দীর্ঘদিনের পরিচয় থেকে প্রেম আর প্রেম থেকে বিয়ে সারছেন দক্ষিণ কোরীয় অভিনেতা অন জু ওয়ান ও কেপপ গায়িকা, ‘গার্লস ডে’র সাবেক সদস্য ও অভিনেত্রী ব্যাং মিনা। আগামী নভেম্বরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন বলে শুক্রবার জানিয়েছে দুজনের এজেন্সি।
অন জু ওয়ানের এজেন্সি হেওয়াদাল এন্টারটেইনমেন্ট এক বিবৃতিতে লিখেছে, ‘দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর তাঁরা জীবনের বাকি সময়টা একসঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব নিয়ে নিয়ে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে।
মিনার এজেন্সি এসএম সিঅ্যান্ডসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দুজনের পরিচয় বহুদিনের, ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। এবার তাঁরা নতুন এক যাত্রা শুরু করতে চলেছেন। বিয়ের পরও তাঁরা দুজনেই অভিনয় চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছে এজেন্সি।’
২০১৬ সালে এসবিএসের ‘বিউটিফুল গং শিম’ ড্রামাতে প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেন মিনা ও অন। এরপর ২০২১ সালে ‘দ্য ডেজ’–এ আবারও একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে তাঁদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
২০১০ সালে গার্লস ডের মাধ্যমে গানের জগতে পা রাখেন মিনা। এরপর অভিনয়ে আসেন তিনি। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ড্রামার মধ্যে রয়েছে ‘বিউটিফুল গং শিম’, ‘মাই অ্যাবসোলিউট বয়ফ্রেন্ড’ ও ‘ডেলিভারি ম্যান’। এ ছাড়া সিনেমা ‘স্নোবল’ ও ‘মিস ফরচুন’-তেও অভিনয় করেছেন তিনি।
অন্যদিকে অন জু ওয়ান ২০০২ সালের ‘রাস্টিক পিরিয়ড’ দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তাঁকে দেখা গেছে ‘ফ্লাইং বয়েজ’, ‘পিটার প্যান’, ‘দ্য টেস্ট অব মানি’ ও ‘অবসেসড’-এর মতো সিনেমায়।
সূত্র: কোরিয়া টাইমস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার
ফের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর কমলেও আজ বুধবার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
ঢাকা/নাজমুল/বকুল