রাবির ‘এ’ ইউনিটের বিষয়ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ
Published: 2nd, June 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ হয়েছে।
রবিবার (১ জুন) রাতে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এ’ ইউনিটভুক্ত (কলা অনুষদ, আইন অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে বিষয় পছন্দক্রম এবং মেধা স্কোরের ভিত্তিতে তাদের রোল নম্বরের পাশে উল্লিখিত বিভাগে ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলো।
আরো পড়ুন:
ঈদে বেরোবিতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, খোলা থাকবে হল
মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দিল চবিসাস
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, আগামী ১৬ জুন থেকে ১৮ জুনের (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা) মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের ‘এ’ ইউনিটের চিফ কো-অর্ডিনেটরের অফিসে (কলা অনুষদ, ডিন'স কমপ্লেক্স) উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকারসহ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে ‘এ’ ইউনিটে তাদের ভর্তির মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।
ভর্তি হওয়া ছাত্র/ছাত্রীদের মেধা স্কোর ও বিভাগ পছন্দের ক্রমানুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তনের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ভর্তি হওয়ার পর কোনো শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তন করতে না চাইলে তাকে অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে স্বয়ংক্রিয় বিভাগ পরিবর্তন বন্ধ করতে হবে।
আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে প্রস্তুতকৃত অপেক্ষমান তালিকা থেকে মেধানুসারে পর্যায়ক্রমে ভর্তির জন্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে আগামী ২০ জুনে প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন ট র প রক শ ভর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষি খাতে বরাদ্দ বেড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকায় উঠল
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং খাদ্যনিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় নতুন অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ বেড়েছে, যার পরিমাণ ১ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার ছোট হলেও কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার নতুন অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেন। তাঁর বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ (বিটিভি) বিভিন্ন চ্যানেল সম্প্রচার করে।
নতুন বাজেটে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং খাদ্যনিরাপত্তা খাতে মোট ৩৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল্য বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছিল ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। গত বছর আকস্মিক বন্যায় আউশ ও আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হওয়ায় খাদ্যশস্যের মজুতে কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়। এ ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে আমরা ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৭ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিই, যার আওতায় ইতিমধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ২ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে কৃষকের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সারসহ অন্যান্য উপকরণে প্রয়োজনীয় ভর্তুকি দিচ্ছি। এ ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তার গুরুত্ব বিবেচনায় সারের মজুত বা বাফার স্টক বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলমান রয়েছে। বর্তমানে ১ হাজার ৯০১টি কেন্দ্রের মাধ্যমে সারা দেশে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তালিকাভুক্ত চা-বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে প্রতি কেজি ১৯ টাকা দরে গম বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট’ কর্মসূচির আওতায় ১০ লাখ ৪০ হাজার দুস্থ নারীকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে খাদ্যগুদামের ধারণক্ষমতা ৩৭ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীতকরণ এবং খাদ্যশস্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে বাজেট বক্তব্যে উল্লেখ করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।
কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন উৎসাহিত করতে কম্বাইন হারভেস্টার তৈরির যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি উৎপাদন উৎসাহিত করতে কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তির ‘কৃষি হইতে আয়’ অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৫ শতাংশ এবং গ্রামীণ কর্মজীবী নারীর প্রায় ৬০ শতাংশ কৃষিতে নিয়োজিত। জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১১ শতাংশের ওপরে।