ভুটানের বিপক্ষে গতকাল ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। দলের চোখ এখন ১০ জুনের সিঙ্গাপুর ম্যাচে, যেটি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।

ভুটান ম্যাচে বাংলাদেশ গোলকিপার মিতুল মারমাকে খুব একটা পরীক্ষা দিতে হয়নি। তবে শেষ দিকে একবার ভুটান গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল। মিতুল সেটি ভালোই সামাল দেন। আজ রিকভারি সেশন ছিল হোটেল, তবে কোনো অনুশীলন ছিল না। সন্ধ্যায় রাজধানীর টিম হোটেলে দেখা গেল, লবিতে চুপচাপ বসে আছেন মিতুল। কারও জন্য অপেক্ষা করছিলেন হয়তো। একটু পর তাঁরা আসতেই উঠে চলে গেলেন। এ সময় হোটেলের লবিতেই দেখা যায় কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে, তবে তিনি কোনো কথা না বলেই হেঁটে চলে যান।

সবকিছু মিলিয়ে অনেক দিন পর দেশের মাটিতে একটা ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। ম্যাচটা ছিল ইন্টারেস্টিং। আমরা ভালো খেলে জিতেছি। সবাই খুশি আছে।মিতুল মারমা, গোলরক্ষক, বাংলাদেশ

বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমার সঙ্গে এই ফাঁকে কথা হলো ভুটান ম্যাচ নিয়ে। কিছুটা নির্ভার ও উজ্জীবিত লাগছিল তাঁকে। বললেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে অনেক দিন পর দেশের মাটিতে একটা ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। ম্যাচটা ছিল ইন্টারেস্টিং। আমরা ভালো খেলে জিতেছি। সবাই খুশি আছে।’

অনুশীলনে সতীর্থ দুই গোলরক্ষকের সঙ্গে মিতুল (ডানে).

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