Samakal:
2025-11-03@08:29:18 GMT

কালাপাহাড় পালিয়েছে

Published: 19th, June 2025 GMT

কালাপাহাড় পালিয়েছে

কালাপাহাড় রুদ্ধশ্বাসে দৌড়াচ্ছে। সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই আক্রমণ করছে। তার শিংয়ের গুঁতোয় ঈদের জামাত ফেরত দুজন মানুষ ইতোমধ্যে আহত। একজনের মাথা ফেটে গেছে। অন্যজন কোমরে ব্যথা পেয়েছে। কালাপাহাড়ের শিংয়ের গুঁতোয় রাস্তার পাশে আক্কাস মিয়ার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত। দোকানদার আক্কাস মিয়া এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ে এসে সবেমাত্র খুলেছে দোকানের ঝাঁপ। তখনই দেখতে পায় কালো রঙের একটি গরু তার দোকানের দিকেই রুদ্ধশ্বাসে দৌড়ে আসছে। পেছনে চার-পাঁচজন মানুষ গরুটি ধরার চেষ্টা করছে। আক্কাস মিয়ার বুঝতে অসুবিধা হলো না এটি তারই কোরবানির গরু। সাত ভাগের এক ভাগ কিনেছে আক্কাস মিয়া। ঢেলাপীরের হাট থেকে গরু কেনার সময় কোরবানির ভাগের অন্য শরিকদের সঙ্গে সেও ছিল। গেরস্থের পালা গরু। নাম কালাপাহাড়। গেরস্থ রহিমুদ্দি গরু বিক্রির টাকা বুঝে পেয়ে হঠাৎ আবেগাপ্লুত হয়ে বলে– গরুটা বাহে আদর সোহাগ সউগ বুঝে। গরুটার যত্ন নিবেন বাহে। 
আক্কাস মিয়া, মফিজুর, হান্নান শেখ, মফিজুরের বড় ছেলে জুলহাস, মফিজুরের কাজের ছেলে রুস্তম কালাপাহাড়কে হাঁটিয়ে নিয়ে সৈয়দপুর শহরে এলো। বাঁশবাড়ি এলাকায় মফিজুরের বাড়িতেই কালাপাহাড়কে রাখা হলো। গরু যা খায় যেমন ঘাস, খইল, ভুসির ব্যবস্থা আগে থেকেই করা ছিল। গ্রামের মানুষ রুস্তম গরুর খাওয়াদাওয়া, যত্ন-আত্তির ব্যাপারটা বেশ ভালো করেই জানে। কাজেই সবাই নিশ্চিন্ত হলো কালাপাহাড়ের যত্ন-আত্তির ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে না। রাতে সাত ভাগের পাঁচ শরিকের মধ্যে একটি বৈঠকও হলো। স্থানীয় মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের প্রথম জামাত। এর পরই সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে কোরবানির ব্যবস্থা করা হবে। গরু জবাই করার জন্য ‘হুজুরকে’ও বলা হলো। হুজুর কথা দিলেন মসজিদে ঈদের নামাজ পড়েই কালাপাহাড়কে জবাই করতে আসবেন। সবই তো বৈঠকের কথামতোই চলছে। কিন্তু কালাপাহাড় এভাবে খেপল কেন?
কালাপাহাড় বিপুল শক্তি নিয়ে সামনের দিকে দৌড়ে আসছে। কসাই রমজান, তার দুজন সহযোগীর সঙ্গে জুলহাস, রুস্তম কালাপাহাড়ের পেছনে দৌড়াচ্ছে। কালাপাহাড়কে থামানোর জন্য আক্কাস মিয়া সাহস  নিয়ে সামনে দাঁড়াল। তার সঙ্গী হলো এলাকার আরও কয়েকজন। পরিস্থিতি দেখে মনে হলো কালাপাহাড়ের আর রেহাই নাই। ধরা তাকে পড়তেই হবে। কালাপাহাড় যাতে ভয় পায় সেজন্য সামনে-পেছনে সবাই ধর ধর বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দিল। 
কিন্তু এতে কাজ হলো না। সবার চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে কালাপাহাড় আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তি দেখিয়ে দৌড়াতে শুরু করল। আক্কাস মিয়াসহ অন্যরা বাধা দিতে গিয়ে পারল না। দোকানের সামনের অংশে গুঁতা দিয়ে দোকান বন্ধ করার ঝাঁপ মাথায় নিয়ে সাইক্লোনের গতিতে দৌড়াতে থাকল কালাপাহাড়। আক্কাস মিয়া আহত হয়েছে। তার কপাল ফেটে গেছে। কসাই রমজানের দুই সহযোগীর একজনের সামনের সারির একটা দাঁত ভেঙে গেছে। মুখ থেকে গলগল করে রক্ত পড়ছে। অন্য সহযোগী তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। জুলহাস, রুস্তমসহ আরও কয়েকজন কালাপাহাড়কে ধরার জন্য সামনের দিকে দৌড়াতে থাকল। ডান হাত দিয়ে ফাটা কপাল চেপে ধরে কসাই রমজানও তাদের পিছু নিল। 
কিন্তু কালাপাহাড়কে পাওয়া গেল না। মূল সড়কে উঠে গিয়েছিল কালাপাহাড়। তার দৌড় যেন থামেই না। রাস্তায় অনেকেই কালাপাহাড়কে ধরার চেষ্টা করেছে। ধরতে পারেনি। কালাপাহাড়ের শিংয়ের গুঁতোয় বড় রাস্তায়ও কয়েকজন আহত হয়েছে। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত একজনকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের দাঁত ভেঙে গেছে। তবুও কালাপাহাড়কে কেউ ধরতে পারল না। জুলহাস, কসাই রমজান, রুস্তমসহ অন্যরা বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে ফিরে এলো বাঁশবাড়ি এলাকায়। মফিজুরের বাড়িতে বৈঠক বসল। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে এতক্ষণে কালাপাহাড়ের গোশত দিয়ে ভাত অথবা পোলাও খেতো সবাই। অথচ বিরস বদনে সবাই বসে, দাঁড়িয়ে আছে। মফিজুরের নাতি অর্থাৎ জুলহাসের শিশুপুত্র অনিক বারবার মফিজুরকে প্রশ্ন করছে, দাদু আমাদের কোরবানি হবে না? ও দাদু বলো না। আমাদের কোরবানি হবে না? চুপ করে আছো কেন? বলো না। মফিজুর কোনো জবাব দিচ্ছেন না। জুলহাস ছেলেকে মৃদু ধমক দিল, অনিক একই প্রশ্ন বারবার করছো কেন? সিচুয়েশন বুঝো না? দেখতেছো না আমাদের কোরবানির গরু হারিয়ে গেছে। 
বাবার বকা খেয়ে অনিক কাঁদতে কাঁদতে বলল– অন্যদের কোরবানির গরু তো হারায় না। আমাদেরটা হারাল কেন? তোমরা পচা, আমি তোমাদের সঙ্গে কথা বলব না। 
কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির ভেতরে চলে গেল অনিক। মফিজুর সবার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়লেন– এখন কোরবানির কী হবে? ঈদের দিন কোথাও কি গরুর হাট বসে?
কসাই রমজান বলল– ঈদের দিন গরুর হাট কীভাবে সম্ভব? 
মফিজুর প্রশ্ন করল– তাহলে আমাদের করণীয় কী? কোরবানির গরু তো হারিয়ে গেল। আমাদের কোরবানি কি জায়েজ হবে?
কেউ কোনো উত্তর দিল না। কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক ভেঙে গেল। 
শেষ রাতের দিকে একটা স্বপ্ন দেখলেন মফিজুর। অদ্ভুত স্বপ্ন। কালাপাহাড় ফিরে এসেছে। মানুষের মতো কথা বলছে। 
