দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ: ঢাকাকেন্দ্রিক অলিগার্কি থেকে তৃণমূলের মুক্তি কীভাবে
Published: 19th, June 2025 GMT
দেশে সংগত কারণেই সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। দ্বিতীয় কক্ষের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একধরনের ঐকমত্য রয়েছে। স্বভাবতই দ্বিতীয় কক্ষের পদ্ধতিগতবিষয়ক তর্ক জারি আছে। কোনো নতুন ব্যবস্থা চালু করতে হলে প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়েও বিতর্ক দরকারি।
বাংলাদেশের সমস্যা প্রাতিষ্ঠানিক শূন্যতা ও তামিলের অনীহায়। বিদেশি নকশার অনুকরণ সমাধান দেবে না। বরং সার্বিক প্রতিনিধিত্ব, কার্যকর আইন প্রণয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য বাংলাদেশি সমাধান জরুরি। ওয়েস্টমিনস্টার বা ওয়াশিংটন পদ্ধতির হুবহু অনুসরণ নয়। বাংলাদেশীয় রাজনৈতিক বাস্তবতাকে গণতান্ত্রিক করার সুচিন্তিত প্রয়াস হতে হবে।
অতএব সাংবিধানিক রূপান্তরের দ্রুতগতির হ্রাস টানাও জরুরি। সাংবিধানিক পরিবর্তন হঠাৎ করেই ঘটানো যায় না। ইতিহাস শেখায়—বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্ন হঠাৎ পরিবর্তন সাফল্য না–ও আনতে পারে। যেমনটি ঘটেছে নেপালে। ২০০৮ সালে যে বিকেন্দ্রীকরণের সূচনা হয়েছিল, তা এক দশকব্যাপী অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
বাংলাদেশের পথচলা হতে হবে সতর্ক; পদক্ষেপ নিতে হবে সুপরিকল্পিত। বাংলাদেশের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সামাজিক বুনন ও ঐতিহাসিক পথপরিক্রমাকে ভিত্তি করে প্রজ্ঞায় ভরপুর বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়াই বাঞ্ছনীয়। ফলে সমাজবাস্তবতা ও ইতিহাসনিবিষ্ট শিকড়ে প্রোথিত হবে।
আশার সুবাতাস বইছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সংশয়বাদীরা ব্যয় নিয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। কিন্তু স্থিতিশীল স্থানীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ সংসদ কোনো বোঝা নয়, বরং গণতন্ত্র রক্ষার নিশ্চয়তা। স্থানীয় স্বয়ংশাসন বা লোকাল সেলফ গভর্নমেন্ট এবং দ্বিকক্ষ ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে বিলাসিতা নয়—গণতান্ত্রিক ক্ষয়ের বিরুদ্ধে সুরক্ষা কবচীয় বিমা।বাংলাদেশ পলিমাটির বদ্বীপ। পলি জমে জমে গড়ে উঠেছে এই স্বদেশ। সাংবিধানিক কাঠামোগত পরিবর্তনও ধীরে ধীরে, স্তরে স্তরে পাললিক এই ভূমির মতো স্থায়ী হতে পারে।
এই নবযাত্রা তৃণমূল থেকেই শুরু হতে হবে। ‘স্থানীয় সরকারের’ সাংবিধানিক অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় পর্যায়ে সরকার নেই। রাষ্ট্র অসমভাবে কেন্দ্রীভূত। স্থানীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক কাঠামো আছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসন জাতীয় ব্যয়ের ৫ শতাংশের কম নিয়ন্ত্রণ করে।
এই ফাঁপা ভিত্তির ওপর উচ্চকক্ষ গড়লে ঢাকাকেন্দ্রিক অলিগার্কি সুসংহত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রকৃত সংস্কার কেন্দ্রীকরণ নয়; বিকেন্দ্রীকরণও নয়। ক্ষমতা হস্তান্তর বা ডেডুলেশনের মাধ্যমে স্থানীয় স্বয়ংশাসন বা লোকাল সেলফ গভর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠাই জন আকাঙ্ক্ষা। অর্থাৎ প্রথমে উল্লম্বভাবে ক্ষমতা বণ্টন, পরে আনুভূমিক। ‘উল্লম্ব গণতন্ত্র’ বা ভার্টিক্যাল ডেমোক্রেসি রাষ্ট্রের ওপর জনগণের মালিকানা স্থাপনের অন্যতম সোপান।
তৃণমূল পর্যায়ে প্রকৃত স্থানীয় স্বশাসন গড়ে তোলায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেবল কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রের উপস্থিতি বাড়ানো নয়। সংবিধানের ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে ‘উপজেলা পরিষদ’কে স্থানীয় আর্থিক, নিরাপত্তা ও আইন প্রণয়নগত ক্ষমতা দেওয়া দরকার। উদাহরণস্বরূপ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও প্রাথমিক শিক্ষার মতো জনসেবার ওপর ক্ষমতা প্রদান জরুরি। ভারত ১৯৯২ সালে সংবিধানের ৭৩তম সংশোধনের পর বা ইন্দোনেশিয়া ২০০১ সালের পর যেমন হয়েছে। ক্ষমতা হস্তান্তরের এ সংস্কার শুধু বিকেন্দ্রীকরণ বা প্রতিস্থাপন নয়। কোনো আমদানিও নয়, বরং সাংবিধানিক জৈব রূপান্তর। জমিকে প্রস্তুত করে তারপর গাছ লাগানোর মতো।
বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থার ভিত্তি মজবুতকরণবর্তমান জাতীয় সংসদের দৃঢ় সুসংহতকরণের মাধ্যমেই সংস্কার শুরু হোক। সরকারের জবাবদিহি বাড়াতে বর্তমানের এক কক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদকে শক্তিশালী হতে হবে। ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত অনেক। যেমন ১৬৮৮-এর ‘গৌরবময় বিপ্লবে’র পর সংসদীয় কমিটির কার্যাবলি সম্প্রসারণ, আইনি তদারকি ও প্রাক্-আইনি পর্যালোচনার মাধ্যমে ব্রিটিশ সংসদ ধাপে ধাপে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হয়েছে।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোকে স্বাধীন গবেষণা ইউনিট, পর্যাপ্ত কর্মী ও বিশেষায়িত আইনি দক্ষতা দিয়ে শক্তিশালী করলে বিল বিশ্লেষণ ও সরকারি কার্যক্রম তদারকির সক্ষমতা বাড়বে। যেমন জার্মানির আছে বুন্ডেসটাগ সায়েন্টিফিক সার্ভিস বা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস।
উপদেষ্টা সেবা প্রদানে ‘বিশেষজ্ঞ বা পরামর্শ পরিষদ’ গঠন করা যেতে পারে। তাঁদের কাছ থেকে সংসদে বিল তোলার আগে তথ্যভিত্তিক মূল্যবান পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। ফ্রান্সের ‘কঁসেই দ্যেতা’ থেকে ধারণা নেওয়া যেতে পারে। নেপোলিয়ন ১৭৯৯ সালে নীতিনির্ধারণে আইনি সামঞ্জস্য নিশ্চিত করতে ওই পর্ষদ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
আইন প্রণয়নে নাগরিক অংশগ্রহণ বহুগুণে বাড়াতে হবে। বিলের ওপর গণশুনানি ও কাঠামোবদ্ধ মতামত প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করলে দুর্বলতাগুলো প্রকাশ পাবে, জনসমর্থন বাড়বে এবং জনমালিকানা স্থাপিত হবে। গণশুনানি ও কাঠামোবদ্ধ মতামত প্রক্রিয়া বহু দেশে প্রচলিত।
মধ্যবর্তী দ্বিকক্ষ কাঠামো গঠনপূর্ণাঙ্গ দ্বিতীয় কক্ষ স্থাপনের ভিত্তি রচনার জন্য পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি নেওয়া যেতে পারে। একটি পরিবর্তনকালীন মধ্যবর্তী উচ্চকক্ষ গঠন করা যেতে পারে। মনোনীত প্রতিনিধিরা এই কক্ষের সদস্য হবেন। বিশেষজ্ঞরাও সদস্য হতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা তাঁদের নির্বাচন করবেন। এই কক্ষ আলোচনা করতে পারবে এবং যুক্তিসংগত আপত্তি তুলতে পারবে, তবে কোনো বিল আটকে দেওয়ার বা ভেটো ক্ষমতা থাকবে না।
এই পরামর্শ কাঠামোর অভিজ্ঞতা ধারণ করে গণভোটের মাধ্যমে সীমিত ক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে। যেমনটি ১৯৩৭ সালে আয়ারল্যান্ডে হয়েছে। এই ক্ষমতার মধ্যে থাকতে পারে সুপারিশ বিল পুনর্বিবেচনার অধিকার অথবা সুপারমেজরিটির ভিত্তিতে একটি যোগ্যতাসম্পন্ন ভেটোর ব্যবস্থা। এ ছাড়া সংস্কৃতি, পরিবেশ বা আন্তঃআঞ্চলিক উন্নয়নের মতো নির্দিষ্টকৃত বিষয়ে যৌথ আইন প্রণয়নের অধিকার দেওয়া যেতে পারে।
বৈধতা বাড়াতে ধাপে ধাপে সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি পরিমার্জন ও জনস্বীকৃতি নিশ্চিত করার দিকেও অগ্রসর হতে হবে। স্পেনের ১৯৭৮ সালে সেনেট সংস্কারের নজির পরীক্ষা করা যেতে পারে।
পূর্ণাঙ্গ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে রূপান্তরচূড়ান্ত পর্যায়ে একটি পূর্ণ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠিত হবে। নিম্নকক্ষ জনগণের প্রত্যক্ষ ম্যান্ডেটের মাধ্যমে নির্বাচিত বিধায় অর্থবিষয়ক ও সরকার গঠনের ক্ষমতা বজায় রাখবে। উচ্চকক্ষ আইনি পর্যালোচনায় মনোনিবেশ করবে। কার্যকর দ্বিকক্ষব্যবস্থার জন্য সুস্পষ্ট বিভাজন অপরিহার্য। এই বিভাজন বিশ্বজুড়েই স্বীকৃত। ওয়েস্টমিনস্টারসহ বিশ্বের অধিকাংশ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে শ্রমবণ্টন স্পষ্ট। ১৭-১৮ শতকের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ‘হাউস অব কমন্সের’ আর্থিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংসদীয় দ্বন্দ্ব সমাধানে যৌথ অধিবেশন (অস্ট্রেলিয়ার সংবিধানের ৫৭ ধারা) বা কনফারেন্স কমিটির (যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৮৯ সাল থেকে) মতো ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের আর্থিক প্রাধান্য সংবিধানে প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন। যুক্তরাজ্যের ১৯১১ ও ১৯৪৯ সালের পার্লামেন্ট আইন পর্যালোচনা করা যেতে পারে। দৃশ্যপট কল্পনা করুন: একজন গারো নেতা ঢাকাভিত্তিক অর্থনীতিবিদের সঙ্গে জলবায়ু নীতি নিয়ে বিতর্ক করছেন। গণতান্ত্রিক কল্পনাকে গণতান্ত্রিক চর্চায় রূপান্তরের মধ্যেই প্রকৃত গণতন্ত্র নিহিত।
