খাগড়াছড়িতে প্রশিক্ষণ চলাকালীন এএসআইয়ের মৃত্যু
Published: 2nd, July 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে প্রশিক্ষণ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মো. মোতালেব হোসেন (৩১) নামে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে খাগড়াছড়ির এপিবিএন এবং বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ সেন্টারে (এএসটিসি) এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি এপিবিএন এবং বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ডিআইজি পরিতোষ ঘোষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে সেকশন লিডার কোর্সের (এসএলসি) ট্রেনিং চলছিল। এ সময় এএসআই মোতালেব হোসেন পিটিতে অংশগ্রহণ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
ময়মনসিংহ শিল্প পুলিশে কর্মরত মো.
আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির এপিবিএন এবং বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ সেন্টারের কমান্ড্যান্ট।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এএসআই
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে মাদক মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলায় এএসআইসহ আহত ৩
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে পুলিশের দুই সদস্যসহ তিনজন হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওমর ফারুক, কনস্টেবল নাজমুল আহসান ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া।
এদিকে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকার হাবিবুর রহমান (৫৫) ও জোহরা বেগম (৪৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি গ্রামের মাজম আলীর (৪০) বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। গতকাল বিকেল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায় নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশের একটি দল। এ সময় মাজম আলীসহ কয়েকজন পোড়াবাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির রান্নাঘরে বসে ইয়াবা কেনাবেচা করছিলেন। তখন দলটি অভিযানে গেলে আসামির স্বজনেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে ওই এএসআই ও কনস্টেবল আহত হন। আসামির স্বজনদের ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওমর ফারুক ও শাহীন মিয়া।
পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনার পর গত রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে হাবিবুর ও জোহরাকে আটক করা হয়। পরে রাতে মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।