কালাপাহাড় হারিয়ে যাবার পর সংক্ষিপ্ত বৈঠক শেষে সবাই যে যার মতো চলে যাবার পর পরিবারের সদস্যদের মারমুখি প্রশ্নের মুখোমুখি হয় মফিজুর। প্রথমে স্ত্রী সালেহার প্রশ্ন– কোরবানির গরু হারায় কীভাবে? নিশ্চয়ই কসাইরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেনি। অন্যের কোরবানির গরু তো পালায়নি? আমাদেরটা পালাল কেন?
জুলহাসের বউ হাসনাহেনা বলল– আব্বা কোরবানির গরু হারিয়ে যাওয়া ভালো লক্ষণ নয়। আপনি এক কাজ করেন একটা ছাগল হলেও কোরবানি দেন। 
হাসনাহেনার কথাটা মনে ধরে মফিজুরের। গ্রামের বাড়িতে কেয়ারটেকার গোলজারকে ফোন করেন। সব শুনে গোলজার এক ঘণ্টার ব্যবধানে একটা ছাগল নিয়ে হাজির হয়। হুজুরকে বলা ছিল। তাই খবর পেয়ে রক্তাক্ত ছুরি নিয়ে হাজির হন হুজুর। ছাগল কোরবানি দেন মফিজুর। পরিবারের সবাই মোটামুটি শান্ত। কিন্তু কালাপাহাড়কে নিয়ে কথা যেন থামে না। এত মানুষ থাকতে একটা গরু কীভাবে হারায়? কসাই নিশ্চয়ই সঠিক দায়িত্ব পালন করেনি। শহরের এত মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটা গরু হারিয়ে গেল? কেউ কেউ মন্তব্য করল– গরু হারায়নি। দুষ্ট প্রকৃতির কোনো মানুষ নিশ্চয়ই গরুটাকে ধরেছে। তারপর কৌশলে গরুটাকে হাওয়া করে দিয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির মানুষের ব্যাপারেই ব্যাপক আলোচনা হলো। 
রাত একটা কি দেড়টার দিকে ঘুমাতে যান মফিজুর। ভোরের আজানের কিছু আগে স্বপ্নটা দেখেন। কালাপাহাড় ফিরে এসেছে। বাড়ির সামনে একা দাঁড়িয়ে আছে। মফিজুর দৌড়ে তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। কালাপাহাড় বলল– আপনাদের একটা বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছি। আমাকে মাফ করবেন। মফিজুর যারপরনাই অবাক হয়ে বললেন– তুমি মানুষের মতো কথা বলছো কীভাবে? 
কালাপাহাড় বলল– আপনি ভুল করছেন। আমি মানুষের ভাষায় কথা বলছি না। আমি গরুদের ভাষায় কথা বলছি। আপনি ভালো মানুষ তাই আমার কথা বুঝতে পারতেছেন। আমার ব্যাপারে আপনারা একটা ধারণা তৈরি করেছেন। ধারণাটা ঠিক না। ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার জন্য আমি আপনার কাছে আসছি। আপনাদের ধারণা, আমি কোরবানির ভয়ে পালাইছি। কথা ঠিক না। আমি পালাই নাই। কোরবানির নামে আপনারা যে ভণ্ডামি শুরু করছেন, তার প্রতিবাদ করার জন্য আমি এসেছি।  
মফিজুর যারপরনাই অবাক হয়ে কালাপাহাড়ের কথা শুনছিলেন। কোরবানির নামে ভণ্ডামি কথাটা শুনেই বললেন, কোরবানির নামে ভণ্ডামি? এসব কী বলতেছ তুমি? 
কালাপাহাড় এবার প্রশ্ন করল– কোরবানির অর্থ কী, আপনি বলেন তো? 
