বাবা-মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন তারকা যুগল
Published: 9th, July 2025 GMT
বলিউড তারকা যুগল রাজকুমার রাও-পত্রলেখা। প্রায় এক যুগ প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তারা। ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই যুগল। দাম্পত্য জীবনে দারুণ সময় পার করছেন। এ দম্পতির জীবন আরো আনন্দময় করতে আসছে নতুন অতিথি। অর্থাৎ বাবা-মা হতে যাচ্ছে রাজকুমার-পত্রলেখা।
বুধবার (৯ জুলাই) ইনস্টাগ্রাম একটি কার্ড পোস্ট করে বাবা-মা হতে যাওয়ার যৌথ ঘোষণা দেন রাজকুমার-পত্রলেখা। এ কার্ডে লেখা রয়েছে, “সন্তান আসছে।” ক্যাপশনে লেখেন— “উচ্ছ্বসিত।” এরপর থেকে ভক্ত-অনুরাগী, সহকর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই দম্পতি।
তৃপ্তি দিমরি লেখেন, “অভিনন্দন।” সোহা আলী খান লেখেন, “অভিনন্দন। আনন্দের খবর। আর অপেক্ষা করতে পারছি না।” কীর্তি সুরেশ লেখেন, “অভিনন্দন।” বরুণ ধাওয়ান লেখেন, “অভিনন্দন।” তাছাড়াও অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকার, সোনাক্ষী সিনহা, সোনম কাপুর, এশা গুপ্তা, রাকুল প্রীত সিং প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
শতকোটি ব্যয়ের সিনেমার আয় ১ হাজার কোটি ছাড়িয়ে
রাজকুমার-শ্রদ্ধার সিনেমার জয়রথ চলছেই
দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় নির্মিত ‘লাভ সেক্স আউর ধোঁকা’ সিনেমায় প্রথমবার রাজকুমারকে দেখেন পত্রলেখা। সিনেমায় দেখে পত্রলেখা ভেবেছিলেন, নেতিবাচক চরিত্রের এই অভিনেতা বাস্তবেও একই রকম। ২০১৩ সালে ‘সিটি লাইটস’ সিনেমার জন্য রাজকুমার রাওয়ের বিপরীতে পত্রলেখাকে ভাবা হয়। এরপর রাজকুমারের সঙ্গে দেখা করতে যান পত্রলেখা, সঙ্গে নিয়ে যান তার বড় বোনকে।
পত্রলেখা পরে অবাক হয়ে দেখেন মোটেও খারাপ মানুষ নন রাজকুমার। একেবারে অন্য এক মানুষ। উপলদ্ধি করতে পারেন, রাজকুমার ভালো অভিনয়শিল্পী। তারপর কয়েক দিন হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদান-প্রদান চলে। এভাবে কখন যে প্রেমটা হয়ে যায়, তা কেউই বলতে পারেন না। সর্বশেষ ২০২১ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই যুগল।
২০২৫ সাল রাজকুমারের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলা চলে। একদিকে যেমন ‘মালিক’ সিনেমায় অন্যরকম ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে, তেমনই আবার চলতি বছরেই ঘোষণা হয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলির বায়োপিক ‘মহারাজ’-এর ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতাকে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে গতকাল সোমবার বাসায় ফিরছিলেন নাজমা বেগম। ঢাকার টঙ্গী এলাকায় থাকেন তিনি। পরিচিত এক ব্যক্তি তাঁকে হঠাৎ ফোন করে জানান, তাঁর নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। দ্রুত ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন নাজমা। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিও দেখান নাজমাকে। সে ভিডিওতে দেখতে পান, তাঁর ১০ দিন ধরে নিখোঁজ ছেলে আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
ছেলের খোঁজ পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ছুটে আসেন তিনি। রেলস্টেশন থেকে সরাসরি চলে আসেন চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে। এখানেই ৮ দিন ধরে ভর্তি আবদুল্লাহ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৮ সেপ্টেম্বর আহত অবস্থায় আবদুল্লাহকে হাসপাতালে আনা হয়। সে সময় তার নাম-ঠিকানা কিছুই জানা যায়নি। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবেই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে নেওয়া হয় তাকে। পরদিন তার অস্ত্রোপচার হয়। গত শনিবার আবদুল্লাহর জ্ঞান ফেরে। এরপর নিজের ও বাবা-মায়ের নাম আর বাসার ঠিকানা জানায় সে।
চিকিৎসকেরা সেই সূত্রে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানাভাবে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেন। ফেসবুকে আবদুল্লাহর ছবি দিয়ে খোঁজ চাওয়া হয় বাবা-মায়ের। সেই ছবি পরিচিতদের মাধ্যমে দেখেন নাজমা বেগম। এরপর ছুটে আসেন চট্টগ্রামে। হাসপাতালে এসেই নার্সদের সহায়তায় যান নিউরোসার্জারি বিভাগে। সেখানে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ)চিকিৎসাধীন আবদুল্লাহকে দেখেন।
আজ বিকেলে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের সামনে কথা হয় আবদুল্লাহর মা নাজমা বেগমের সঙ্গে। সকালেই চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন তিনি। জানালেন, তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ১০ বছর বয়সী আবদুল্লাহ সবার বড়। ছোট মেয়ের বয়স পাঁচ ও আরেক ছেলের বয়স দুই। আবদুল্লাহ সুস্থ আছে জেনে স্বস্তি পেলেও দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। কারণ, এটিই প্রথমবার নয়, এর আগেও কয়েকবার ঘর থেকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায় সে।
নাজমা বেগম বলেন, প্রায়ই আবদুল্লাহ ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এদিক–সেদিক চলে যায়। পরে আবার ফিরে আসে। এর আগেও ঢাকার আশপাশে এদিক-সেদিক চলে গিয়েছিল সে। ৬ সেপ্টেম্বর সে ভাত খাওয়া থেকে উঠে হঠাৎ চলে যায়। সে ফিরে আসবে এই আশায় থানায় যাননি। কিন্তু ১০ দিন হয়ে যাওয়ায় এদিক–সেদিক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ঢাকায় বিভিন্ন স্টেশনে ছেলের খোঁজে গেছেন বলে জানান নাজমা।
চমেক হাসপাতালে চিকিৎসকেরা আবদুল্লাহর বরাত দিয়ে জানান, বাসা থেকে বেরিয়ে সে কক্সবাজার যাচ্ছিল। পথে চট্টগ্রামে ট্রেন থামলে সে ট্রেন থেকে পড়ে যায়। চিকিৎসার পর এখন সুস্থ হয়ে উঠছে সে।
চিকিৎসকেরা জানান, আবদুল্লাহকে যখন আনা হয় তার মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল। তার মাথার এক পাশের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। ট্রেন থেকে পড়ার কারণে মাথায় আঘাত লাগে। হাড়ের কিছু অংশ মস্তিষ্কের ভেতরে গেঁথে যায়। অস্ত্রোপচারও সফল হয়েছে। তবে জ্ঞান না ফেরায় তার পরিচয় জানা যায়নি। জ্ঞান ফেরার পর তার তথ্য নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়।
শুরু থেকে আবদুল্লাহর অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরোসার্জারি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ‘তার হাড় ভেঙে মস্তিষ্কের ভেতরে চলে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর স্বাভাবিকভাবে সেটি জোড়া দেওয়া হয়েছে। এখন সে পুরোপুরি সুস্থ। তাকে আমরা আজ-কালের মধ্যে ডিসচার্জ করে দেব। শিশুকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত।’