বিচার ও সংস্কারের দাবিকে নির্বাচনের মুখোমুখি না করার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের দাবিকে জোরদার করতে হবে।

শনিবার রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মেজর হায়দার মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের তরুণ জুলাই যোদ্ধাদের নতুন বাংলাদেশ ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় ও জাতীয় পরিষদের বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।

মতবিনিময় সভায় সারা দেশ থেকে আসা গণসংহতি আন্দোলনের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় দলের ভূমিকা, সাংগঠনিক পরিস্থিতি ও স্থানীয় পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।

সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, মব সৃষ্টি করে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীতে। একে প্রতিহত করা অন্তর্বর্তী সরকারের আশু দায়িত্ব।

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বিচারের দাবিতে দিন গুনছেন। আমরা বিচারের অগ্রগতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য চাই। বিচার ও সংস্কারকে কোনোভাবে নির্বাচনের মুখোমুখি না করে, বরং তিনটিকেই জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান করছি।’

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান (রুবেল), রাজনৈতিক পরিষদের নেতা তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন ও হাসান মারুফ রূমী; বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান (রিচার্ড), নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ফারহানা মানিক (মুনা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, সদস্যসচিব সাকিবুর রনি প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেস (কেন্দ্রীয় সম্মেলন) আগামী ১৯ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই দলের সব শাখা, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির দু'দিনব্যাপী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। 

সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, করণীয় ও সরকারের সংস্কারবিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক লুনা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও সংগঠকরা।

সভায় সারাদেশে অব্যাহত মব-সন্ত্রাস, খুন-ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জননিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানানো হয়। 

সভায় চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসাসহ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থরক্ষার ভূমিকা নেওয়ার সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি ও ১৮ জুলাই ‘শহীদ রেজভী দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