সাহসী পরিবর্তনআশার সুবাতাস বইছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সংশয়বাদীরা ব্যয় নিয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। কিন্তু স্থিতিশীল স্থানীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ সংসদ কোনো বোঝা নয়, বরং গণতন্ত্র রক্ষার নিশ্চয়তা। স্থানীয় স্বয়ংশাসন বা লোকাল সেলফ গভর্নমেন্ট এবং দ্বিকক্ষ ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে বিলাসিতা নয়—গণতান্ত্রিক ক্ষয়ের বিরুদ্ধে সুরক্ষা কবচীয় বিমা।
বাংলাদেশ তাড়াহুড়া করে স্বাধীনতা অর্জন করেনি; সাংবিধানিক সাহসী পরিবর্তনেও স্থিতধী প্রয়োজন। নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ, বিবর্তন, ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতার সম্প্রসারণ জরুরি। ২০২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থানে জনগণ যে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে, এমন জনশাসন কাঠামোর প্রতিফলনই আবশ্যিক।
● ড.
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
* মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক ক ক ন দ র করণ গণতন ত র র প ন তর ব যবস থ পর য য় আইন প ক ষমত সদস য র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
‘পূর্ব আলোচনা ছাড়া’ জাতীয় পার্টির সম্মেলন স্থগিত, ‘বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন’ দুই কো-চেয়ারম্যান
রাজধানীর বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ২৮ জুন জাতীয় পার্টির (জাপা) দশম জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সম্মেলন স্থগিতের কথা জানায় জাপা। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই এই সম্মেলন স্থগিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অনভিপ্রেত। এককভাবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দলীয় গঠনতন্ত্র, প্রেসিডিয়ামের সম্মান ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। আমরা এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে দলের দশম জাতীয় সম্মেলন স্থগিতের বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলে উল্লেখ করেন জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ এই দুই নেতা। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘আমরা মনে করি, ২৮ জুনের জাতীয় সম্মেলন দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় গঠনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ম ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী বৈধতা নিশ্চিতের পরিপ্রেক্ষিতে এই সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সম্মেলনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে গণতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা দলীয় গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, গত ২০ মে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে কোনো কারণবশত বরাদ্দকৃত সম্মেলনস্থল পাওয়া না গেলে বিকল্পভাবে রাজধানীর কাকরাইলের পাইওনিয়ার রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে।
জাতীয় পার্টির এই দুই জ্যেষ্ঠ নেতার আশা, জাপার চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্র ও প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ২৮ জুনই বিকল্প স্থান হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই দশম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন নিশ্চিত করবেন। তাঁরা বলেছেন, জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। গঠনতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চাই হোক তাদের এগিয়ে চলার প্রধান শক্তি।