মফিজুর অর্থটা জানেন। অথচ তা প্রকাশ করতে গিয়ে হঠাৎ যেন দ্বিধায় পড়ে গেলেন। কালাপাহাড় বলল, কোরবানি অর্থ হলো ত্যাগ। নিজের লোভ-লালসা বিসর্জন দেওয়া। আপনারা আমাদের পশু বলেন। আপনাদের কাছে আমরা অত্যন্ত নিকৃষ্ট প্রাণী। কাউকে ছোট করতে হলে বলেন, পশুর মতো আচরণ করবি না। তার মানে পশুরা খারাপ। সেই পশুকেই কোরবানি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এজন্য কিছু শর্তও আছে। পশুটি হতে হবে গৃহপালিত। যার প্রতি আপনার মায়া জন্মাবে। যার প্রতি মায়া জন্মায়, সে-ই প্রিয় হয়ে ওঠে। এই যে আপনারা আমাকে ঢেলাপীরের হাট থেকে কিনে আনলেন, কে কতটুকু মায়া দেখাইছেন? বলেন? আমাকে আপনার বাড়িতে আনার পর আমার শরীর নিয়ে শুরু হলো গবেষণা। কয় মণ মাংস হবে, মাংস খেতে কেমন হবে? নানা প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হলো। পাশের বাড়ির কোরবানির গরুটির সঙ্গেও আমার তুলনা শুরু হয়ে গেল। ঘটনা আরও আছে। সবাই কি পশু কোরবানির যোগ্যতা রাখে? আপনারা পাঁচজন মানুষ সাত ভাগের জন্য আমাকে কোরবানি দেবেন? এদের মধ্যে ক’জন সততার সঙ্গে জীবন চালায়? আপনাদের মধ্যে একজন চাকরিজীবী আছেন। ঘুষ ছাড়া ফাইলে সই করেন না। একজন ব্যবসায়ী আছেন। প্রকাশ্যে জিনিসপত্রে ভেজাল দেন। একজন উঠতি রাজনীতিবিদ আছেন। যার কাজই হলো রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে অর্থ আদায় করা। এই যে আপনি তাদের সঙ্গে কোরবানি দিচ্ছেন, এই কোরবানি কি জায়েজ হবে? বলেন?
এবার আমার প্রতিবাদের মূল কারণটা বলি। ঢেলাপীরের হাটের কথা মনে আছে? আমার মনিব যখন আপনাদের কাছে আমাকে বিক্রি করে, তখন কী বলেছিলেন? গরুটা বাহে আদর সোহাগ সউগ বুঝে। গরুটার যত্ন নিবেন বাহে। আপনারা কি সেই অর্থে আমার যত্ন নিয়েছেন? মায়া দেখাইছেন? যত্ন তো দূরের কথা, ভালোমতো খেতেও দেননি। কোরবানির আগে আপনাদের বজ্জাত কসাইটা কী করল? আমার পাছায় হঠাৎ একটা লাত্থি দিয়া বলল– চল রে কালাপাহাড় চল। এটা কি সে ঠিক করেছে? হলাম না হয় গরু? একটা প্রাণী তো। একটু পরে আমাকে জবাই করবেন। একটু আদর করলে কী এমন ক্ষতি হতো? আপনিই বলেন? 
কালাপাহাড়ের কথা শুনে শুধু অবাক নয়, বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মফিজুর। মসজিদে ফজরের নামাজের আজান হচ্ছে। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। মফিজুর বুঝতে পারলেন এতক্ষণ যা ঘটেছে তা ছিল স্বপ্ন। এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? বিছানা থেকে নেমে বাথরুমে গিয়ে অজু করলেন। তারপর জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ শুরু করলেন। ততক্ষণে আকাশ ফর্সা হয়ে গেছে। নামাজ শেষে মোনাজাত ধরলেন মফিজুর। ইয়া মাবুদ, ইয়া পরওয়ার্দেগার, তোমার মহিমা বুঝা দায়। আমি গুনাহগার বান্দা তোমার দরবারে দুই হাত তুলেছি। আমার সকল অপরাধ ক্ষমা করে দিও। আমাদের কোরবানির গরুকে স্বপ্নে দেখলাম। এই স্বপ্নের আসল অর্থ কী, আমার জানা নেই। কোরবানিতে কোনো ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিও মাবুদ .

