মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বজনদের হামলায় দুই বোন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁদের মা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই বোন হলেন শামিমা সুলতানা (২৫) ও মিম সুলতানা (২৩)। তাঁরা কাঁঠালকান্দি গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে। আহত অবস্থায় তাঁদের মা হাজেরা বেগম (৫৫) মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৈতৃক জমির মালিকানা নিয়ে নিহত দুজনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল চাচা মাসুক আলীর (৫৫)। বিকেলে ওই জমিতে শ্রমিক নিয়ে চাষ করতে যান শামিমা ও মিম। এ সময় মাসুক আলী, তাঁর স্ত্রী রাহেনা ও ছেলে বাবু দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। ঘটনাস্থলে দুই বোনের মৃত্যু হয়। মা হাজেরা বেগম তাঁদের রক্ষা করতে গেলে তিনিও গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা মরদেহ উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে সেখান থেকে মরদেহ দুটি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় এবং আহত হাজেরা বেগমকে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কমলগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