সিলেটে অটোরিকশা ও ট্রাকচালকদের মধ্যে মারামারি, সড়ক অবরোধ
Published: 17th, June 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাকচালকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার টুকেরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কে ট্রাক রেখে অবরোধ করেন ট্রাকচালকেরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন সড়কে চলাচলকারী পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধ তুলে নিতে ট্রাকচালক ও শ্রমিকদের থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জের টুকেরবাজার হয়ে সিলেটের দিকে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। তখন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা টুকেরাবাজার এলাকার সড়কের ওপর রাখা ছিল। ট্রাকচালক অটোরিকশাটি সড়কে রাখতে নিষেধ করলে চালকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি থেকে দুই পক্ষের চালকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে এক ট্রাকচালক ও এক অটোরিকশাচালক আহত হন।
এ ঘটনায় ট্রাকচালকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কের টুকেরবাজার এলাকায় ট্রাক রেখে সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ভোলাগঞ্জগামী যাত্রীবাহী বাস, পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং ভোলাগঞ্জের দিক থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার টুকেরবাজার এলাকায় আটকে যায়। ট্রাকচালক ও শ্রমিকেরা এ ঘটনায় মামলা না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, যানজটে আটকে পড়া লোকজনের বেশির ভাগই কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর ঘুরতে গিয়েছিলেন। পথে যানজটে আটকে পড়ে তাঁরা ভোগান্তির শিকার হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। অবরোধ তুলে নিতে পুলিশ ট্রাকচালক ও শ্রমিকদের থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়াজ মোহাম্মদ শরিফ প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাকচালককে মারধরের অভিযোগে থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, অভিযোগ দেওয়ার পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ট্রাকচালক ও শ্রমিকেরা। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ট ক রব জ র ব জ র এল ক অবর ধ সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক
গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’
অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।
জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া