.. 
বাইরে শোরগোল শোনা যাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে কোনো একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে অনেক মানুষ একত্রিত হয়েছে। এত সকালে কী এমন ঘটল যে এত মানুষের ভিড় শুরু হয়েছে। মোনাজাত শেষ করে বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়ালেন মফিজুর। চোখের সামনে যা দেখছেন তা যেন অবিশ্বাস্য। এও কি সম্ভব? ডান হাত দিয়ে বাম হাতে চিমটি কাটলেন। হ্যাঁ, ঘটনা সত্য। কালাপাহাড় সত্যি সত্যি ফিরে এসেছে। সঙ্গে তার মনিব রহিমুদ্দি। 
রহিমুদ্দি কালাপাহাড়কে দেখিয়ে কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে বলল, স্যার, অবলা প্রাণী হইলে কী হবে। আদর সোহাগ সউগই বুঝে। ঈদের দিন সন্ধ্যা হয় হয় অবস্থা। হঠাৎ দেখি কালাপাহাড় হামার বাড়িত হাজির। হামরা সগায় তো অবাক। আমার পরিবার (স্ত্রী) কালাপাহাড়কে নিজের সন্তানের মতো আদর করে, ভালোবাসে। সে কালাপাহাড়কে বুকে জড়ায়ে ধরল। তারপর গরুটা বাহে শান্ত হইল। রাইতেই হামরা স্বামী স্ত্রী সিদ্ধান্ত নিলাম কালাপাহাড়কে আপনাদের কাছে ফিরি দেমো। কিন্তু আপনাদের ঠিকানা তো জানি না। অনেক কষ্টে আপনার ঠিকানা পাওয়া গেল। স্যার আপনার আমানত ফেরত নেন। 
মফিজুর কী বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না। এও কি সম্ভব? রাতের স্বপ্নদৃশ্য মনে পড়ল। কালাপাহাড় অনেক প্রশ্ন করেছে তাকে। এখন সে শান্ত। যেন কিছুই হয়নি। কিন্তু তার করা প্রশ্নগুলো মফিজুরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল। পালাবার পথ খুঁজছেন মফিজুর। কিন্তু পালাবার পথ নেই। কালাপাহাড়ের মতো অসংখ্য কোরবানির গরু তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কী ভয়ংকর দৃশ্য। সত্যি ভয়ংকর... v 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গল প আপন দ র র জন য র যত ন স মন র র স মন মসজ দ আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন আগামীকাল মঙ্গলবার। ‘বিশ্বের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত এই শহরে প্রথমবার এমন একজন মেয়র পদে নির্বাচিত হতে পারেন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির চলতি ধারার একদম বিপরীতমুখী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান পার্টি এক ‘শ্বেতকায়, খ্রিষ্টান ও রক্ষণশীল’ আমেরিকার কথা বলছেন।

