নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে এক বৃদ্ধ নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।‌ তাঁর নাম সেতারা বেগম (৭০)। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের ওসমান আলী হাজিবাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাঁর বসতঘরে সিঁধ কাটার আলামত পায় পুলিশ।

সেতারা বেগম ওসমান আলী হাজিবাড়ির মৃত মোফাজ্জল হকের স্ত্রী। পুলিশ ধারণা করছে, অজ্ঞাতনামা চোরেরা সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকার পর হয়তো ওই নারী তাঁদের চিনে ফেলেন। এ কারণে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতারা বেগমের ছেলেরা সোনাইমুড়ী উপজেলা সদরে ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনিও তাঁদের সঙ্গে সেখানে থাকতেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওই নারী বাড়িতে আসেন। ঈদের পর থেকে তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। আজ সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশীরা তাঁকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা দেখেন, বসতঘরের ভেতরে খাটের ওপর সেতারা বেগমের গলাকাটা লাশ পড়ে রয়েছে। পরে বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে।

সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম ঘটনাস্থল থেকে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার তদন্তে কাজ শুরু করেছে থানা-পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে অপরাধের সম্ভাব্য আলামত সংগ্রহ করার জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসার পর লাশ মর্গে পাঠানো হবে। এ ছাড়া মায়ের হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে তাঁন সন্তানেরাও বাড়িতে এসেছেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জায়েদ ভাই মেয়েদের ফেভারিট: নুসরাত ফারিয়া

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া মানেই গ্ল্যামার, মেধা আর মজার মিশ্রণ। দুই বাংলায় সমানতালে কাজের পাশাপাশি গানেও বাজিমাত করেছেন। এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ভিন্ন কারণে। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের টক শোতে অতিথি হয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

সম্প্রতি কানাডায় অনুষ্ঠিত ৩৯তম ফোবানা সম্মেলনে অংশ নেন ফারিয়া। গালা নাইটে নিজের ঝলমলে পারফরম্যান্সে মাতিয়ে তোলেন সবাইকে। সেই সফরের মজার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সহকর্মী জায়েদ খানের গোপন তথ্য ফাঁস করেন এই অভিনেত্রী।  

আরো পড়ুন:

গ্রেপ্তারের পর প্রথম মুখ খুললেন নুসরাত ফারিয়া

বিয়ে ভাঙার পর হতাশা কাটাতে ওষুধ খেতেন নুসরাত ফারিয়া

ফারিয়া বলেন, “জায়েদ ভাই মিষ্টি মনের মানুষ। দিন দিন তো অনেক হ্যান্ডসাম হয়ে যাচ্ছেন! এত ওয়ার্কআউট করছেন যে, এখন বাংলাদেশের অর্ধেক মেয়েরই ফেভারিট উনি!” 

জায়েদ খানের প্রশংসা করে ফারিয়া বলেন, “আগে তো ছিলেনই, এখন অনেক ফিট হয়ে গেছেন। ওনার সাথে কাজ করা মানে সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকা। কারো মন খারাপ থাকলেও উনার সাথে কথা বললেই ভালো হয়ে যায়।” 

কানাডা সফরের আরেক টুকরো গল্পও জানান ফারিয়া। তার ভাষায়, “একদিন উনি বললেন, ‘চলো মন্ট্রিয়ালে হাঁটতে হাঁটতে শুটটা করে ফেলি।’ আমি ভাবলাম মজা করছেন, কিন্তু উনি সত্যিই শুট শুরু করলেন। ওই ফান পার্টগুলো কিন্তু আপনাদের দেখানো হয়নি, এডিটেই কেটে দিয়েছে!”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