মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ নেতাকে পিটিয়ে আহত
Published: 11th, June 2025 GMT
মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
আহতরা হলেন- মাদারীপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুল তামিম আশিক, যুগ্ম আহ্বায়ক মিথিলা ফারজানা নীলা এবং যুগ্ম সদস্য সচিব কিরন আক্তার।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে মাদারীপুরের সীমান্তবর্তী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসেদপুর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের বরিশাল গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জুলাই শহীদদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে রাজৈর উপজেলায় যাচ্ছিলেন। পথে একটি পরিবহনের শ্রমিকরা নেত্রীদের ইভটিজিং করেন। এর প্রতিবাদ করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেত্রূসহ তিন জনকে পিটিয়ে জখম করে শ্রমিকরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মাদারীপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আমরা শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। পথে একটি বাসের শ্রমিকরা আমাদের নারী নেত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদ করায় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের উপর হামলা করে পিটিয়ে জখম করেছে। এতে আমাদের দুই নারী নেত্রীসহ তিন জন আহত হয়েছেন।”
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা.
ঢাকা/বেলাল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।