জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বজনদের হামলায় দুই বোন নিহত
Published: 4th, June 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বজনদের হামলায় দুই বোন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁদের মা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই বোন হলেন শামিমা সুলতানা (২৫) ও মিম সুলতানা (২৩)। তাঁরা কাঁঠালকান্দি গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে। আহত অবস্থায় তাঁদের মা হাজেরা বেগম (৫৫) মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৈতৃক জমির মালিকানা নিয়ে নিহত দুজনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল চাচা মাসুক আলীর (৫৫)। বিকেলে ওই জমিতে শ্রমিক নিয়ে চাষ করতে যান শামিমা ও মিম। এ সময় মাসুক আলী, তাঁর স্ত্রী রাহেনা ও ছেলে বাবু দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। ঘটনাস্থলে দুই বোনের মৃত্যু হয়। মা হাজেরা বেগম তাঁদের রক্ষা করতে গেলে তিনিও গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা মরদেহ উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে সেখান থেকে মরদেহ দুটি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় এবং আহত হাজেরা বেগমকে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কমলগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ও আবাসিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নবজাতকসহ তাদেরকে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই রাতেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম হাসপাতালে) নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক পার্থ সমদ্দার কলাপাড়া পৌর শহরের জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক এবং চেয়ারম্যান।শিশুটির
স্বজনদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রসব বেদনা নিয়ে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন লালুয়ার ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রফিকুলের স্ত্রী মিম বেগম। ওই রাতেই মিমের সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. পার্থ সমদ্দার। সিজারের কিছুক্ষণ পরই টিকার কথা বলে নবজাতকের পায়ে একটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। পরের দিন থেকেই নবজাতকের বাম পা ফুলতে শুরু করে এবং কান্না বাড়তে থাকে। বিষয়টি চিকিৎসক ও নার্সদেরকে অবহিত করলে তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো ওই ক্লিনিকের কর্মী ও নার্সরা নবজাতকের স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণের পাশাপাশি তাদের ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। পরে অন্যত্র এক্সরে করে জানা যায়, সিজারের সময় নবাজতকের পা ভেঙে ফেলেছেন চিকিৎসক।
নবজাতকের মা মিম আক্তার বলেছেন, বাচ্চা অনবরত কান্না করলে প্রথমে নার্স ও পরে চিকিৎককে অবহিত করা হয়। বাচ্চার বাম ফুলে গেলে তা জানানো হয়। কিন্তু, তারা এর কোনো প্রতিকার না করে আমাদের ধমকাতে থাকেন। ক্লিনিক ছেড়ে চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন।
নবজাতকের নানা সিদ্দিক বলেন, টিকার কথা বলে আমার নাতিকে শরীর অবশ করার ইনজেকশন দিয়েছিল নার্সরা। ইনজেকশনের কার্যকারিতা শেষ হওয়ার পরপরই আমার নাতি অনেক কান্না করে। আমার স্ত্রী নার্সদের বললে তারা তাকে মারধরের চেষ্টা করে। আমাদের সঙ্গে ক্লিনিকের সবাই অনেক খারাপ আচরণ করেছে। এভাবে রোগীদের সঙ্গে প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্মকর্তারাও যদি অসদাচরণ করে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?
সিজারের সময় নবজাকের পা ভাঙেনি, দাবি করে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. পার্থ সমদ্দার বলেছেন, আমি শিশু বিশেষজ্ঞ নই। নবজাতককে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেছেন, যদি সিজারিয়ান অপারেশনের প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে এনেস্থেসিস্টও সিজার করতে পারেন। তবে, এনেস্থেসিস্ট একাই সিজারিয়ান অপারেশন করতে পারেন না।
ঢাকা/ইমরান/রফিক