নির্মাণাধীন ভবনের নিচে গর্তের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
Published: 2nd, June 2025 GMT
কিশোরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের নিচে জমে থাকা পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের উত্তর মোল্লাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উত্তর মোল্লাপাড়া গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে মো. ওবায়দুল্লাহ (৪) ও পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া এলাকার সৌদিপ্রবাসী মকবুল হোসেনের ছেলে ফাহাদ হোসেন (৫)। তারা মামাতো-ফুপাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে বাড়ির উঠানে খেলছিল ওবায়দুল্লাহ ও ফাহাদ। খেলা করতে করতে তারা স্বজনদের নজর এড়িয়ে বাড়ির পাশে নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্টের গর্তে জমে থাকা পানিতে পড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বেজমেন্টের গর্তে ভাসমান অবস্থায় তাদের দেখতে পায়। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপে প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মো. শিপন (৪৫) নামে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ আনি গোপাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিপন মগধরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর তহসিলদার বাড়ির আনসারুল হকের ছেলে।
শিপনের চাচাতো ভাই মো. মিন্টু বলেন, শিপন কয়েক মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে এসেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় শিবেরহাটে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পাঁচ আনি সড়কে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে শিপনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ততক্ষণে তার রক্তে পুরো রাস্তা ভেসে গেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য ও সন্দ্বীপ থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শিপন মগধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল আলম সমীরের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলচালক ছিলেন। এ কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অপু চক্রবর্তী বলেন, শিপনকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এ সময় তার ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। বাম হাতও প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। এছাড়া গভীর ক্ষত ছিল মুখে ও মাথায়।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, শিপনের হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।