জোহরান মামদানি শ্বেতকায় নন, তিনি বাদামি রঙের দক্ষিণ এশীয়। তিনি খ্রিষ্টান নন, একজন মুসলিম। তিনি অবশ্যই রক্ষণশীল নন, তিনি খোলামেলাভাবে একজন প্রগতিশীল, যিনি নিজেকে সমাজতন্ত্রী বলতে দ্বিধা করেন না।

‘মামদানি একজন ভয়ানক মানুষ’, সাবধান করে বলেছেন অ্যান্ড্রু কুমো, মঙ্গলবারের নির্বাচনে যিনি মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বী। সারা জীবন ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য থাকলেও বাছাইপর্বে পরাজিত হয়ে তিনি এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।

ব্যালটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম না থাকলেও এই নির্বাচনে তিনি একজন অদৃশ্য প্রার্থী। কুমোর পক্ষ নিয়ে তিনিও এই নির্বাচনের একজন অংশগ্রহণকারী। বড় ব্যবধানে মামদানির বিজয় হলে অনেকেই তা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অনাস্থা হিসেবেই দেখবেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের আদি বাসিন্দা। তিনি কোনোভাবেই চান না মামদানি এই শহরের মেয়র নির্বাচিত হোন। তাঁর বিবেচনায় মামদানি শুধু একজন পাক্কা কমিউনিস্টই নন, রীতিমতো উন্মাদ। এমন একজনকে নির্বাচিত করা হলে তিনি নিউইয়র্ক সিটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আটকে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, মামদানি একজন অবৈধ অভিবাসী। তা প্রমাণিত হলে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে। মেয়র নির্বাচিত হয়ে মামদানি যদি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের চলতি অভিযানে বাধা দেন, তাহলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে, এমন হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

শহরের প্রতিটি প্রধান কেন্দ্র হেঁটে জনসংযোগ সেরেছেন মামদানি। ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক, যাঁদের অধিকাংশই নবীন, শহরের প্রতিটি বাসায় কড়া নেড়েছেন। টিকটক ও ইউটিউবে তাঁর উপস্থিতি অভূতপূর্ব। মামদানির এই ‘মাঠপর্যায়ের খেলা’ ঠেকাতে কুমো বেছে নিয়েছেন একদিকে ঘৃণা, অন্যদিকে ভীতি।

ট্রাম্পের ব্যাপারে জনরায়

শুধু নিউইয়র্কে নয়, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আরও অন্তত তিনটি রাজ্যে নির্বাচন হবে আগামীকাল, যার ফলাফল ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসনের ব্যাপারে একটি রেফারেন্ডাম বা জনরায় হবে ভাবা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ায় গভর্নর পদে নির্বাচন। এই দুই রাজ্যে প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চ পরিষদেও ভোট গ্রহণ করা হবে। উভয় রাজ্যই ডেমোক্রেটিক রাজনীতির সমর্থক, বা ‘ব্লু স্টেট’। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই দুই রাজ্যেই ট্রাম্পের হার হয়, কিন্তু ২০১৬ সালের তুলনায় তিনি অনেক ভালো ফল করেন। দেখার বিষয়, দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে এই দুই রাজ্যে ট্রাম্পের জনসমর্থন এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে।

এ ছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ায় গভর্নর গেভিন ন্যুসাম নির্বাচনী ম্যাপ পরিবর্তনের অনুমতি চেয়ে একটি গণভোটের আয়োজন করেছেন। আগামী বছরের নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে রিপাবলিকান পার্টি বড় রকমের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে। তা ঠেকাতেই ট্রাম্পের নির্দেশে টেক্সাসের নির্বাচনী ম্যাপ ঢেলে সাজানো হয়েছে, যার ফলে রিপাবলিকান দল কংগ্রেসে আরও পাঁচটি আসন নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হবে ভাবা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ‘ব্লু স্টেট’ ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর ন্যুসামের নির্দেশে নির্বাচনী ম্যাপ বদলানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার ফলে সেখানে ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য কংগ্রেসে পাঁচটি আসনে বিজয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে।

এই তিনটি নির্বাচনের প্রতিটিতেই ভোটারদের মনে থাকবেন ট্রাম্প, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে আইনি বাধা উপেক্ষা করে বিভিন্ন ডেমোক্রেটিক শহরে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানের নামে সেনাসদস্যদের পাঠাচ্ছেন তিনি। যেসব ডেমোক্রেটিক নেতাকে শত্রু মনে করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছেন। কোনো যুক্তি বা কারণ ছাড়াই ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁর পক্ষে ভোট দেয়নি এমন ডেমোক্রেটিক রাজ্যের কেন্দ্রীয় অনুদান বাতিল করছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ছাড়াই একাধিক সরকারি দপ্তর আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে মাদক পাচার বন্ধের নামে ভেনেজুয়েলার সমুদ্রসীমায় সামরিক হামলা চালাচ্ছেন। আমদানি শুল্কের নামে যে বাণিজ্যযুদ্ধ তিনি শুরু করেছেন, তার ফলে নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের দাম বাড়া শুরু হয়েছে।

