সেন্টমার্টিনে জমে থাকা পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
Published: 1st, June 2025 GMT
কক্সবাজার টেকনাফ সেন্টমার্টিনে জমে থাকা পানিতে পড়ে মুহাম্মদ সাদ (১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে সেন্টমার্টিনের গলা চিপা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল পাড়া দিগন্ত রিসোর্টে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সাদ সেন্টমার্টিন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল পাড়া মো. রেফায়েত উল্লাহর ছেলে মুহাম্মদ সাদ।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সেন্টমার্টিন নজরুল পাড়া দিগন্ত রিসোর্টের ছোট ছোট গর্ত ছিল। সেখানে পানি জমেছিল। বাচ্চাটা সেখানে খেলতে গিয়ে হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গিয়ে মারা যায়।
শিশুটির বাবা কেফায়েত উল্লাহ জানান, খেলতে গিয়ে বৃষ্টির পানি জমে থাকা গর্তে পড়ে সাদ। হাসপাতালে নেওয়ার আগে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সদস্যদের অজান্তে শিশুটি জমে থাকা পানিতে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ করে নজরে পড়লে শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সেন্টমার্টিন ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, বাচ্চাটা আমার হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু নিয়ে আসার আগে শিশুটির মৃত্যু হয়। গর্তে পড়ে গিয়ে প্রচুর পানি খাওয়াতে তার মৃত্যু হয়।
সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক অজিত কুমার দাশ বলেন, আজকে সেন্টমার্টিন জমে থাকা পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা বিষয়টি আরও তদন্ত করছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন টম র ট ন স ন টম র ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
আ.লীগ নেতার মদের ব্যবসা বন্ধের দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রলয় চাকীর মদের ব্যবসা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা টেকনিক্যাল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, সালাউদ্দিন চাদু, পাভেল হাসান ডন, মাসুদ রানা বিপ্লব, মীর সানজিদ প্রান্ত, বরকতুল্লাহ, মিরাজ আহমেদ, রতন মেম্বার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রলয় চাকী বৈষম্যবিরোধী ছাত্রহত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রহত্যার মামলা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পরও তিনি মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর কারণে স্থানীয় যুবকদের অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তাঁর দোকানের আশপাশে ৩-৪টা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশে দিনরাত মাদকসেবীরা আড্ডা দেয়। অনতিবিলম্বে এ ব্যবসা বন্ধ করে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রলয় চাকী বলেন, অর্ধশত বছর ধরে আমাদের এ ব্যবসা। লাইসেন্সধারীরা এখান থেকে মদ কেনেন। এখন ব্যবসা দূরের কথা, পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।