নির্ধারিত স্থান রেখে ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়ক ঘেঁষে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। এতে করে সড়কে যানজট তৈরি হয়েছে। ঈদযাত্রায় বাড়তি ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। স্থানীয়রা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। পশুর হাটটি নির্ধারিত স্থানে পাঠানোর জন্য আবেদন করলেও ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে উত্তরা রানাভোলা সুইচগেট সংলগ্ন স্থানে হাটের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। হাটটি ইজারা নিয়েছেন আতিকুর রহমান নামে তুরাগ থানা এলাকার এক ব্যবসায়ী। 

সরেজমিনে দেখা যায়, হাটের জন্য প্রশাসন যে স্থান বরাদ্দ দিয়েছে, সেখানে কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। তবে সেখানে কামারপাড়া পুলিশ বক্স মোড়ে একটি হাট রয়েছে।  রানাভোলা মৌজা হলেও এই জায়গাটি উল্লেখিত হাটের স্থান নয়। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়ক ঘেঁষে বসানো হয়েছে হাটটি। সেখানে হাটের তোরণে ইজারাদার হিসেবে আতিকুর রহমানের নাম রয়েছে। তবে হাটের কারণে সড়কে বাড়তি মানুষের চাপ তৈরি হয়েছে। যে কারণে সড়কে যানজট তৈরি হয়েছে। ফলে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়ছেন বাড়িফেরা মানুষেরা। 

এ বিষয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানান, নির্ধারিত স্থানে হাট না বসিয়ে মহাসড়কে হাট বসানোর কোনো এখতিয়ার নেই। কামারপাড়া হাট নামে কোনো হাটের ইজারা দেয়নি ডিএনসিসি। বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

আসাদের নেতৃত্বে অভিযানের কথা জানান তিনি। 

তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কোনো অভিযান চলেনি সড়কের পাশের হাটে। 

পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ইজারা সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র দেখেই আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছি। মহাসড়কের পাশে হাটের বৈধতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ইজারা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমরা শুধুই দায়িত্ব পালন করছি।
 
এদিকে হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমানের মোবাইল ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

এদিকে হাটের তত্ত্বাবধানে থাকা তুরাগের স্থানীয় বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম জানান, হাট বৈধ। কাগজপত্র আছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব ন র হ ট ড এনস স র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

টিউলিপের আয়করসহ অন্যান্য নথি জব্দ করেছে দুদক

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার কন্যা যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের ১৩ বছরের আয়করসহ অন্যান্য নথিপত্র জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকার শ্যামলীর রিংরোডের জনতা হাউজিং সোসাইটিতে টিউলিপের নামের একটি ফ্ল্যাট-সংক্রান্ত কাগজপত্রও জব্দ করা হয়েছে রাজউক থেকে।
 
বুধবার দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের ওই তথ্য জানান। 

জানা গেছে, ক্রয়মূল্য পরিশোধ না করে রাজধানীর গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাট দখল করার অভিযোগে টিউলিপসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা করে দুদক। এই মামলা তদন্ত পর্যায়ে আয়কর নথি ও অন্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক মুখপাত্র বলেছেন, তদন্তের প্রয়োজনে তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট যে কোনো নথিপত্র জব্দ করতে পারেন। এটি তারই একটি অংশ। 

মঙ্গলবার দুদকের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন কর অঞ্চল-৬-এর কর সার্কেল-১২২ এর উপকর কমিশনারের কার্যালয় থেকে ওইসব নথি জব্দ করেন। টিউলিপের ২০০৬-০৭ করবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত দাখিল করা আয়কর রিটার্ন এবং সংশ্লিষ্ট নথি এখন দুদকের হাতে। মোট ৮৭টি পৃষ্ঠার এসব নথির মধ্যে ২০০৬-১৫ করবর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি আয়কর রিটার্নে ‘অ্যাডভান্স টুওয়ার্ডস ডেভেলপার্স’ শিরোনামে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ের তথ্য রয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বন্দুকের মুখে আমাকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়’
  • টিউলিপের আয়করসহ অন্যান্য নথি জব্দ করল দুদক
  • টিউলিপের আয়করসহ অন্যান্য নথি জব্দ করেছে দুদক