খাগড়াছড়িতে প্রশিক্ষণরত এএসআইয়ের মৃত্যু
Published: 2nd, July 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে প্রশিক্ষণের সময় অসুস্থ হয়ে মোতালেব হোসেন নামে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মারা গেছেন। বুধবার (২ জুলাই) সকালে খাগড়াছড়ির এপিবিএন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ সেন্টারে ঘটনাটি ঘটে।
খাগড়াছড়ি এপিবিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডডেন্ট ডিআইজি পরিতোষ ঘোষ এতথ্য জানান।
মোতালেব হোসেন ময়মনসিংহের জেলায় শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ছয় সপ্তাহের সেকশন লিডার কোর্সে (এসএলসি) অংশ নিতে তিনি খাগড়াছড়ি যান। মোতালেব হোসেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
রাজধানীর হোটেলে দম্পতি ও সন্তানের মৃত্যু: লক্ষ্মীপুরে দাফন
বরগুনায় ডেঙ্গুতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৯৩
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে এসএলসি’র ট্রেনিং চলছিল। এ সময় এএসআই মোতালেব হোসেন পিটিতে অংশগ্রহণ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক মোতালেব হোসেনকে
মৃত ঘোষণা করেন।
খাগড়াছড়ি এপিবিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডডেন্ট ডিআইজি পরিতোষ ঘোষ জানান, সকালে এসএলসি’র ট্রেনিং চলাকালে এএসআই মোতালেব হোসেন পিটিতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সব
আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
থানাহাজতে ফাঁস দিয়ে তরুণের আত্মহত্যার চেষ্টা, সিসি ক্যামেরায় দেখে উদ্ধার
পটুয়াখালীর বাউফল থানাহাজতে কম্বল ছিঁড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন চুরির অভিযোগে আটক রাকিব সিকদার (২০) নামের এক তরুণ। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে পুলিশ তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে।
রাকিব সিকদার বাউফল পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন সিকদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে পৌরসভার চন্দ্রপাড়া সড়কের পাশে আইনজীবী শহিদুল ইসলামের বাসভবনে চুরির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন রাকিবকে আটক করে পুলিশে দেন। পরে তাঁকে থানাহাজতে রাখা হয়। হাজতে তিনি একাই ছিলেন। রাত নয়টার দিকে দায়িত্বে থাকা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহীন হাওলাদার সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পান, রাকিব কম্বল ছিঁড়ে গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে হাজতের দরজা খুলে তাঁকে উদ্ধার করেন।
এএসআই শাহীন হাওলাদার বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরায় হঠাৎ চোখ পড়তেই দেখি, রাকিব গলায় ফাঁস দিচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে নজর না পড়লে হয়তো কোনো অঘটনা ঘটত।’
আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়ে রাকিব বলেন, তিনি ওই বাসভবনের নিচে গাঁজা সেবন করেছিলেন, চুরি করেননি। কিন্তু তাঁকে চুরির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। চুরির অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘আসামিদের সুবিধার জন্য কম্বল দেওয়া হয়। সেই কম্বল দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা—এমন ঘটনা আগে দেখিনি। ভাগ্য ভালো, দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার সিসি ক্যামেরায় নজর পড়েছে, তাই কোনো অঘটন ঘটেনি।’ তিনি জানান, রাকিবকে চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।