অবসর থেকে এক মৌসুমের চুক্তিতে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। বার্সার চলতি মৌসুম শেষ হওয়ায় সেজনির ওই চুক্তি শেষ হচ্ছে। এখন তিনি পুনরায় অবসরে ফিরে যাবেন নাকি এক বছরের চুক্তি নবায়ন করবেন তা নিয়েই যত আলোচনা। 

সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চাওয়া সেজনি এরই মধ্যে ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। বার্সা বোর্ডের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এক বছরের চুক্তি নবায়ন করতে চান তিনি। বার্সার থেকে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হওয়ার বার্তা পেয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ক্যাম্প ন্যু পর্যন্ত থাকতে চান সাবেক জুভেন্টাস গোলরক্ষক। 

মৌসুমের শুরুতে ইনজুরি নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া মার্ক টের স্টেগানে ভরসা পাচ্ছে না বার্সেলোনা। যে কারণে তাকে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক হিসেবে বিবেচনা নাও করতে পারে কাতালানরা। বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন জার্মান গোলরক্ষকও। তিনিও আবার নিয়মিত খেলতে চান এবং জার্মানির হয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে চান। 

যে কারণে টের স্টেগান বার্সা ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে উল্লেখ করেছে সংবাদ মাধ্যম গোল। স্প্যানিশ ক্লাবটি এরই মধ্যে স্থায়ী একজন গোলরক্ষকের সন্ধানে বাজারে নেমেছে। যিনি টের স্টেগান ও সেজনির জায়গা পূরণ করবেন। ওই পরিকল্পনায় বার্সার পছন্দ এস্পানিওয়েল তরুণ স্প্যানিশ গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়া। তার রিলিজ ক্লজ ২৫ মিলিয়ন ইউরো। 

সেজনি শেষ পর্যন্ত অবসরে ফিরে গেলে গার্সিয়াকে মূল দলের সঙ্গে রাখবে বার্সেলোনা। আবার টের স্টেগান অন্য ক্লাবে চলে গেলেও কাতালান দলে থাকবেন ২৪ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। তবে সেজনি ও স্টেগান দু’জনই বার্সায় থেকে গেলে গার্সিয়াকে কিনে এক মৌসুমের জন্য ধারে পাঠাতে চায় বার্সা বোর্ড। 

বার্সা এরই মধ্যে লামিনে ইয়ামাল, রাফিনিয়াদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে। যার অর্থ তাদের বেতনও বেড়েছে। অভিজ্ঞ টের স্টেগান তাই ধারে কিংবা স্থায়ী চুক্তিতে ক্লাব ছাড়তে চাইলে বার্সা বোর্ড খুব একটা আপত্তি করবে না। বরং টের স্টেগান ক্যাম্প ন্যু ছাড়লে বেতনের বোঝা কমবে বার্সার ওপর থেকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা

জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।

হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—

১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

আবেদনে যোগ্যতার শর্ত

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—

—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।

—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।

—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা

—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।

—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।

—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।

বৃত্তির সুবিধা

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:

১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।

২। মাসিক ভাতা।

—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।

—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।

—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।

—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।

—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।

—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।

—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।

হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেন্ট যোসেফের উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি, নিয়ম প্রকাশ
  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
  • ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে