ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাল মিশরসহ ২১ মুসলিম দেশ
Published: 17th, June 2025 GMT
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মিশরসহ ২১টি মুসলিম দেশ। নিন্দা জানানোর পাশাপাশি উত্তেজনা হ্রাস এবং পরমাণু প্রকল্প বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো।
মঙ্গলবার মিশরের সরকারি বার্তা সংস্থা (মেনা) এর বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও সিএনএন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো- মিশর, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রুনেই, চাদ, কমোরোস, জিবুতি, গাম্বিয়া, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সুদান, সোমালিয়া, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওই বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছে— তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে এবং এখন জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। তারা চান, মধ্যপ্রাচ্য যেন পরমাণু অস্ত্রমুক্ত থাকে এবং এই অঞ্চলের সব রাষ্ট্র যেন জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প বিষয়ক চুক্তি নন-প্রোলিফারেশন অব নিউক্লিয়ার উইপন বা এনপিটিতে স্বাক্ষর করে।
বিবৃতিতে দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সদ্ভাবপূর্ণ প্রতিবেশী সম্পর্কের নীতিমালা সম্মান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আহ্বান জানান।
তারা আরও বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যকে পরমাণু ও অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি।” এ লক্ষ্যে তারা পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত চুক্তি (এনপিটি)-তে যোগদানের জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল এখনও এনপিটি চুক্তির সদস্য নয়। এই আন্তর্জাতিক চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ করা।
বিবৃতিতে দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জোর দিয়ে বলেন, এ সংঘাতের সমাধান কেবল কূটনৈতিক পথেই সম্ভব—সামরিক উপায়ে নয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।
তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’