গ্যালপ জানাচ্ছে, ২০২১ সালে দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ ধনতন্ত্রের সমর্থক ছিল, তা এখন কমে ৫৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই যে পরিবর্তিত আমেরিকা, ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা সে কথা জানেন না বা জানতে চান না। গাজা প্রশ্নে তাঁদের রক্ষণশীল অবস্থান দলটির প্রতি নবীন প্রজন্মের ভোটারদের অবজ্ঞার জন্ম দিয়েছে।

এসব কার্যকলাপের ফলে সারা দেশে ট্রাম্পের জনসমর্থন কমেছে। অধিকাংশ জনমত জরিপে তাঁর প্রতি সমর্থন ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশের বেশি নয়। সাম্প্রতিক সময়ে মাত্র ১০ মাসের মাথায় অন্য আর কোনো প্রেসিডেন্টের জনসমর্থনে এমন ধস নামেনি।

এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প কোনো রাজ্যেই ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি প্রচারে আসেননি। এমনকি রিপাবলিকান প্রার্থীদের পক্ষে সরব সমর্থনও জানাননি। এর একটা সম্ভাব্য কারণ, জয়ী হবেন এমন প্রার্থীর সমর্থন দিতেই ট্রাম্প ভালোবাসেন। আগামীকালের নির্বাচনে তেমন সম্ভাবনা কম।

এই নির্বাচন যে ট্রাম্পের ব্যাপারে জনরায়, তার আরেক প্রমাণ নির্বাচনী প্রচারণায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অংশগ্রহণ। ডেমোক্রেটিক পার্টিতে জাতীয় নেতা বলতে তিনিই সবেধন নীলমণি। শনিবার নিউ জার্সির ডেমোক্রেটিক গভর্নর পদপ্রার্থী মাইকি শেরিলকে পাশে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন তিনি। একই দিন ভার্জিনিয়ায় ডেমোক্রেটিক গভর্নর পদপ্রার্থী এবিগেইল স্প্যানবার্গারের পক্ষেও প্রচারণায় অংশ নেন তিনি। উভয় রাজ্যেই ওবামা কঠোর ভাষায় ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, ট্রাম্পের কর্তৃত্ববাদী নীতির কারণেই আমেরিকা আজ এক দুঃসময়ের মুখোমুখি।

জনমতে এগিয়ে মামদানি

ওবামা মামদানিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেননি। তবে তিনি যে মামদানির পাশে আছেন, সে কথাও গোপন রাখেননি। মামদানির ক্যাম্পেইন থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি ওবামা নিজেই ফোন করে জানিয়েছেন, তাঁর (মামদানির) বিজয়ের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তিনি বলেছেন, মামদানির নির্বাচনী প্রচার ‘ইম্প্রেসিভ’ বা নজরে পড়ার মতো।

কুমো ক্যাম্প থেকে অহোরাত্রি তাঁকে ‘কমিউনিস্ট’ ও ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ হিসেবে প্রচার সত্ত্বেও মামদানি যেসব জনমত জরিপে এগিয়ে, তার একটি বড় কারণ মাঠপর্যায়ে তাঁর এই ‘ইম্প্রেসিভ’ প্রচারণা। শহরের প্রতিটি প্রধান কেন্দ্র হেঁটে জনসংযোগ সেরেছেন মামদানি। ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক, যাঁদের অধিকাংশই নবীন, শহরের প্রতিটি বাসায় কড়া নেড়েছেন। টিকটক ও ইউটিউবে তাঁর উপস্থিতি অভূতপূর্ব। মামদানির এই ‘মাঠপর্যায়ের খেলা’ ঠেকাতে কুমো বেছে নিয়েছেন একদিকে ঘৃণা, অন্যদিকে ভীতি। এতে তিনি ফল পাচ্ছেন, গত দুই সপ্তাহে মামদানির সঙ্গে তাঁর ব্যবধান ১০ শতাংশের মতো কমে এসেছে। নিউইয়র্কের চলতি মেয়র নির্বাচন থেকে এরিক অ্যাডামস সরে দাঁড়ানোয় কুমোর লাভ হয়েছে সন্দেহ নেই, তবে এখনো মামদানির সঙ্গে যে ১৬-১৭ পয়েন্টের ব্যবধান রয়েছে, তা অতিক্রম করা কার্যত অসম্ভব, এই মত অধিকাংশ পর্যবেক্ষকের।

