একটা আপত্তি করবে না। বরং টের স্টেগান ক্যাম্প ন্যু ছাড়লে বেতনের বোঝা কমবে বার্সার ওপর থেকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল
এছাড়াও পড়ুন:
সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।
‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।
এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি