তেহরানের কাছের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা
Published: 18th, June 2025 GMT
ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে অবস্থিত খোজির ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রকে নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই কেন্দ্রটিকে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-সম্পর্কিত অবকাঠামোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। গত বছরের অক্টোবরেও এটি ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
প্রসঙ্গত, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত ক্রমে তীব্রতর হচ্ছে। প্রতিদিন অব্যাহতভাবে দুই পক্ষ একে অপরের ওপর জোরালো হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দুপক্ষের ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়টি ফুটে উঠছে। এতদিন ইরানকে চুক্তিতে আসার আহ্বান জানালেও গতকাল মঙ্গলবার তেহরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করার দাবি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বিষয়ে ইঙ্গিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, “আমরা ঠিক জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদ - কিন্তু ‘এই মুহূর্তে’ তাকে হত্যা করবো না।”
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।’
এর কিছুক্ষণ আগে দেওয়া আরেক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইরানের আকাশসীমা আমাদের নিয়ন্ত্রণে’। এই পোস্ট দুটির পরপরই তৃতীয় আরেকটি পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার!’ (নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!)
ঠিক এর পরপরই ট্রাম্পের হত্যার হুমকির পর প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায় তিনি লিখেছেন— ‘মর্যাদাবান হায়দারের নামে, যুদ্ধ শুরু হলো।’
ইংরেজিতে আরেক পোস্টে আয়াতুল্লাহ খামেনি লিখেছেন, ‘আমাদের সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে। আমরা ইহুদিবাদীদের কোনও দয়া দেখাব না।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে থানায় গিয়ে স্বামীর আত্মসমর্পণ, পরে ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
পটুয়াখালীর বাউফলে সালমা আক্তার (৩২) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী সরোয়ার হোসেনের (৩৮) বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দুইটার দিকে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন সরোয়ার। এ সময় তাঁর সঙ্গে চার বছরের শিশুসন্তান ছিল।
সালমা আক্তার বাউফল উপজেলার নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাবার বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে। সরোয়ার একই উপজেলার নদমূলা গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ১২ বছর আগে তাঁদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল।
পুলিশ, স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও মাদ্রাসার সূত্রে জানা গেছে, চাকরির সুবাদে চার বছর আগে বাউফলে আসেন সালমা ও তাঁর স্বামী সরোয়ার। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তাঁরা উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
সরোয়ারের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে গতকাল বিকেলে সালমা ও সরোয়ারের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে বিকেল সোয়া চারটার দিকে সরোয়ার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে সালমার ঘাড়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে লাশটি ঘরের ভেতর রেখে দরজা-জানালা বন্ধ করে শিশুসন্তানটিকে নিয়ে পালিয়ে যান সরোয়ার। একপর্যায়ে গতকাল গভীর রাতে সন্তানসহ বাউফল থানায় হাজির হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, বিবেকের তাড়নায় তিনি আত্মসমর্পণ করতে হাজির হয়েছেন।
বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, সরোয়ার থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সালমার মরদেহ উদ্ধার করেছে। শিশুটিকেও পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আজ শুক্রবার সকালে জানান বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।