সেতুতে ভ্রাম্যমাণ দোকান যানজটে ভোগান্তি
Published: 12th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় বালিয়াপাড়া বাজার সেতুর কিছু অংশ ও প্রবেশপথ দখল করে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছে একটি চক্র। এতে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীসহ পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব দোকান বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেতুর ওপর অস্থায়ী দোকানে অন্তত সাতজন তালের শাঁস বিক্রি করেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন। তাঁর ভাষ্য, চটপটি ও ফুচকার দোকান রয়েছে দুটি। এগুলোর কারণে সেতুর ওপর ভিড় লেগে থাকে। প্রবেশ পথে বিস্কুট, নিমকিসহ শুকনা খাবারের দোকান রয়েছে। এতে যানজটে পথচারীদের ভোগান্তি ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ২০১৪ সালে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে ইদবারদী-ভূলতা-বালিয়াপাড়া সড়কে যান চলাচল সহজ হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারী যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়।
সেতুর পাশেই বালিয়াপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বাজারসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এসব প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করেন। কিন্তু সেতুর ওপর ও প্রবেশপথে দোকান থাকায় শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
বালিয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ মিয়া বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় সেতুর ওপর অবৈধভাবে দোকান-পাট গড়ে
তোলা হয়েছে। এ কারণে সারাদিনই এলাকায় যানজট লেগে থাকে। আটকে থাকা গাড়ির হর্নে প্রচুর শব্দ হয়। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
সেতুতে বসানো দোকানে বেচাকেনা ভালো হয় বলে জানান চটপটি ও ফুচকা বিক্রেতা জাকির হোসেন। তাঁর ভাষ্য, ‘এখানে সকালে চলে আসি, মধ্যরাতের দিকে চলে যাই। গাড়ি চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখি।’
স্থানীয় এক ইউপি সদস্য জানান, আগে সেতু দখল করে অবৈধভাবে অটোস্ট্যান্ড গড়ে তুলেছিল। এক বছর আগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দখলকারীদের সরিয়ে দিয়েছে। এখন ১০ থেকে ১২টি ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানো হয়েছে। এগুলো স্বাভাবিক যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাত হোসেন বলেন, সেতুর ওপর কোনো ধরনের দোকানপাট থাকা সমীচীন নয়। বালিয়াপাড়া সেতুর বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দখল করে দোকানপাট বসিয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ত র ওপর য নজট উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সেতুতে ভ্রাম্যমাণ দোকান যানজটে ভোগান্তি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় বালিয়াপাড়া বাজার সেতুর কিছু অংশ ও প্রবেশপথ দখল করে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছে একটি চক্র। এতে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীসহ পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব দোকান বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেতুর ওপর অস্থায়ী দোকানে অন্তত সাতজন তালের শাঁস বিক্রি করেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন। তাঁর ভাষ্য, চটপটি ও ফুচকার দোকান রয়েছে দুটি। এগুলোর কারণে সেতুর ওপর ভিড় লেগে থাকে। প্রবেশ পথে বিস্কুট, নিমকিসহ শুকনা খাবারের দোকান রয়েছে। এতে যানজটে পথচারীদের ভোগান্তি ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ২০১৪ সালে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে ইদবারদী-ভূলতা-বালিয়াপাড়া সড়কে যান চলাচল সহজ হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারী যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়।
সেতুর পাশেই বালিয়াপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বাজারসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এসব প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করেন। কিন্তু সেতুর ওপর ও প্রবেশপথে দোকান থাকায় শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
বালিয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ মিয়া বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় সেতুর ওপর অবৈধভাবে দোকান-পাট গড়ে
তোলা হয়েছে। এ কারণে সারাদিনই এলাকায় যানজট লেগে থাকে। আটকে থাকা গাড়ির হর্নে প্রচুর শব্দ হয়। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
সেতুতে বসানো দোকানে বেচাকেনা ভালো হয় বলে জানান চটপটি ও ফুচকা বিক্রেতা জাকির হোসেন। তাঁর ভাষ্য, ‘এখানে সকালে চলে আসি, মধ্যরাতের দিকে চলে যাই। গাড়ি চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখি।’
স্থানীয় এক ইউপি সদস্য জানান, আগে সেতু দখল করে অবৈধভাবে অটোস্ট্যান্ড গড়ে তুলেছিল। এক বছর আগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দখলকারীদের সরিয়ে দিয়েছে। এখন ১০ থেকে ১২টি ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানো হয়েছে। এগুলো স্বাভাবিক যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাত হোসেন বলেন, সেতুর ওপর কোনো ধরনের দোকানপাট থাকা সমীচীন নয়। বালিয়াপাড়া সেতুর বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দখল করে দোকানপাট বসিয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।