গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নাহিদ মিয়া (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার নশরৎপুর এলাকায় করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি।

নিহত নাহিদ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন সাতদিন আগে তিনি বিয়ে করেন। 

পরিবারের বরাত দিয়ে বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘সাতদিন আগে বিয়ে করেন নাহিদ। আজ রাতে তার ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। সে কারণে ট্রেনের টিকিট কাটতে গাইবান্ধা স্টেশনে যান তিনি। স্টেশন থেকে মাকে ফোন করে জানতে চান, রান্না হয়েছে কিনা? মা রান্না হয়েছে বললে, তিনি জানান, আমি আসছি। এরপরই বগুড়ার সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যাওয়ার খবর পান নাহিদের পরিবার।’ 

ওসি আরও বলেন, ‘দুদিন ধরে নাহিদ ঘরে ঢুকলেই দুর্গন্ধ পাওয়ার কথা বলতেন। এ নিয়ে তিনি তার স্ত্রী ও মায়ের কাছে বারবার জানতে চাইতেন। দুর্গন্ধের কারণে ঠিকমতো খেতেও পারছিলেন না তিনি। তবে, কি কারণে, কিভাবে নাহিদ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেলেন, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