হঠাৎ বিশাল শব্দের পর সবকিছু অন্ধকার, ইসরায়েলি নারীর মুখে হামলার বর্ণনা
Published: 14th, June 2025 GMT
গত রাতে ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে উঠলে পরিবারসহ বাসার বেসমেন্টে ছুটে যান ইফাত বেনহাইম। তিনি বলেন, ‘আমরা দরজা বন্ধ করে দিই, এবং হঠাৎই একটা বিশাল শব্দ শুনতে পাই। ভেবেছিলাম, পুরো বাড়িটাই হয়তো আমাদের উপর ভেঙে পড়বে। তারপর পুরো অন্ধকার।’
ইফাত জানান, এই ঘটনার পর বাইরে বেরিয়ে দেখতে পান আশেপাশের এলাকাজুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ। অনেকগুলো বাড়ির ছাদ ধসে পড়েছে, রাস্তায় কাঁচ পড়ে আছে এবং কমপক্ষে ৩০টি গাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, ভাঙা জানালা এবং দেয়ালে বিশাল ছিদ্র।
তার দুই প্রতিবেশী নিহত হয়েছেন, নিয়মিত রাস্তায় দেখা হলে যাদেরকে সে হ্যালো বলতো। ‘এটি একটি ট্র্যাজেডি,’ তিনি বলেন।
গত রাতের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি, তেল আবিবের ঠিক বাইরে অবস্থিত রিশন লেজিওন শহর।
এখন ২৯ বছর ধরে বসবাস করা বাড়িটি থেকে তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ইফাত, তার স্বামী জিওন এবং কম বয়সী ছয়জন আত্মীয়। আর এটা ঠিক করার চেষ্টা করছেন যে, আজ রাতে তারা কোথায় থাকবেন। সূত্র: বিবিসি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু