প্রকল্পের পরামর্শক ফি পাঠাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগবে না
Published: 18th, June 2025 GMT
সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক ফি, ব্যবস্থাপনা ফি এবং অন্যান্য সেবার বিপরীতে ফি বাবদ বিদেশে অর্থ পাঠানো সহজ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকগুলোই এসব ক্ষেত্রে অর্থ পাঠাতে পারবে। এতদিন এসব ফি পাঠাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগতো। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, দেশের বাইরে অর্থ পাঠাতে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে এ ধরনের প্রকল্প যথাযথ সরকারি কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত হতে হবে, যার মধ্যে আর্থিক অনুমোদনও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বিদেশি সুবিধাভোগীর সঙ্গে চুক্তির প্রমাণপত্র থাকতে হবে। প্রতিটি আবেদনের সঙ্গে ইনভয়েস ও সেবা নেওয়ার স্বপক্ষে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সনদপত্র থাকতে হবে। উৎসে কর কর্তন, মূল্য সংযোজন কর এবং বিলের ওপর প্রযোজ্য অন্যান্য কর সংক্রান্ত বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, রয়্যালটি, কারিগরি জ্ঞান বা কারিগরি সহায়তার ফি এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের ফলে প্রকল্প সংক্রান্ত ফি পাঠানো সহজ হবে। এখন থেকে আর পূর্বানুমতির প্রয়োজন না থাকায় দ্রুত অর্থ পাঠানো যাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রকল প অর থ প ঠ প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলি সামরিক নীতির প্রতিফলন ইরানযুদ্ধ
ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু ইরান। প্রায় দুই দশক ধরে দেশটির সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়িয়ে চলেছে তেল আবিব। ইসরায়েলি চোখ রাঙানির মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস সরকার গঠন করে। দক্ষিণ লেবাননে ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
দুই সংগঠনের সঙ্গে ইসরায়েলের অস্বস্তিকর সম্পর্ক চলতে থাকে। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার ঘটনার পর থেকে তারা কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি তাদের হাতে চলে আসে। একের পর এক হামলা করে হামাস ও হিজবুল্লাহকে দুর্বল করে ফেলা হয়। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি সামরিক নীতি (মিলিটারি ডকট্রিন) প্রতিষ্ঠা পায়। তা হলো, যুদ্ধে ধ্বংসাত্মক পন্থা অবলম্বন করার নীতি।
গত সোমবার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন, ‘আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিচ্ছি। এর ফলে ইরানের ভেতরেই সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন আসতে পারে।’ তবে আপাতত দ্বিতীয় দাবিটি অপ্রমাণিত। কারণ, ইসরায়েলের হামলায় ইরান দুর্বল হলেও পারমাণবিক কর্মসূচিতে দেশটি পরিবর্তন আনবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনাও পূরণ হওয়ার নয়। তবে ধ্বংসাত্মক পন্থায় নেতানিয়াহু হামাস ও হিজবুল্লাহর ক্ষমতা খর্ব করে দেখিয়েছেন। সিরিয়ায় ইরানসমর্থিত আসাদ সরকারের পতনেও একই কৌশল কাজে দিয়েছে। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল আরও শক্তিশালী হয়েছে, যা এই অঞ্চলে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল আমোস ইয়াদলিন মনে করেন, ‘হামাসের ওই হামলার আগের ২০ বছর বাইরের হুমকিকে গুরুত্ব দিইনি আমরা। এতে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করতে পারেনি। হামাসের ওই হামলা আমাদের মানসিকতাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। অতীতে যে ঝুঁকি আমরা নিতে ভয় করতাম, এখন তা অনায়াসে করছি। কারও আক্রমণের জন্য ইসরায়েল আর অপেক্ষা করবে না।
ইসরায়েল পলিসি ফোরামের ফেলো নিমরোদ নোভিক বলেন, গাজার মতো ইরানেও খেলা দ্রুত শেষ করতে হবে। সময়ই বলে দেবে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে।