দ্বিতীয় সেশনের ৩৩ ওভারে ১৩৩ রান তোলার বিনিময়ে ১ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার রান ৬০ ওভারে ২ উইকেটে ২৩৩। নিশাঙ্কা খেলছেন ১২৬ রানে। ৩০ বলে ২১ রানে খেলছেন অ‍্যাঞ্জেলো ম‍্যাথুস। 

চান্দিমালকে ফেরালেন নাঈম, জীবন পেলেন নিশাঙ্কা: অবশেষে সাফল্যের দেখা পেল বাংলাদেশ। নাঈমের বলে সাদমানের তালুবন্দি হয়ে ফিরলেন চান্দিমাল। ১১৯ বলে চারটি চারে ৫৪ রান করেন লঙ্কান এই ব্যাটার। এতে ভাঙল ২৩৮ বলে ১৫৭ রানের জুটি। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। পরের ওভারে আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন নাঈম। নিশাঙ্কার ক্যাচ ধরতে পারেননি লিটন। সে সময় ১১৯ রানে ছিলেন নিশাঙ্কা। ৫৫ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রানে ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা। ১২৩ রানে নিশাঙ্কা ও ৪ রানে আছেন ম্যাথুস।

নিশাঙ্কার সেঞ্চুরিতে লঙ্কানদের প্রতিরোধ: ঘনঘন বোলার পরিবর্তন করেও কুল কিনারা পাচ্ছেন না অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। উল্টো নিশাঙ্কা-চান্দিমাল পেয়েছে শতরানের জুটি। নিশাঙ্কাও পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি। অপর প্রান্তে চান্দিমালও আছেন ফিফটির পথে।

১ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানে ব্যাট করছে লঙ্কানরা। নিশাঙ্কা ১০১ ও চান্দিমাল আছেন ৪৮ রানে। শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে ৩১৪ রানে পিছিয়ে। এর আগে দিনের প্রথম সেশনে ২৭ ওভার ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা। হারিয়েছে ওপেনার লাহিরু উদারার উইকেট।

আজ ম্যাচের তৃতীয় দিন ৯ উইকেটে ৪৮৯ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। এদিন সফরকারীরা টিকেছে মাত্র ৩.

৪ ওভার, যোগ করে মাত্র ৬ রান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৯৫ রানে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সূর্য কি সত্যিই জেগে উঠছে

সৌরজগতে উষ্ণতা থেকে শুরু করে ভর আর সব গ্রহের কক্ষপথের স্থিতিশীলতা দিচ্ছে সূর্য। আমাদের পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা তৈরির জন্য সূর্যের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। তবে নাসার বিজ্ঞানীদের ধারণা, শক্তিশালী সূর্য জেগে উঠেছে। আমাদের সূর্য অপ্রত্যাশিতভাবে তার কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। এতে আরও তীব্র সৌরঝড় দেখা দিতে পারে। সৌরঝড়ের কারণে নানা ভাবে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যাহত হয়।

নাসার তথ্যমতে, আমাদের সৌরজগতের মধ্যমণি সূর্য প্রায় ২০ বছর ধরে শান্ত ও দুর্বল অবস্থায় ছিল। ২০০৮ সালে সূর্যের প্রকৃতিতে আশ্চর্যজনকভাবে পরিবর্তন আসে। বিজ্ঞানীরা সেই পরিবর্তনের কারণে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৮ সাল থেকে সূর্যের সৌরবায়ু বা চার্জ হওয়া কণার স্রোতের গতি, ঘনত্ব, তাপমাত্রা ও চৌম্বক ক্ষেত্রের শক্তি বাড়ছে। এতে শক্তিশালী সৌরঝড় তৈরির সুযোগ বাড়ছে। এসব ঝড় নিয়মিতভাবে পৃথিবীতে আঘাত করে। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঝড় উপগ্রহের স্বাভাবিক কাজে হস্তক্ষেপ করে বলে জিপিএসের মতো যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হয়।

সৌরঝড় কখন তৈরি হবে, তার সঠিক সময় ও ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ২০২৫ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে সূর্যের বর্তমান ১১ বছরের চক্র সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে ঝড় আরও ঘন ঘন হতে পারে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির প্রধান গবেষণা লেখক জেমি জ্যাসিনস্কি বলেন, সূর্য ধীরে ধীরে জেগে উঠছে। সৌর কণার বর্ধিত সংস্পর্শ মহাকাশচারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এ সপ্তাহে একটি শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবায় ব্যাপক সমস্যা দেখা যায়।

অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, সৌর কার্যকলাপের বৃদ্ধি দীর্ঘ ২২ বছরের চক্রের অংশ হতে পারে। সূর্য এখন তার রহস্যময় দুই দশকের শান্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে সৌরবায়ুর গতি ৬ শতাংশ ও ঘনত্ব ২৬ শতাংশ বেড়েছে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

সম্পর্কিত নিবন্ধ