ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে আবারও ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। এ কারণে যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

যমুনা সেতু সাইট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে চলেছে ৩০ হাজার ৮১৭টি এবং ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিন যমুনা সেতুর পশ্চিমের কড্ডার মোড় এলাকায় দেখা গেছে, ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজট চলছে। নলকা সেতু থেকে ঝাঐল উড়ালসড়ক হয়ে যমুনা সেতুর পশ্চিম টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে এই যানজট দেখা গেছে। এ কারণে প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে থেমে থেমে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।

রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সেতু পরিবহনের সুপারভাইজার আবদুল আল মামুন বলেন, ‘দিবাগত রাত ১টার দিকে পীরগাছা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। এখন সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে উড়ালসড়কে যানজটে আটকে আছি। কখন ঢাকায় পৌঁছাব, তা বলা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে বগুড়া থেকেই গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে যানজটের তীব্রতা বেড়ে নলকা সেতু পার হওয়ার পর তা প্রকট আকার ধারণ করে।

ঢাকার উদ্দেশে কড্ডার মোড় থেকে রওনা হওয়া পোশাকশ্রমিক আলী হাসান বলেন, ‘আজই ছুটির শেষ দিন। তাই পরিবার নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। কিন্তু যানজটে সেতু পার হতে পারছি না। তার ওপর গরমে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।’

যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঈদের ছুটির শেষ দিনে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ বলেন, সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিলেও কোথাও কোথাও সাময়িক যানজট তৈরি হচ্ছে, যা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।  

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে দর্শনা জয়নগর সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে শূন্যরেখায় এসব বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান ও দর্শনা আইসিপি বিওপির কমান্ডারগণ। বিএসএফের পক্ষে ছিলেন ৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার ও গেঁদে কোম্পানির কমান্ড্যান্টগণ। 

আরো পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

হস্তান্তর করা বাংলাদেশিদের মধ্যে চারজন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৬ জন শিশু। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাজীপুর জেলায়।  

এসব ব্যক্তি কাজের সন্ধানে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। তারা ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ইটের ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে কারাগারে পাঠায় ভারতীয় পুলিশ। এর পর সরকারি উদ্যোগে কারাগার থেকে মুক্ত করে আজ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি ওই ১৫ বাংলাদেশিকে দর্শনা থানা পুলিশের মাধ্যমে স্ব স্ব ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে অনুমতি দিয়েছে। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