ভূমিধস পরিবর্তন

একটা বিষয় স্পষ্ট। মেয়র নির্বাচনে মামদানি জয়ী হলে তা মার্কিন রাজনীতিতে প্রজন্মগত ও নীতিগত পরিবর্তনের সূচনা করবে। ভূমিধস পরিবর্তন আসবে ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিতে। মধ্যপন্থী ও ডানঘেঁষা রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে এই দল অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে কম জনপ্রিয়। এই দলে যাঁরা নেতৃত্বে, তাঁদের অধিকাংশই বয়োবৃদ্ধ, করপোরেট আমেরিকার কাছে এদের হাত-পা বাঁধা। ইসরায়েল প্রশ্নে তাদের সমর্থন এখনো আগের মতো নতজানু।

পিউ রিসার্চের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েল প্রশ্নে এখন নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে এমন আমেরিকানের সংখ্যা ৫৩ শতাংশ, যা তিন বছর আগের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। একইভাবে ধনতন্ত্রের প্রতিও আমেরিকানদের সমর্থন নিম্নগামী। গ্যালপ জানাচ্ছে, ২০২১ সালে দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ ধনতন্ত্রের সমর্থক ছিল, তা এখন কমে ৫৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই যে পরিবর্তিত আমেরিকা, ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা সে কথা জানেন না বা জানতে চান না। গাজা প্রশ্নে তাঁদের রক্ষণশীল অবস্থান দলটির প্রতি নবীন প্রজন্মের ভোটারদের অবজ্ঞার জন্ম দিয়েছে।

অন্যদিকে ট্রাম্পের নেতৃত্বে রিপাবলিকান পার্টি খোলামেলাভাবে অভিবাসনবিরোধী, দক্ষিণপন্থী, খ্রিষ্টবাদী ও রক্ষণশীল। চলতি সপ্তাহের নতুন উদ্বাস্তু নীতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন শ্বেতকায় ও ইউরোপীয় আশ্রয়প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেবে। এই অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতকায় নাগরিকবৃন্দ, ট্রাম্প প্রশাসনের চোখে যারা সে দেশের সরকারের বৈষম্যের শিকার।

এই প্রতিক্রিয়াশীল রিপাবলিকান পার্টির বিপরীতে একটি আধুনিক ও প্রগতিশীল ডেমোক্রেটিক আন্দোলন গড়ে ওঠার সুযোগ রয়েছে। সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ও কংগ্রেস সদস্য ওকাসিও-কর্তেজ ইতিমধ্যে এই আন্দোলনের প্রধান মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন। সবাই মানেন, মামদানির মতো তরুণ ও বুদ্ধিমান নেতৃত্ব এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে।

এই সম্ভাবনার কথা খুব স্পষ্ট করে বলেছেন বার্নি স্যান্ডার্স। তাঁর কথায়, এই দেশ করপোরেট আমেরিকার নির্দেশে চলবে, না তার রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ—এ মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ‘যদি আমরা দ্বিতীয় পথটি বেছে নিতে চাই, করপোরেট আমেরিকার বদলে সাধারণ মানুষের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিই, তাহলে আমাদের মামদানির পাশে দাঁড়াতে হবে।’

কোন পথ বেছে নেবে নিউইয়র্ক, মঙ্গলবারেই তা নিশ্চিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • ব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স